পলাশ

পলাশ
ভারতের বেঙ্গালুরুতে
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Fabales
পরিবার: Fabaceae
গণ: Butea
প্রজাতি: B. monosperma
দ্বিপদী নাম
Butea monosperma
(Lam.) Taub.
প্রতিশব্দ

Butea frondosa Roxb. ex Willd.
Erythrina monosperma Lam.[]
Plaso monosperma

বসন্ত ঋতুতে পলাশ

পলাশ মাঝারি আকারের পর্ণমোচী বৃক্ষ। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Butea monosperma। বৃক্ষটি Fabaceae পরিবারের সদস্য। তবে পলাশ গাছ তার ফুলের জন্যই সবচেয়ে বেশি পরিচিত।[]

সংস্কৃততে এটি কিংশুক এবং মনিপুরী ভাষায় পাঙ গোঙ নামে পরিচিত।

লাল পলাশ গাছ, মালযমুনা গ্রাম (দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ)

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

পলাশ গাছ সর্বোচ্চ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দার গাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়।

বসন্তে এ গাছে ফুল ফোটে। টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও লালচে কমলা রঙের পলাশ ফুলও দেখা যায়। পলাশ ফুল ছোট, ফুল ২ থেকে ৪ সে.মি. লম্বা হয়।[]

পলাশের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গাতে কমবেশি পলাশ গাছ দেখতে পাওয়া যায়।[]

বিস্ত‌ৃতি

[সম্পাদনা]

ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া পর্যন্ত বিস্ত‌ৃত।

সাহিত্যে পলাশ ফুল

[সম্পাদনা]

বাংলা সাহিত্যে পলাশ ফুলের প্রসঙ্গ এসেছে নানাভাবে। কবি নজরুল তার একটি গানে লিখেছেন-

এছাড়াও বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি দেশাত্মবোধক গানে এর উল্লেখ পাওয়া যায়- ‘আমায় গেঁথে দাও না মাগো একটি পলাশ ফুলের মালা...’ []

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক কবিতা ও গানেও পলাশ ফুলের উল্লেখ আছে। যেমন - দোলের গান, ওরে গৃহবাসীতে "রাঙা হাসি রাশি রাশি, অশোকে পলাশে' বা ফাগুন হাওয়ায় হওয়ায় গানে "তোমার   অশোকে কিংশুকে, অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে"।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Butea monosperma (Lam.) Taub."Germplasm Resources Information Network। United States Department of Agriculture। ২০০৬-০৫-১৮। ২০০৯-০৫-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-২৪ 
  2. ফাগুনের লাল পলাশ - দৈনিক যুগান্তর (মার্চ ৭, ২০১৫)
  3. আওয়াল, শেখ আব্দুল (২০১৯-০৩-১২)। "অরণ্যে অগ্নিশিখা ফোটে বসন্তে লম্বা মঞ্জরি"দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা: এম এ খান মাসুদ। ২০১৯-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬