পলাশী | |
---|---|
শহর | |
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৮′ উত্তর ৮৮°১৫′ পূর্ব / ২৩.৮০° উত্তর ৮৮.২৫° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | নদিয়া |
সরকার | |
• শাসক | Municipality |
উচ্চতা | ১৭ মিটার (৫৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৯,৯৮৪ |
ভাষা | |
• Official | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
PIN | ৭৪১১৫৬ |
টেলিফোন কোড | ৯১ ৩৪৭৪ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-WB |
যানবাহন নিবন্ধন | WB |
ওয়েবসাইট | wb |
পলাশী (পুরনো ইংরেজি নাম: Plassey) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরের প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত একটি গ্রাম (অধুনা সেন্সাস টাউন)। ১৭৫৭ সালে এই গ্রামেই বিখ্যাত পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে পলাশী একটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বাণিজ্যকেন্দ্র। পলাশীর কাছাকাছি উল্লেখযোগ্য শহর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা।
শিয়ালদহ - লালগোলা লাইনে পলাশী নদীয়া জেলার শেষ স্টেশন। কলকাতা হতে একাধিক লালগোলা প্যাসেঞ্জার, ভাগিরথী এক্সপ্রেস বা হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেস/ধনধান্য এক্সপ্রেস পলাশীর ওপর দিয়ে যায়। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক পলাশীর প্রধান রাস্তা। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগকারী এই মূল সড়কপথ ধরেও পলাশী আসা যায়।
১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর আমবাগানে মুর্শিদাবাদের নবাব সিরাজদ্দৌলার সঙ্গে রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে জয়লাভ করে ইংরেজরা আস্তে আস্তে সারা ভারতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। পলাশীর যুদ্ধই পলাশী গ্রামকে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। ইংরেজ রাজত্বে পলাশী বাংলা প্রদেশের (অধুনা পশ্চিমবঙ্গের) নদিয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।[১] যুদ্ধের স্মৃতিতে পলাশীতে একটি স্তম্ভ প্রোথিত করা হয় যা পলাশী মনুমেন্ট নামে পরিচিত।
১৯৯৮ সালে স্থানীয় চিনিকলের মালিক খৈতান গোষ্ঠী এই গ্রামের নাম পালটে "খৈতান নগর" রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় সংবাদপত্র ও বুদ্ধিজীবীরা এর প্রতিবাদ জানালে তারা সেই পরিকল্পনা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
পলাশীর ভৌগোলিক অবস্থান ২৩°৪৮′ উত্তর ৮৮°১৫′ পূর্ব / ২৩.৮০° উত্তর ৮৮.২৫° পূর্ব।[২] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই অঞ্চলের উচ্চতা ১৭ মি (৫৬ ফু)। ভাগীরথী নদীর অপর প্রান্তে মুর্শিদাবাদ জেলার বাজারসাউ গ্রামটি অবস্থিত। তার ১১ কি.মি. দূরে রয়েছে বড়চাঁদঘর ঠাকুর পাড়া গ্রাম।
পলাশী নামটি এসেছে লাল রঙের ফুল পলাশ থেকে।