Université de Pondichéry | |
নীতিবাক্য | तमसो मा ज्योतिर्गमय (সংস্কৃত) Des Ténèbres, vers la Lumière! (ফরাসি) |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | অন্ধকার থেকে, আলোর দিকে! |
ধরন | কেন্দ্রীয় গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৮৫ |
অধিভুক্তি | |
আচার্য | ভারতের উপরাষ্ট্রপতি |
উপাচার্য | গুরমিত সিং[১] |
রেক্টর | তামিলিসাই সুন্দররাজন, পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর |
পরিদর্শক | ভারতের রাষ্ট্রপতি |
শিক্ষার্থী | ৪০,৮০৪[২] |
স্নাতক | ৩৫,০০০[২] |
স্নাতকোত্তর | ৪,৬৪২[২] |
১,১৬২[২] | |
অবস্থান | , ভারত ১২°০০′৫৭″ উত্তর ৭৯°৫১′৩১″ পূর্ব / ১২.০১৫৯° উত্তর ৭৯.৮৫৮৫° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
পোশাকের রঙ | |
মাসকট | পদ্ম |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয় হল একটি কেন্দ্রীয় গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়, যা ভারতের পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুদুচেরি শহরের কালাপেটে অবস্থিত। এটি ১৯৮৫ সালে সংসদের একটি আইনের মাধ্যমে ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি আচার্য ও পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রধান রেক্টর হিসাবে কাজ করেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক।
বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি কলেজিয়েট বিশ্ববিদ্যালয়, যার এখতিয়ার তামিলনাড়ু (পুদুচেরি ও কারাইকাল), কেরল (মাহে) ও অন্ধ্রপ্রদেশে (ইয়ানাম) অবস্থিত পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিস্তৃত। তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিশাল এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি রাষ্ট্রীয় চরিত্র প্রদান করে। বাসিন্দারা ইংরেজি, তামিল, ফরাসি, তেলুগু, মালয়ালম, হিন্দি, বাংলা, ওড়িয়া ও কন্নড়ের মতো বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে।
স্থানীয় দক্ষতা বিভিন্ন বৃত্তিমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে উন্নত হয়, যেমন প্যারামেডিক্যাল কোর্সগুলি বিদ্যায়তনের হাসপাতালের সুবিধাগুলি ব্যবহার করে।[৩][৪]
পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট কোস্ট রোডে বঙ্গোপসাগরের মুখোমুখি ৯০০ একর (৩৬০ হেক্টর) জুড়ে বিস্তৃত একটি বিদ্যায়তনে অবস্থিত। বিদ্যায়তনে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই ছাত্রাবাসের সুবিধা পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ছাত্রাবাস রয়েছে, যেখানে ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকতে পারে। মেয়েদের বিনামূল্যে বাসস্থান দেওয়া হয়।
অন্যান্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শিক্ষাদান ও গবেষণা হল পুদুচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক কাজ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ টি অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে।
টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং-এর ২০২৩ সালের তালিকা অনুসারে পুদুচেরি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে ১০০১-১২০০তম স্থানে ও এশিয়ায় ২৫১-৩০০তম স্থানে রয়েছে।[৫] এটিকে ২০২৩ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং বিশ্বব্যাপী ৮০০-১০০০তম স্থান এবং এশিয়াতে ৩৫১-৪০০তম স্থান প্রদান করেছে।[৬]
এটি ২০২২ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ) দ্বারা সামগ্রিকভাবে ভারতের মধ্যে১০১-১৫১তম,[৭] এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ৬৮তম স্থানে ছিল।[৮]
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটি ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একজন ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান এবং দুইজন সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রন্থাগারের নামকরণ আনন্দ রাঙ্গা পিল্লাইয়ের নামানুসারে করা হয়েছিল। এটি ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে বর্তমান স্থানে একটি স্বাধীন ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছিল। গ্রন্থাগারটি আধুনিক অবকাঠামো (৮০,০০০ বর্গফুট), সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, ওয়াইফাই সক্ষম, আরএফআইডি প্রযুক্তি সহ সক্রিয় পরিষেবাগুলির মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য পরিষেবা এবং ৪.৯৭ লাখের সংগ্রহসমূহ পাঠকের কাছে সহজ দূরবর্তী পাপ্যতার জন্য বিখ্যাত। এখানে ২.২২ লাখ মুদ্রিত এবং ২.৭ লাখ ই-রিসোর্স (ই-বুক, ই-জার্নাল, ই-ডাটাবেস, ই-থিসিস, একাডেমিক অনলাইন ভিডিও, ভিডিও টক ইত্যাদি) রয়েছে।[৯]