পয়েল সেনগুপ্ত | |
---|---|
![]() ২০১৪ সালে | |
জন্ম | অম্বিকা গোপালকৃষ্ণন ১৯৪৮ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | কলেজ প্রভাষক, স্কুল শিক্ষক, শিক্ষাগত পরামর্শদাতা, যোগাযোগ এবং ভাষা দক্ষতা পরামর্শদাতা, বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক সম্পাদক, মন্টেসরি স্কুলের শিক্ষক |
পরিচিতির কারণ | লেখক |
পয়েল সেনগুপ্ত (ইংরেজি: Poile Sengupta) (বিবাহপূর্ব অম্বিকা গোপালকৃষ্ণন) (জন্ম ১৯৪৮) হলেন ইংরেজি ভাষার একজন উল্লেখযোগ্য[১] ভারতীয় লেখক। তিনি শিশুদের জন্য একজন নাট্যকার এবং লেখক হিসাবে বিশেষভাবে সুপরিচিত। তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রথম নাম অম্বিকা কিন্তু তিনি লেখেন, এবং পরিচিত, পয়েল নামে। তিনি একজন কলেজ প্রভাষক, একজন বরিষ্ঠ স্কুল শিক্ষক, একজন শিক্ষাগত পরামর্শদাতা, একজন যোগাযোগ এবং ভাষা দক্ষতা পরামর্শদাতা, একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন পরামর্শক সম্পাদক এবং মন্টেসরি স্কুলের শিশুদের জন্য একজন শিক্ষক।
শিশুদের জন্য পয়েল সেনগুপ্তের বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দ্য এক্সকুইসিট ব্যালেন্স[২] (১৯৮৫), দ্য ওয়ে টু মাই ফ্রেণ্ড'স হাউস (১৯৮৮), দ্য স্টোরি অফ দ্য রোড (১৯৯৩), হাউ দ্য পাথ গ্রু (১৯৯৭)- (এগুলি সব নতুন দিল্লির চিলড্রেনস বুক ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত), দ্য ক্লেভার কার্পেন্টার অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ, দ্য নটি ডগ অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ এবং দ্য ব্ল্যাক স্নেক অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ (সব নতুন দিল্লির ফ্রাঙ্ক ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত, ১৯৯৩), ওয়াটারফ্লাওয়ারস (স্কলাস্টিক থেকে প্রকাশিত, ২০০০), বিক্রম অ্যাণ্ড বেতাল (২০০৬) এবং বিক্রমাদিত্য'স থ্রোন (পাফিন থেকে প্রকাশিত ২০০৭)।[৩] রোল কল লেখাটি ভাষা ইন্দোনেশিয়ায়[৪] এবং বিক্রম অ্যাণ্ড বেতাল লেখাটি ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।[৫] তিনি আরও লিখেছেন দ্য লাইট চেঞ্জড। এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি এনসিইআরটি-এর৬ষ্ঠ শ্রেণীর নাগরিক বিজ্ঞানের (সিভিক্স) বইতে রাখা হয়েছে।
শিশুদের জন্য তাঁর গল্পগুলি অনেকগুলি সাহিত্যসংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলি সবই পাফিন থেকে প্রকাশিত। এগুলির মধ্যে আছে দ্য পাফিন ট্রেজারি অফ মডার্ন ইণ্ডিয়ান স্টোরিজ, দ্য পাফিন বুক অফ ফানি স্টোরিজ, ফেভারিট স্টোরিজ ফর বয়েজ, ফেভারিট স্টোরিজ ফর গার্লস, এ ক্লিয়ার ব্লু স্কাই অ্যাণ্ড ব্যাড মুন রাইজিং (এগুলি সব পাফিন থেকে প্রকাশিত); ইণ্ডিয়া, মোর মিস্ট্রি স্টোরিজ (১৯৮৯), ২৪ শর্ট স্টোরিজ (উভয়ই নতুন দিল্লির চিলড্রেনস বুক ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত, ১৯৯১); সরি, বেস্ট ফ্রেণ্ড (১৯৯৬) এবং ওয়ান ওয়ার্ল্ড, (উভয়ই চেন্নাইয়ের তুলিকা থেকে প্রকাশিত); দ্য টার্গেট অ্যানুয়ালস (১৯৮৯, ১৯৯০) এবং দ্য বেস্ট অফ টার্গেট ।
তিনি শিশুদের জন্য অনেকগুলি কলাম লিখেছেন, যার মধ্যে দীর্ঘতম চলেছে যেটি সেটি হলো, 'এ লেটার টু ইউ'। এটি একটি ১০ বছর বয়সী ছেলে পার্কি এবং তার বন্ধু রঘুকে নিয়ে একটি হাস্যরসাত্মক কলাম। এটি মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে চিলড্রেন'স ওয়ার্ল্ড পত্রিকায় প্রথমে সাপ্তাহিক, পরবর্তীতে মাসিক কিস্তিতে চলেছিল, ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। তাঁর আরেকটি কলাম ছিল স্কুল জীবন সম্পর্কে,- 'রোল কল'। এটি ডেকান হেরাল্ডে সাপ্তাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল এবং একটি সংকলন দুটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল, যাদের নাম ছিল রোল কল (২০০৩) এবং রোল কল এগেইন (প্রকাশক রূপা, ২০০৩)। শিশুদের জন্য একটি তৃতীয়, স্বল্পস্থায়ী, কলাম ছিল মুম্বাইয়ের মিডডে পত্রিকায়, যার নাম- 'রাইট হিয়ার'।
একজন নাট্যকার হিসেবে, তাঁর প্রথম পূর্ণ-দৈর্ঘ্যের নাটক, মঙ্গলম, ১৯৯৩ সালে হিন্দু-মাদ্রাজ প্লেয়ার্স প্লেস্ক্রিপ্ট প্রতিযোগিতায় "সবচেয়ে সামাজিক-প্রাসঙ্গিক" বিষয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছিল। তারপর থেকে, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু উভয়ের জন্য ধারাবাহিক নাটক লিখেছেন যার মধ্যে রয়েছে ইনার লজ (১৯৯৪), এ প্রিটি বিজনেস (১৯৯৫), কিটস ওয়াজ এ টিউবার (১৯৯৬), কোলাজেস (১৯৯৮), আলিফা (২০০১) এবং দাস স্পেক শূর্পনখা, সো সেইড শকুনি (২০০১) এবং ইয়াভামাজাক্কা (শিশুদের জন্য একটি গীতিনাট্য, ২০০০)। ২০০৮ সালে, সামারা'স সং হিন্দু মেট্রো প্লাস নাট্যকার পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল।[৬] তাঁর ছয়টি প্রকাশিত নাটকের মধ্যে আছে উইমেন সেন্টার স্টেজ: দ্য ড্রামাটিস্ট অ্যাণ্ড দ্য প্লে, (রাউটলেজ, দিল্লি এবং লণ্ডন থেকে প্রকাশিত ২০১০)। তিনি ১৯৯৯ - ২০০১ সালে শিশুদের জন্য ইংরেজিতে নাটক লেখার জন্য ভারত সরকারের একটি সিনিয়র ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। শিশুদের জন্য এই নাটকের সংগ্রহ, গুড হেভেনস! পাফিন, ইণ্ডিয়া (২০০৬) থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
১৯৯১ সালে, তাঁর কবিতার একটি সংকলন, এ ওম্যান স্পিকস, কলকাতার রাইটার্স ওয়ার্কশপ থেকে প্রকাশিত হয়। পয়েল সেনগুপ্ত মাঝে মাঝে ছোট গল্পও লেখেন। তাঁর ছোট গল্প 'আম্মুলু' ২০১২ কমনওয়েলথ ছোট গল্প পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল।[৭]
২০১৪ সালের অক্টোবরে, তাঁর উপন্যাস ইঙ্গা প্রকাশিত হয়েছিল।[৮]
পয়েল মঞ্চে এবং চলচ্চিত্রে একজন দক্ষ অভিনেতা ছিলেন (লেসলি কারভালহো দ্বারা পরিচালিত দ্য আউটহাউস এবং বিজয় নাম্বিয়ার পরিচালিত শয়তান )। তিনি একটি ব্যাঙ্গালোর -ভিত্তিক অপেশাদার থিয়েটার গ্রুপ থিয়েটার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নতুন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি তরুণদের জন্য আন্তর্জাতিক নাটকের প্রতিযোগিতায় তিনবার লণ্ডনের ট্রিনিটি কলেজের জুরিতেও ছিলেন।