নীতিবাক্য | کسب کمال کُن کہ عزیز جہان شوی Kasb-e-kamal kun ke Aziz-e-Jahan shavi |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | Seek excellence in your work, so you can be admired by the world |
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ১৮৭৫ (মেয়ো কলেজ অফ আর্টস হিসেবে) |
অধ্যক্ষ | মুরতাজা জাফরি |
শিক্ষার্থী | ১২০০ |
অবস্থান | লাহোর, পাঞ্জাব , পাকিস্তান |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ওয়েবসাইট | nca.edu.pk |
ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টস (উর্দু: قومی کالج هنر, ইংরেজিঃ National arts college) বা এনসিএ পাকিস্তানের একটি সরকারী আর্ট কলেজ। এটি পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত।[১]
১৮৭৫ সালে ব্রিটিশরা ও লালা লাজপাত রায় সম্মিলিত ভাবে লাহোর জাদুঘরের পাশে মায়ো স্কুল অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্টস নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। জন লকউড কিপলিং কলেজটির প্রথম প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ১৯৫৮ সালে কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টস।[২] সরকারী ঘোষণাক্রমে ১৯৮৫ সালে ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টস ডিগ্রী প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায় এবং ২০১১ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় সনদ লাভ করে।
এনসিএ - পাকিস্তানের প্রাচীনতম আর্ট স্কুল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় প্রাচীনতম আর্টস কলেজ হিসেবে মর্যাদা পায়। ২০১৬ সালের হিসেবে এই কলেজ পাকিস্তানের শীর্ষ আর্ট স্কুলের স্থান পেয়েছিলো।[৩][৪] এই কলেজে মোট তিনটি বিভাগ আছে; ফাইন আর্ট, ডিজাইন এবং স্থাপত্য। তিন বিভাগ মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০০ জনের বেশি।[৫] এই কলেজ স্কুল অব ফাইন আর্টস, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস, École nationale supérieure des Beaux-Arts এবং ইন্সটিটিউটো সুপারিও দে আর্তে ইত্যাদির সাথে বিনিময় প্রোগ্রাম করে থাকে।[৬] কলেজটি স্থাপত্য বিভাগে ইউনেস্কো চেয়ার হোস্ট করে.[৭]
ব্রিটিশ ভারতে চারু ও কারু আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রিটিশরা এখানে দুইটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। একটি ছিলো মেয়ো স্কুল অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্ট। তখন নিহত ভাইসরয় অফ ইন্ডিয়া লর্ড মেয়োর সম্মানে উক্ত কলেজের নামকরণ তার নামে করা হয়। স্কুলের প্রথম প্রিন্সিপাল হিসেবে জন লকউড কিপলং কে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাকে লাহোর জাদুঘরের প্রথম কিউরেটর হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। জাদুঘরটি একই বছরে কলেজ সংলগ্ন ভবনে চালু করা হয়। ১৯৫৮ সালে স্কুলের নামকরণ করা হয় ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টস নামে। ১৯৬০ এর দশকে কলেজটিকে ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগ থেকে শিক্ষা বিভাগের অধীনে আনা হয়। ১৯৮৫ সালে কলেজটি ডিগ্রী প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায়। ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মত কলেজে স্নাতক প্রোগ্রাম শুরু করা হয়। ২০০৬ সালে রাওউয়ালপিন্ডিতে কলেজের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস চালু করা হয়। ২০১১ সালের জুন মাসে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। [৮]
এই কলেজে নিম্নোক্ত বিভাগ রয়েছেঃ