পল হারম্যান মুলার

পল হারমেন ম্যুলার
(Paul Hermann Müller)
জন্ম(১৮৯৯-০১-১২)১২ জানুয়ারি ১৮৯৯
ওলটেন, সলোথুর্ন(Solothurn), সুইজারল্যান্ড
মৃত্যু১৩ অক্টোবর ১৯৬৫(1965-10-13) (বয়স ৬৬)
বেসেল, সুইজারল্যান্ড
মাতৃশিক্ষায়তনUniversität Basel
পরিচিতির কারণপতঙ্গ নিধনে ডিডিটি এর ব্যবহার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্ররসায়ন
প্রতিষ্ঠানসমূহJ. R. Geigy AG
ডক্টরাল উপদেষ্টাHans Rupe

পল হারম্যান মুলার, পাওলি মুলার নামেও পরিচিত[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] (১২ জানুয়ারী ১৮৯৯- ১৩ অক্টোবর ১৯৬৫), একজন সুইস রসায়নবিদ যিনি ১৯৩৯ সালে কীটনাশক গুণাবলী আবিষ্কার এবং ম্যালেরিয়া এবং পীতজ্বর মতো ভেক্টর রোগ নিয়ন্ত্রণে ডিডিটি ব্যবহারের জন্য ফিজিওলজি বা মেডিসিনে ১৯৪৮ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

[সম্পাদনা]

মুলার ১২ই জানুয়ারী ১৮৯৯ সালে ওল্টেন, সোলোথার্নে গটলিয়েব এবং ফ্যানি (née Leypoldt বা Leypold[] ) মুলার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[] চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বড়।[] তার বাবা সুইস ফেডারেল রেলওয়েতে কাজ করতেন এবং পরিবারটি প্রথমে আরগাউয়ের লেনজবার্গ এবং পরবর্তিতে বাসেলে চলে যায়।

মুলার স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে ( ভোক্সশুলে ) এবং পরে নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিক "রিয়েলশুলে" পড়াশুনা করেন।[] সেই সময়ে, তার একটি ছোট পরীক্ষাগার ছিল যেখানে তিনি ফটোগ্রাফিক প্লেটের উন্নয়ন করেছিলেন এবং রেডিও সরঞ্জাম তৈরি করেছিলেন।[]

বাসেল ইউনিভার্সিটিতে তিনি রসায়ন অধ্যয়ন করেন ( উদ্ভিদ বিজ্ঞান এবং পদার্থবিদ্যা মাইনর বিষয় ছিলো)[] ) এবং ফ্রিডরিখ ফিচটারের অধীনে অজৈব রসায়ন অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯২২ সালে তিনি হান্স রুপের জৈব রসায়ন ল্যাবে তার পড়াশোনা চালিয়ে যান।[] সহকারী হিসাবে রূপের জন্য কাজ করার সময়, তিনি Die chemische und elektrochemische Oxidation des as. m-Xylidins und seines Mono- und Di-Methylderivates (The Chemical and Electrochemical Oxidation of Asymmetrical m-Xylidene and its Mono- and Di-methyl Derivatives) শিরোনামে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে পিএইচডি পেয়েছিলেন ১৯২৫ সালে।[][] তিনি সুমা কাম লাউদে স্নাতক হন।[]

Geigy তে প্রাথমিক কাজ

[সম্পাদনা]

১৯২৫ সালের ২৫ মে[] মুলার বাসেলের জেআর গেইগি এজি- এর ডাই বিভাগের জন্য গবেষণা রসায়নবিদ হিসাবে কাজ শুরু করেন। Geigy-এ তাঁর প্রথম গবেষণার বিষয়গুলো ছিলো সিন্থেটিক এবং উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত রঞ্জক এবং প্রাকৃতিক ট্যানিং এজেন্ট সম্পর্কিত। এই গবেষনার ফলাফল সিন্থেটিক ট্যানিং এজেন্ট ইরগাটান জি, ইরগাটান এফএল এবং ইরগাটান এফএলটি এর উৎপাদন ।[]

১৯৩৫ সালে, গেইগি মথ- এবং উদ্ভিদ-সুরক্ষা এজেন্ট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং মুলার বিশেষকরে উদ্ভিদ সুরক্ষায় আগ্রহী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, সাধারণভাবে উদ্ভিদ ও প্রকৃতির প্রতি তার ভালবাসার করানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গৌণ বিষয় হিসাবে উদ্ভিদবিদ্যাকে বেছে নিয়েছিল, যা তাকে উদ্ভিদ সুরক্ষার বিষয়ে চিন্তা করতে প্রভাবিত করেছে। বিশেষত, রাসায়নিক উদ্ভিদ সুরক্ষা এজেন্ট তিনি নিজেই সংশ্লেষণ শুরু করতে চেয়েছিলেন।[] ১৯৩৭ সালে, তিনি নভেল রোডানাইড - এবং সায়ানেট -ভিত্তিক যৌগগুলি সংশ্লেষণের জন্য একটি কৌশল পেটেন্ট করেন যা ব্যাকটিরিয়ানাশক এবং কীটনাশক এর গুনাগুন দেখায়।[] এরপর তিনি গ্রামিনোন নামক একটি বীজ জীবাণুনাশক তৈরি করেন যা সেই সময়ে পারদ-ভিত্তিক জীবাণুনাশকগুলির চেয়ে নিরাপদ ছিল।[][]

DDT এর সংশ্লেষণ

[সম্পাদনা]

ট্যানিং এজেন্ট এবং জীবাণুনাশক নিয়ে তার সাফল্যের পরে, মুলারকে একটি কীটনাশক তৈরির জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দ্য ওয়ার্ল্ড অফ অ্যানাটমি অ্যান্ড ফিজিওলজির মতে, "তখন যে কীটনাশকগুলি পাওয়া যেতো হয় তা বেশ ব্যয়বহুল প্রাকৃতিক পণ্য বা সিন্থেটিক ছিলো যা কীটপতঙ্গের বিরুদ্ধে অকার্যকর ছিল; একমাত্র যৌগ যেগুলো কার্যকর এবং সস্তা উভয়ই ছিল তা ছিলো আর্সেনিক যৌগ, যা মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর জন্য বিষাক্ত ছিল ।"[]

তার গবেষণা চলাকালীন, মুলার দেখতে পান যে পোকামাকড় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের থেকে ভিন্নভাবে রাসায়নিক দ্রব্য শোষণ করে। এর ফলে তিনি ধারণা করেন যে শুধুমাত্র পোকামাকড়ের জন্য কার্যকর বিষাক্ত রাসায়নিক রয়েছে। তিনি "চেষ্টা করেছিলেন আদর্শ সংস্পর্শের কীটনাশক সংশ্লেষ করার - যা উদ্ভিদ এবং উষ্ণ রক্তের প্রাণীদের সামান্য বা কোন ক্ষতি না করার সাথে সাথে সম্ভাব্য সর্বাধিক সংখ্যক কীটপতঙ্গের প্রজাতির উপর দ্রুত এবং শক্তিশালী বিষাক্ত প্রভাব ফেলবে।" তিনি উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক স্থিতিশীলতার সাথে দীর্ঘস্থায়ী এবং সস্তায় উৎপাদন করা যাবে এমন একটি কীটনাশক তৈরি করাকেও তার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন।[]

লক্ষ্যটি অর্জন করতে, মুলার দুটি ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল সুইজারল্যান্ডে একটি বড় খাদ্য ঘাটতি, যা পোকামাকড় দ্বারা ফসলের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের আরও ভাল উপায়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিল। দ্বিতীয়টি ছিল রাশিয়ায় টাইফাস মহামারী, যা ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যাপক এবং প্রাণঘাতী মহামারী ছিল।[] ১৯৩৫ সালে তিনি তার কীটনাশক অনুসন্ধান শুরু করেন।

কীটনাশকের বিষয়ে যত তথ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব তা তিনি অধ্যয়ন করেন, তিনি যে ধরনের কীটনাশকের সন্ধান পেতে চান সেগুলো যে ধরনের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করবে তা তিনি বেছে নেন এবং সে ধরনের যৌগ খুঁজে বের করার জন্য তিনি মনোনীবেশ করেন। মুলার চার বছর ধর তার অনুসন্ধান চালিয়ে যান। ৩৪৯ বার ব্যর্থ হওয়ার পর, ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি যে যৌগটি খুঁজছিলেন তা তিনি খুঁজে পান। তিনি একটি মাছিকে একটি নির্দিষ্ট রাসায়ানিক যৌগ বাঁধা খাঁচায় রাখলেন এবং কিছুক্ষণ পরেই মাছিটি মারা যায়।[]

তিনি খাঁচায় যে যৌগটি স্থাপন করেছিলেন তা ছিল ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরোইথেন ( ডিডিটি ), বা আরও নির্দিষ্টভাবে, 1,1,1-ট্রাইক্লোরো-2,2-বিস (4-ক্লোরোফিনাইল) ইথেন, যা ১৮৭৪ সালে ওথমার জেইডলার নামে একজন ভিয়েনীয় ফার্মাকোলজিস্ট প্রথম সংশ্লেষ করেছিলেন। জেইডলার, তার সংশ্লেষণ সম্পর্কিত গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করার সময়, নতুন যৌগেটির বৈশিষ্ট্যগুলি সনাক্ত করেননি, তাই কীটনাশক হিসাবে এর অসাধারণ মূল্য তিনি উপলব্দি করতে পারেন নি।

মুলার দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন যে ডিডিটিই সেই রাসায়নিক যা তিনি খুঁজছিলেন। সুইস সরকার এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার কর্তৃক ডিডিটি পরীক্ষায় কলোরাডো আলু বিটলের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। অধিকতরও পরীক্ষায় মশা, লাউস (উকুন ও এ জাতীয় কীট), মাছি এবং স্যান্ডফ্লাই সহ বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ এবং পরবর্তিতে যা যথাক্রমে ম্যালেরিয়া, টাইফাস, প্লেগ এবং বিভিন্ন গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগের বিরুদ্ধে এর বিস্ময়কর কার্যকারিতা প্রদর্শন করে।

ডিডিটি এর ব্যবহার

[সম্পাদনা]

১৯৪০ সালে ডিডিটি-এর উপর সুইস পেটেন্ট নেওয়ার পর (১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্য এবং ১৯৪৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া পেটেন্ট নেয়), গাইগি দুটি ডিডিটি-ভিত্তিক পণ্য বাজারজাত করা শুরু করে, একটি গেসারোল স্প্রে কীটনাশক নামক ৫% ডাস্ট এবং অপরটি নিওসিড ডাস্ট ইনসেক্টিসাইড নামক ৩% ডাস্ট। ডিডিটি নামটি প্রথম ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ সরবরাহ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যবাহার করা হয় এবং একই বছরের মে মাসে পণ্যটি মার্কিন সেনাবাহিনীর সরবরাহ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও ১৯৪৩ সালে প্রাপ্তবয়স্ক ভেক্টর মশার বিরুদ্ধে বাড়তি কীটনাশক হিসাবে ডিডিটির প্রথম ব্যবহারিক পরীক্ষা করা হয়। পরের বছর, ইতালিতে, পরীক্ষাটি করা হয় একটি সম্প্রদায়ের সমস্ত বাসস্থান এবং বহিঃর্ভবনের অভ্যন্তরীন দেয়ালগুলোতে রেসিডিউয়াল ডিডিটি প্রয়োগ করে, যাতে অ্যানোফিলিস ভেক্টর এবং ম্যালেরিয়ারমতো ঘটনার উপর এর প্রভাব পরীক্ষা করা যায় ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডিডিটি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।[] ১৯৫০ এবং ১৯৭০ এর দশকের মধ্যে, ডিডিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক দেশ থেকে ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে সাহায্য করে।[]

বৈজ্ঞানিক কর্মজীবনের শেষের দিকে

[সম্পাদনা]

মুলার ১৯৪৬ সালে গাইগির উদ্ভিদ সুরক্ষার জন্য দ্রব্যের বৈজ্ঞানিক গবেষণার উপ-পরিচালক নিযুক্ত হন। ১৯৪৮ সালে তিনি ফিজিওলজি (প্রাণী ও উদ্ভিদবর্গের জীবনধারা-সংক্রান্ত বিজ্ঞান বা শারীরবিদ্যা) এবং মেডিসিনে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন, "বহু আর্থ্রোপডের বিরুদ্ধে সংস্পর্শ বিষ হিসাবে ডিডিটির উচ্চ কার্যকারিতা আবিষ্কারের জন্য।"[] তিনি একজন চিকিৎসক বা চিকিৎসা গবেষক না হওয়া সত্ত্বেও এই সম্মানে ভূষিত হওয়ার বিষয়টি থেকে বোঝা যায় মানুষের রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিডিটি-এর প্রভাব কতটা ব্যাপক ছিলো। নোবেল কমিটির ভাষায়ঃ "বন্দী শিবির, কারাগার এবং নির্বাসিতদের সরিয়ে নিতে প্রচুর পরিমাণে ডিডিটি ব্যবহার করা হয়েছে। সন্দেহাতীত ভাবে, উপাদানটি ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা করেছে।" ১৯৫১ সালে, মুলার ছিলেন সাতজন নোবেল বিজয়ীর একজন যারা ১ম লিন্ডাউ নোবেল বিজয়ী সভায় যোগ দিয়েছিলেন।[]

ফিজিওলজি বা মেডিসিনে ১৯৪৮ সালের নোবেল পুরস্কারের পাশাপাশি, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ডিডিটি-এর প্রভাবের স্বীকৃতিস্বরূপ মুলার গ্রিসের থেসালোনিকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬১ সালে গাইগি থেকে অবসর নেয়ার পর, তিনি হোম ল্যাবরেটরিতে (পারিবারিক গবেষনাগারে) গবেষণা চালিয়ে যান।[]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

হাই স্কুলে, মুলার শুধুমাত্র একজন সাধারণ ছাত্র ছিলেন। তার গ্রেড ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল কারণ সে তার সমস্ত অবসর সময় তার ছোট হোম ল্যাবরেটরিতে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যয় করেছে। হাই স্কুল এবং কলেজে, তার কম এবং অনিয়মিত উপস্হিতির কারণে মুলারকে প্রায়ই তার সমবয়সীরা "দ্য ঘোস্ট বা ভুত)" বলে উপহাস করতো।[]

মুলার ১৯২৭ সালে ফ্রিডেল রুয়েগসেগারকে বিয়ে করেন। তিনি হেনরিখ (জন্ম ১৯২৯) এবং নিকলাউস (জন্ম ১৯৩৩) নামে দুটি পুত্র এবং মার্গারেথা (জন্ম ১৯৩৪) নামে একটি কন্যা।[] সন্তান লাভ করেন। তার স্ত্রী পরিবারের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং তাদের দুই ছেলে ও মেয়েকে লালনপালন করেন যাতে মুলার রসায়নে মনোনিবেশ করতে পারেন।[]

অবসর সময়ে, মুলার সুইস আল্পস এবং সুইস জুরার প্রকৃতি উপভোগ করতেন যেখানে তার একটি ছোট হলিডে হোম ছিলো, যা তাকে উদ্ভিদবিদ্যায় তার দীর্ঘ দিনের আগ্রহ ধরে রাখতে সহায়াতা করে। এছাড়া, তিনি একটি ছোট ফলের খামারের মালিক ছিলেন যা তিনি নিয়মিত দেখাশোনা করতেন। মুলার প্রায়শই আয়েশ করতেন বাগানের যত্ন নিয়ে, পাহাড়ের বন্য ফুলের ছবি তুলে এবং বাচ্চাদের ভোরে প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটতে নিয়ে। তাছাড়া, মুলার এবং তার স্ত্রী প্রায়ই বাঁশি এবং পিয়ানো ডুয়েট বাজিয়ে উপভোগ করতেন গ্লূকের অরফিও এড ইউরিডিস অপেরা ।[]

সাপ্তাহিক ছুটিগুলোতে পাহাড়ে পড়াশুনা করে, উদ্ভিদ সুরক্ষা এবং কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞানে মুলার নিজেকে নিমগ্ন রাখতেন। এই মুগ্ধতার ফল গাইগিতে কীটনাশক নিয়ে তার গবেষণা এবং ফলস্বরুপ ডিডিটি-এর কীটনাশক বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার।[]

মুলারকে স্বাধীন, একাকী নেকড়ে হিসেবে গণ্য করা হতো। তার মেয়ে, মার্গারেথা, তাকে একজন আইজেনব্রোটলার বলে ডাকতেনঃ "যে নিজের রুটি নিজেই বানান"। তিনি তার জীবনের সকল ক্ষেত্রে ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও অবিচল, তার কলেজ জীবনে গুরু ফিচটারের কাছ থেকে যার অনেক কিছু তিনি শিখেছিলেন।[]

১৯৬৫ সালের ১৩ই অক্টোবর ভোরে বেসেলে সামান্য অসুস্থতার পরে পরিবার বেষ্টিত হয়ে মুলার মৃত্যু বরন করেন।[]

সম্মান

[সম্পাদনা]

মুলার তার জীবনে অনেক সম্মাননা পেয়েছিলেন, তার মধ্যে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার ছিলো অন্যতম। তার আবিষ্কারের ফলে দেশ থেকে ম্যালেরিয়া প্রায় নির্মূল করার জন্য বিশেষত গ্রীস তাকে সম্মাননা প্রদান করেছে। ১৯৬৩ সালে, তিনি গ্রীসে আমন্ত্রিত হন এবং অত্যন্ত সম্মানের সাথে গৃহীত হন এবং জাতীয় বীর হিসাবে স্বীকৃতি পান।[]

  • ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার ১৯৪৮[]
  • "সুইস নেচার রিসার্চ সোসাইটি" এর অনারারি সদস্য[] ১৯৪৯[]
  • "প্যারিস সোসাইটি অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি" এর অনারারি সদস্য[] ১৯৪৯[]
  • "রিয়েল অ্যাকাডেমিয়া ইন্টারনাজিওনালে দেল পার্নাসো (নাপোলি)" এর অনারারি সদস্য ১৯৫১[]
  • "Congrès Internationale de Phytopharmacie et Phytiatrie (Paris)" ১৯৫২ এর সম্মানের পদক[]
  • ১৯৫৪ সালে "অ্যাকাডেমিয়া ব্রাসিলিরা ডি মেডিসিনা মিলিটার (রিও ডি জেনেইরো)" এর অনারারি সদস্য[]
  • ইউনিভার্সিডাড ন্যাসিওনাল ইভা পেরন এ সম্মানসূচক ডক্টরেট[]
  • "Escuela Superior Tecnica e Investigacion Cientifica (Buenos Aires)" এ অনারারি প্রফেসরশিপ[]
  • থেসালোনিকির অ্যারিস্টটল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট[] ১৯৬৩[]
  • থেসালোনিকি শহরের গোল্ডেন মেডেল ১৯৬৩[]
  • ম্যুলার, পল হারম্যান (১৯২৫), Die chemische und elektrochemische Oxidation des as. m-Xylidins und seines Mono- und Di-Methylderivates, বেসেল: Universität Basel, Philosophische Fakultät. Inauguraldissertation 
  • Fichter, Friedrich; Müller, Paul Hermann (১৯২৫)। "Chemische und elektrochemische Oxydation des as. m-Xylidins und seines Mono- und Di-Methylderivats": 290–300। ডিওআই:10.1002/hlca.19250080148 
  • Läuger, P; Martin, H; Müller, Paul Hermann (১৯৪৪), "Über Konstitution und toxische Wirkung von natürlichen und neuen synthetischen insektentötenden Stoffen", Helvetica Chimica Acta, Genf / Basel: Helv. Chim. Acta., 27 (1), পৃষ্ঠা 892–928, ডিওআই:10.1002/hlca.194402701115 
  • Müller, Paul Hermann (১৯৪৬), Über Zusammenhänge zwischen Konstitution und insektizider Wirkung, 29, Genf / Basel: Helv. Chim. Acta, পৃষ্ঠা 1560–1580 
  • Müller, Paul Hermann (১৯৪৬), Relations entre la constitution chimique et l'action insecticide dans le groupe de Dichlorodiphényltrichloroéthane et Dérivés apparantes, Compte-Rendu du Premier Congrès International de Phytopharmacie. Hévérle, পৃষ্ঠা 97 
  • Müller, Paul Hermann (১৯৪৯), Dichlorodiphenyläthan und neuere Insektizide. Nobel lecture, delivered 11. December 1948. In "Les Prix Nobel en 1948", Stockholm: Kungl.Boktryckeriet P. A. Norstedt & Söner, পৃষ্ঠা 122–123 
  • Müller, Paul Hermann (১৯৪৯), Physik und Chemie des Dichlorodiphenyläthans, Berlin / Göttingen / Heidelberg: Ergebn. Hyg. Bakteriol. Immunitätsforsch. exp. Therap., পৃষ্ঠা 8–17 
  • Müller, Paul Hermann (১৯৪৯), DDT and the newer insekticides, London: Proceedings of the 2nd International Congress on Crop Protection 
  • Müller, Paul Hermann; Spindler, M (১৯৫৪)। "Die Chemie der Insektizide, ihre Entwicklung und ihr heutiger Stand": 91–131। ডিওআই:10.1007/BF02158514পিএমআইডি 13161889 
  • ম্যুলার, পল হারম্যান (১৯৫৪), Chlorierte Kohlenwasserstoffe in der Schädlingsbekämpfung. In: Ullmanns Encyklopädie der technischen Chemie. 5. Band, ম্যুনচেন / বার্লিন: Urban & Schwarzenberg, পৃষ্ঠা ৪৭৭–৪৮৬ 
  • ম্যুলার, পল হারম্যান (১৯৫৫), Physik und Chemie des DDT-Insektizides. In: DDT, das Insektizid Dichlorodiphenyläthan und seine Bedeutung Vol I, বেসেল / স্টূটগার্ট: Birkhäuser, পৃষ্ঠা ২৯–৮৯ 
  • ম্যুলার, পল হারম্যান (১৯৫৯), Verwendung der Antibiotica im Pflanzenschutz und Vorratsschutz, , বেসেল / নিউ ইয়র্ক: Antibiotica et Chemotherapia, পৃষ্ঠা ১–৪০ 
  • ম্যুলার, পল হারম্যান (১৯৬১), Zwanzig Jahre wissenschaftliche - synthetische Bearbeitung des Gebietes der synthetischen Insektizide, ১৪, Stuttgart (স্টূটগার্ট): Naturwiss. Rdsch., পৃষ্ঠা ২০৯–২১৯ 
  • ম্যুলার, পল হারম্যান (১৯৬৪), Schädlingsbekämpfung; Insekticide und andere Insektenbekämpfungsmittel. In: Ullmanns Encyklopädie der technischen Chemie. 15. Band, ম্যুনচেন / বার্লিন: Urban & Schwarzenberg, পৃষ্ঠা 103–131 
  1. Augustin, Frank (১৯৯৩)। Zur Geschichte des Insektizids Dichlordiphenyltrichloräthan (DDT) unter besonderer Berücksichtigung der Leistung des Chemikers Paul Müller (1899 - 1965)। Medizinische Fakultät der Universität Leipzig। পৃষ্ঠা 1–77। 
  2. Paul Hermann Müller Biography। Gale Group (World of Anatomy and Physiology)। 
  3. "The Nobel Prize in Physiology or Medicine 1948: Paul Müller"। Nobelprize.org। 
  4. "The Truth About DDT and Silent Spring"। The New Atlantis। 
  5. "1st Lindau Nobel Laureate Meeting - Laureates"www.mediatheque.lindau-nobel.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৯ 
  6. McGrayne, S. B. Prometheans in the lab: chemistry and the making of the modern world; McGraw-Hill: New York, 2002; p 148-162
  7. Paul Hermann Müller, Nobel Prize in Physiology or Medicine, 1948. https://www.geni.com/people/Paul-Müller-Nobel-Prize-in-Physiology-or-Medicine-1948/6000000029325653148 (accessed Nov 12, 2018).
  8. "Dr. Paul Müller." (পিডিএফ)। ডিসেম্বর ১৯৬৫: 1043–4। আইএসএসএন 0028-0836ডিওআই:10.1038/2081043b0অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 5331547। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-২৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]