নোর-বু-ব্জাং-পো (ওয়াইলি: Nor bu bzang po) (?- ১৪৬৬) তিব্বতের রিং-স্পুংস-পা রাজবংশের প্রথম রাজা ছিলেন।
নোর-বু-ব্জাং-পো ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজবংশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং রিং-স্পুংস-পা বংশের প্রধান নাম্স-ম্খা-র্গ্যাল-পোর (ওয়াইলি: nams mkha rrgyal po) পুত্র ছিলেন। তিনি পিতার শুরু করা ছামছেন মন্দির স্থাপনের কাজ সম্পূর্ণ করেন। তিনি সা-স্ক্যা ও ব্কা'-ব্র্গ্যুদ ধর্মসম্প্রদায়ের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[১]
ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা গোং-মা-গ্রাগ্স-পা-র্গ্যাল-ম্ত্শানের মৃত্যুর পর যখন মন্ত্রীরা পরবর্তী উত্তরাধিকারী মনোয়নের জন্য ঐকমত্য্যে পৌঁছতে পারছিলেন না, নোর-বু-ব্জাং-পো এই সুযোগে ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজবংশের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে গ্দান-সা-থেল বৌদ্ধবিহারের প্রধানকে সিংহাসনের উত্তরাধিকার নির্বাচনের উপদেশ দেন। প্রধান লামা গোং-মা-গ্রাগ্স-পা-র্গ্যাল-ম্ত্শানের ভ্রাতা সাংস-র্গ্যাস-র্গ্যাল-ম্ত্শানের পুত্র গ্রাগ্স-পা-'ব্যুং-গ্নাসকে নির্বাচন করেন। যদিও সাংস-র্গ্যাস-র্গ্যাল-ম্ত্শানের সিংহাসনের প্রতি নজর ছিল, কিন্তু তিনি প্রধান লামার নির্বাচন মেনে নেন।[২] কিন্তু দুই বছর পরে ১৪৩৪ খ্রিষ্টাব্দে গ্দান-সা-থেল বৌদ্ধবিহারের প্রধানের মৃত্যু ঘটলে সাংস-র্গ্যাস-র্গ্যাল-ম্ত্শান সিংহাসনের দাবী জানাতে শুরু করেন। এরফলে এক বছর ব্যাপী এক গৃহযুদ্ধের সূচনা হয় ও সাংস-র্গ্যাস-র্গ্যাল-ম্ত্শানকে পালিয়ে যেতে হয় এবং নোর-বু-ব্জাং-পো বিজয়ী হিসেবে উঠে আসেন।[২] এবং ১৪৩৫ খ্রিষ্টাব্দে সাম-দ্রুব-ত্সে নামক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অধিকার করেন। এরফলে রিং-স্পুংস-পা গ্ত্সাং অঞ্চলটি নিজেদের অধিকারে নিয়ে এসে মধ্য তিব্বতের নতুন রাজবংশরূপে উঠে আসে।[৩] নোর-বু-ব্জাং-পো খুব দ্রুত ক্ষমতার শীর্ষে উঠে এলেও তিনি ফাগ-মো-গ্রু-পা রাজবংশের আনুগত্য স্বীকার করেই রাজত্ব করতেন।
পূর্বসূরী |
নোর-বু-ব্জাং-পো প্রথম রিং-স্পুংস-পা শাসক |
উত্তরসূরী কুন-তু-ব্জাং-পো |