পরিণীতা | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
परिणीता | |
পরিচালক | প্রদীপ সরকার |
প্রযোজক | বিধু বিনোদ চোপড়া |
চিত্রনাট্যকার | বিধু বিনোদ চোপড়া প্রদীপ সরকার |
উৎস | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক পরিণীতা |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | শান্তনু মৈত্র |
চিত্রগ্রাহক | নটরাজন সুব্রামানিয়াম |
সম্পাদক | হেমন্তি সরকার নিতিশ শর্মা |
পরিবেশক | বিনোদ চোপড়া প্রোডাকশন্স ইউটিভি মোশন পিকচার্স (আন্তর্জাতিক) |
মুক্তি | ১০ জুন ২০০৫[১] |
স্থিতিকাল | ১৩০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
আয় | ₹ ৩২.৬৩ কোটি[২] |
পরিণীতা (হিন্দি: परिणीता) প্রদীপ সরকার পরিচালিত ২০০৫ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার নাট্য চলচ্চিত্র। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একই নামের গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন বিধু বিনোদ চোপড়া ও প্রদীপ সরকার। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান, সাইফ আলী খান, সঞ্জয় দত্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রাইমা সেন, এবং পার্শ্ব চরিত্রে দিয়া মির্জা। ভারতীয় সাহিত্য ও সিনেমার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ইঙ্গিত রয়েছে এই সিনেমাটিতে। এটি ২০০৫ সালের ১০ জুন ভারতে মুক্তি পায়। পরিচালক প্রদীপ সরকার ছবিটি পরিচালনার জন্য ৫৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পরিচালকের শ্রেষ্ঠ প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার লাভ করেন।[৩] এছাড়া ছবিটি পাঁচটি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, পাঁচটি বিভাগে ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুটি বিভাগে জি সিনে পুরস্কার ও দুটি বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কার লাভ করে।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কলকাতা। শেখর আর গায়েত্রীর বিয়ের রাত। শেখর এই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হচ্ছে। এমন সময় তার মনে ললিতার ছবি উঁকি দেয়। শেখর সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় তার বসুন্ধরার সাথে দেখা হয়। বসুন্ধরা তার প্রতিবেশী গুরুচরণের বিধবা স্ত্রী। ললিতাও সেখানে উপস্থিত হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে সে তার প্রতি এত উদাসীন কেন। শেখর সে কেন অন্য কাউকে বিয়ে করেছে এই অনুযোগ করে। শেখর রাগান্বিত হয়ে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসে এবং তার পিয়ানো নিয়ে তার খুবই প্রিয় একটি সুর বাজাতে থাকে। ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায় কিশোর শেখর পিয়ানোতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানের সুর তুলছে আর কিশোরী ললিতা ও কোয়েল তা শুনছে।
ললিতা তার বাবা মা এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তার মামা গুরুচরণের পরিবারে আসে। কোয়েল তার মামাতো বোন এবং চারু তাদের প্রতিবেশী। সময় যেতে থাকে ললিতা ও শেখরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শেখর তার বাবার ব্যবসায়ের দেখাশুনা না করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও এলভিস প্রেসলির গান নিয়ে এবং ললিতাকে নিয়ে তার নিজের গানের সুর করে সারাদিন কাটায়। শেখরের বাবা চায় শেখর তার বন্ধুর মেয়ে গায়েত্রী তান্থিয়াকে বিয়ে করুক। অন্যদিকে, লন্ডন ফেরত স্টিল ব্যবসায়ী গিরিশ চারুদের বাড়িতে আসে। গিরিশ ললিতাকে পছন্দ করে আর কোয়েল গিরিশকে। শেখর গিরিশের সাথে ললিতার বন্ধুত্বকে ঈর্ষা করে।
গুরুচরণ নবীন রায়ের কাছ থেকে অনেক টাকা বন্ধকী ঋণ নিয়েছিল। এই ঋণ পরিশোধ করতে এগিয়ে আসে গিরিশ। এক রাতে, ললিতা ও শেখর গোপনে বিয়ে করে। শেখর কয়েক দিন পর একটি ব্যবসায় সফরে দার্জিলিং যায়। ইতোমধ্যে নবীন রায় তার ব্যবসায়ের ক্ষতির জন্য ললিতা ও গুরুচরণকে অপদস্ত করে। অপমান সহ্য করতে না পেরে ললিতার মামা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। মৃত্যুর সময় গুরুচরণ গিরিশকে ললিতাকে বিয়ে করতে বলে এবং এই পরিবারের দায়িত্ব নিতে বলে। শেখর দার্জিলিং থেকে ফিরে তাদের বিয়ের কথা জেনে তার বাবার মত সেও ললিতাকে অপমান করে এবং তার বাবার পছন্দের গায়েত্রীকে বিয়ে করতে রাজি হয়। পরে শেখরের সামনে সকল সত্য তুলে ধরা হলে সকল ভুলের অবসান হয়।
![]() |
হিন্দি চলচ্চিত্র সম্পর্কিত বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
পরিণীতা চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শান্তনু মৈত্র। গানের কথা লিখেছেন স্বনন্দ কিরকিরে। চলচ্চিত্রে সাতটি গান রয়েছে। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে গানগুলো প্রকাশ করে টিপস মিউজিক।[৪]
নং. | শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|
১. | "পিয়ু বলে" | সোনু নিগম ও শ্রেয়া ঘোষাল | ৪:২১ |
২. | "কাস্তো মাজা" | সোনু নিগম ও শ্রেয়া ঘোষাল | ৪:৪৩ |
৩. | "সুনা মন কা অঙ্গন" | সোনু নিগম ও শ্রেয়া ঘোষাল | ৪:২০ |
৪. | "ক্যায়সি পহেলি জিন্দগানি" | সুনিধি চৌহান | ৪:০৩ |
৫. | "রাত হামারি তো" | কে. এস চিত্রা ও স্বনন্দ কিরকিরে | ৫:১৯ |
৬. | "ধিনাক ধিনাক ধা" | রিতা গাঙ্গুলি | ৩:৫৩ |
৭. | "হুই ম্যাঁ পরিণীতা" | সোনু নিগম ও শ্রেয়া ঘোষাল | ২:২৩ |
পরিণীতার ডিভিডি সংস্করণের প্রথম সংস্করণটি ইউটিভি মোশন পিকচার্স ৩০ অক্টোবর ২০০৬-এ প্রকাশ করেছিল । এতে ইংরেজি, আরবি, স্প্যানিশ, জার্মান, ইতালীয়, মালয় এবং ফরাসি ভাষায় সাবটাইটেল বিকল্প রয়েছে। একটি অতিরিক্ত ডিস্ক অভিনেতাদের সাথে সাক্ষাত্কার এবং ফিল্ম তৈরির নেপথ্যের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করে। এটি 16:9 অ্যানামরফিক ওয়াইডস্ক্রিন , ডলবি ডিজিটাল 5.1 সার্উন্ড , প্রগতিশীল 24 FPS , ওয়াইডস্ক্রিন এবং NTSC ফরম্যাটে উপলব্ধ।[৫] ফিল্মটি নেটফ্লিক্সেও পাওয়া যায়।[৬]