পরমাণুবাদ (গ্রিক: Atomos অর্থাৎ কর্তন-অযোগ্য) একটি প্রাকৃতিক দর্শন যার ধারণা বেশ কয়েকটি প্রাচীন দর্শন স্কুলে গড়ে উঠেছিল। পরমাণুবাদীরা বলতেন প্রাকৃতিক বিশ্ব দুটি মৌলিক অংশ নিয়ে গঠিত: অবিভাজ্য পরমাণু এবং শূন্যস্থান।
প্রাচীন গ্রিসের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক পরমাণুবাদে বিশ্বাস করতেন। সে সময় Leucippus, দেমোক্রিতুস, এপিকুরোস এবং লুক্রেশিয়ুস এর মত দার্শনিকরা একটি পদ্ধতিগত ও পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক দর্শন গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছিলেন যা অনুসারে অসীম শূন্যতার মাঝে এক অবিভাজ্য পরমাণুর সাথে আরেক পরমাণুর সংঘর্ষের ফলেই মহাবিশ্বের সকল কিছুর উৎপত্তি ঘটেছে।
এরিস্টটলের মতে পরমাণু অখণ্ডনীয়, ধ্বংসহীন, অপরিবর্তনীয় এবং তাদের অসংখ্য আকার ও আকৃতি রয়েছে। তারা শূন্যের মধ্যে দিয়ে চলমান থাকে এবং মাঝেমধ্যে অন্য সব পরমাণুর সাথে ধাক্কা খেয়ে বা মিলিত হয়ে গুচ্ছ তৈরি করে। বিভিন্ন আকার, আকৃতি, বিন্যাস ও অবস্থানের এসব গুচ্ছের মাধ্যমেই মহাবিশ্বের সব বড় বড় বস্তু গঠিত হয়।[১][২]