পদ্মশ্রী ওয়ারিয়র పద్మశ్రీ వారియర్ | |
---|---|
জন্ম | ইয়েলেপেড্ডি পদ্মশ্রী |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোহনদাস ওয়ারিয়র |
সন্তান | ১ |
পদ্মশ্রী ওয়ারিয়র যুক্তরাষ্ট্র শাখার এনআইও (গাড়ি প্রস্তুতকারক জোম্পানি) এর প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা[১] পাশাপাশি এর পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য।[২] এই ক্ষমতাবলে তিনি এনআইওর স্বায়ত্তশাসিত বৈদ্যুতিক যানবাহনের মস্তিষ্ক এবং সামগ্রিক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য দায়বদ্ধ ছিলেন। এর আগে তিনি মোটোরোলা এবং সিসকোতে বরিষ্ঠ কার্যনির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ইয়েলেপেড্ডি পদ্মশ্রী ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের বিজয়ওয়াড়া শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তিনি তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তিনি একটি হিন্দু তেলুগু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি বিজয়ওয়াড়ার শিশুদের মন্টেসরি স্কুল এবং মারিস স্টেলা কলেজ থেকে স্কুল জীবনের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। ওয়ারিয়র ১৯৮২ সালে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান দিল্লি থেকে রাসায়নিক প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।[৩][৪] তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাসায়নিক প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[৫]
ওয়ারিয়র ১৯৮৪ সালে মোটোরোলা-তে যোগদান করেছিলেন।[৬] তিনি ২৩ বছর ধরে সে সংস্থার সাথে সংযুক্ত ছিলেন; তিনি কর্পোরেট ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং মটোরোলার এনার্জি সিস্টেমস গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার এবং সেমিকন্ডাক্টর প্রোডাক্ট সেক্টরে কর্পোরেট ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং মুখ্য প্রযুক্তিবিদ্যা আধিকারিক হিসাবে কাজ করেছেন। মোটরোলার সিটিও হওয়ার আগেই তিনি অ্যারিজোনার টেম্পেতে মটোরোলার থটবিয়ামের মহাব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে মোটোরোলার সিটিও ঘোষণা করা হলে, ওয়ারিয়র বরিষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৫ সালে তিনি কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি হিসাবে পদোন্নতি পান।[৭][৮]
সিটিও হিসাবে ওয়ারিয়রের আমলে, মোটোরোলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি দ্বারা ২০০৪ ন্যাশনাল মেডেল অফ টেকনোলজিতে ভূষিত হয়েছিল, উক্ত সময়ে এই সংস্থাটি প্রথমবারের মতো এই সম্মানটি পেয়েছিল। উক্ত সময়ের মধ্যে তিনি "বিরামবিহীন গতিশীলতা"-এর প্রবক্তা ছিলেন, যেটি একজন ব্যক্তির জীবনের সমস্ত দিক জুড়ে বিরামবিহীন যোগাযোগের ধারণা। কিন্তু এই স্বপ্নটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি এবং অবশেষে মোটরোলা বিপণনের উপস্থাপনা থেকে এই ধারণাটি বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর তারিখে, তিনি মোটোরোলা ছেড়ে সিসকো সিস্টেমসের সিটিওতে পরিণত হন।[৯] ২০১৫ সালের জুন মাসে, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি সিসকো সিস্টেমস ত্যাগ করবেন।[১০] তিনি ২০১৮ সালের ১৭ই ডিসেম্বর তারিখে এনআইও ইনক থেকে পদত্যাগ করেছেন।[১১]
ওয়ারিয়র ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য ছিলেন।[১২][১৩] তিনি স্পোটিফাই বোর্ডেরও একজন সদস্য ছিলেন।[১৪] তিনি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গ্যাপ ইনক বোর্ডের সদস্য ছিলেন[১৫] এবং ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বক্স বোর্ডের সদস্য ছিলেন।[১৬]
ওয়ারিয়র মোহনদাস ওয়ারিয়রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েহেন এবং তাঁদের একটি পুত্র রয়েছে।[১৭][১৮]