ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পলান রতনজী উমরিগড় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সোলাপুর, মহারাষ্ট্র, ভারত [১] | ২৮ মার্চ ১৯২৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৭ নভেম্বর ২০০৬ মুম্বই, ভারত | (বয়স ৮০)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৭) | ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ এপ্রিল ১৯৬২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৪ অক্টোবর ২০১৭ |
পলান রতনজী উমরিগড় (গুজরাটি: પોલી ઉમરીગર; জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯২৬ - মৃত্যু: ৭ নভেম্বর, ২০০৬) মহারাষ্ট্রের সোলাপুর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। বোম্বে দলের পক্ষে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। মাঝারিসারিতে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন পলি উমরিগড়।
;সম্ভবতঃ বোম্বেতে পলি উমরিগড়ের জন্ম। তবে, প্রায়শঃই মহারাষ্ট্রের সোলাপুর এলাকাকে তার জন্মস্থানরূপে উল্লেখ করা হয়।(দেখুন [১]) তার বাবা বস্ত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। সোলাপুরেই তার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার পরিবার বোম্বে অভিমুখে যাত্রা করেন।
ভারতের জরস্ত্রোত্র সম্প্রদায়ভূক্ত পারসি সদস্য ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর শুরুরদিকে কয়েক দশক এ সম্প্রদায়টি বোম্বের ক্রিকেটে ব্যাপক প্রভাববিস্তার করে।[২] পারসিসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৪৪ সালে বোম্বে পঞ্চদলীয় খেলায় ১৮ বছর বয়সে তার এই অংশগ্রহণ। সেন্ট জাভিয়ের্স কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয় দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়াও হকি ও ফুটবলে তার আধিপত্য ছিল।
৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। একই দলের বিপক্ষে ১৩ এপ্রিল, ১৯৬২ তারিখে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন উমরিগড়।
অক্টোবর, ১৯৪৮ সালে সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরূপে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রান তুলেন তিনি।[৩] এ অনবদ্য ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর নজর কাড়তে সমর্থ হন। ফলশ্রুতিতে বোম্বেতে সাত সপ্তাহ পর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে তার।
একই সময়ে ১৯৪৯-৫০ ও ১৯৫০-৫১ মৌসুমে দুইটি কমনওয়েলথ দল ভারত সফরে আসে। উমরিগড় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। প্রথম দলের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক টেস্টে ২৭৬ রান ও দ্বিতীয় দলের বিরুদ্ধে ৫৬২ রান তুলেন। মাদ্রাজ টেস্টে ফ্রাঙ্ক ওরেলের বলে উপর্যুপরি দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ৯০ থেকে ১০২-এ নিজ রানকে নিয়ে আসেন।[৪]
এক বছর পর নিজ দেশে অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে প্রথম চার টেস্টে অংশ নিয়ে মাত্র ১১৩ রান তুলতে সমর্থ হন। পঞ্চম টেস্টে দল থেকে বাদ পড়েন তবে শেষ মুহুর্তে হিমু অধিকারীর আঘাত পেলে তার ঠাঁই হয়। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৩০ রান তুলেন তিনি। এরফলে ভারত তাদের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম জয়ের সন্ধান পায়। বোলিংয়ে তিনি উচ্চমানের না হলেও উমরিগড় তার জীবনের সেরা ইনিংস খেলেছিলেন বলে জানান।[৫][৬]
১৯৫২ সালে উমরিগড় ইংল্যান্ড সফরে যান। প্রস্তুতিমূলক খেলাগুলোয় আশাতীত সাফল্য পেলেও টেস্টে একেবারেই ব্যর্থ হন। তবে, ভারত দলের পক্ষে ঐ মৌসুমে তিনি ১,৬৮৮ রান তুলেছিলেন। মে মাসের মধ্যেই আট শতাধিক রান তুলেন ও অক্সফোর্ড, ল্যাঙ্কাশায়ার এবং কেন্টের বিপক্ষে দ্বি-শতক রান তুলেন।
কেমব্রিজের ফাস্ট বোলার কুয়ান ম্যাকার্থির[৭] বল মোকাবেলায় তাকে বিব্রতকর অবস্থায় দেখা যায়। তবে, টেস্টের সাত ইনিংসে তিনি মাত্র ৬.১৪ গড়ে ৪৩ রান তুলতে সমর্থ হন। ফ্রেড ট্রুম্যানের মুখোমুখি হলে স্কয়ার লেগ অঞ্চলেই বলকে ঠেলে পাঠাতেন এবং আনাড়ীর ন্যায় বলকে ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হতেন।[৮] অ্যালেক বেডসার তাকে দুইবার, ট্রুম্যান চারবার আউট করেন।[৯]
উমরিগড়ের খেলোয়াড়ী জীবনের অন্য অংশের তুলনায় এ সিরিজকে ঘিরে অধিক বিষয়াদি উল্লেখ করা হয়েছে।[১০] ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে আরও সফলতা পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৯ সালে ট্রুম্যানের ন্যায় খেলোয়াড় সমৃদ্ধ ইংরেজ দলের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারে শতক পেয়েছেন।
নিজদেশে অনুষ্ঠিত ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের খেলোয়াড়ী জীবনকে উজ্জ্বীবিত করেন।
ফ্রাঙ্ক কিং, ওয়েস হল, রয় গিলক্রিস্ট ও চার্লি স্টেয়ার্সের ন্যায় খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি সিরিজে অংশ নিয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছেন। তন্মধ্যে, হল ও স্টেয়ার্সের বোলিংয়ের বিপক্ষে লড়াই করে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা ইনিংস উপহার দিয়েছেন।
১৯৫৩ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৬০ রান তুলেন। এতে দুইটি শতক ও চারটি অর্ধ-শতক ছিল।[১১] সনি রামাদিনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পোর্ট অব স্পেনে শতরানের কোঠায় পৌঁছেন।[১২]
১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নেন। হায়দ্রাবাদে সফরকারী দলের বিপক্ষে ২২৩ রানের ইনিংসটি ভারতের পক্ষে প্রথম দ্বি-শতক ছিল।
১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে কমনওয়েলথ একাদশের বিপক্ষে দুইটি অনানুষ্ঠানিক টেস্টে ভারত দলকে নেতৃত্ব দেন। এতে তিনি একটিতে জয়ী হন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে শুরু করে তিন বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজ পর্যন্ত উপর্যুপরি আট টেস্টে ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্বভার তার উপর অর্পিত হয়। তন্মধ্যে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ী হয় তার দল।
১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক টেস্টের পর গুলাম আহমেদ তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে দল পরিচালনা করেন। তবে দুইটিতে পরাজিত হয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।
মাদ্রাজের চতুর্থ টেস্টে উমরিগড় পুনরায় অধিনায়কের দায়িত্ব পান। তবে, গুলাম আহমেদ ও আঘাতপ্রাপ্ত বিজয় মাঞ্জরেকারের বিপরীতে সদস্য নির্বাচন করা নিয়ে বিতর্কের উদ্রেক হয়। উমরিগড় মাঞ্জরেকারের পরিবর্তে আরেকজন ব্যাটসম্যান মনোহর হারিদকরকে চান। কিন্তু, বিসিসিআইয়ের তৎকালীন সভাপতি রতিভাই প্যাটেল অফ স্পিনার জসু প্যাটেলকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন।[১৩]
টেস্টের পূর্ব-রাত্রে উমরিগড় অধিনায়কের পদ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন|[১৪] এরপর আরও তিন বছর তিনি ভারত দলে খেলেন। তবে আর কখনো অধিনায়কের দায়িত্বে যাননি। ঐ সিরিজে পাঁচ টেস্ট খেলে ৩৩৭ রান তুলে ভারতের শীর্ষ রান সংগ্রাহক হন।
১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। টেস্ট খেলাগুলোর বাইরে ব্যাপকসংখ্যায় রান তুলেন। তবে এবারো চতুর্থ টেস্ট পর্যন্ত ট্রুম্যান ও ব্রায়ান স্ট্যাদামের বিরুদ্ধে তাকে লড়াই করতে হয়েছিল। এ সফরের প্রস্তুতিমূলক খেলায় তিনটি দ্বি-শতক হাঁকান। তন্মধ্যে, কেমব্রিজের বিপক্ষে অপরাজিত ২৫২ রান তুলেন যা বিদেশের মাটিতে যে-কোন ভারতীয় ক্রিকেটারের জন্য সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল।[১৫] চার টেস্টে অংশ নিয়ে ২৩০ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ট্রুম্যানের বিপক্ষে সর্বশেষ অংশ নিয়ে ১১৮ রানের মনোজ্ঞ শতরান করেন।
উমরিগড়ের অফ স্পিন বোলিং জসু প্যাটেলের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে কানপুর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে, তার ব্যাটিং আশাব্যঞ্জক ছিল না। সিরিজের শেষ দুই টেস্টে পিঠের আঘাতের কারণে অংশ নিতে পারেননি তিনি। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি সেঞ্চুরি, ১৯৬১-৬২ মৌসুমে নিজ দেশে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরি করেন। তন্মধ্যে, তৃতীয় সেঞ্চুরি করতে তাকে অনেকগুলো টেস্ট ইনিংস খেলতে হয়।
কয়েক সপ্তাহ পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারত দল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজের প্রত্যেকটিতে হেরে বসে তার দল। পোর্ট অব স্পেনের চতুর্থ টেস্টে উমরিগড় ৫৬ ও অপরাজিত ১৭২* রানের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ৫/১০৭ পান।[১৬] তন্মধ্যে প্রথম ইনিংসে তার করা অর্ধ-শতকটি আসে ভারতের ৩০/৫ থাকা অবস্থায়। পরবর্তীতে ফলো-অনের কবলে পড়ে ভারত দল। শতরানে পৌঁছতে তিনি ১৫৬ মিনিট ও দেড়শত রান তুলতে ২০৩ মিনিট ব্যয় করেন। দ্বিতীয় নতুন বল নেয়ার পর ওয়েস হলের বিপক্ষে মুখোমুখি হন ও এক ওভারেই চারটি বাউন্ডারি মারেন।[১৭] শেষ উইকেটে দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান ১৪৪ রান যুক্ত করেন। শেষ পর্যন্ত ২৪৮ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে অপরাজিত ১৭২ রান তুলেন ও শেষ উইকেট জুটিতে ২৩০ রান যুক্ত করেন। ঐ সিরিজে তিনি ৪৪৫ রান ও নয় উইকেট পান।
তবে পিঠের আঘাত উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকলে দেশে ফেরার পর তার অবসরের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন। তবে, বোম্বের পক্ষে আরও এক মৌসুম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন পলি উমরিগড়।
ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে দুইবার সহস্রাধিক রান তুলেন। এছাড়াও ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে চার্চ দলের পক্ষে কয়েক মৌসুম খেলেন।
১৯৭০-এর দশকে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত দলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন উমরিগড়। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সময়কালে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিসিসিআইয়ের নির্বাহী সচিব ও মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ক্রিকেট কোচিং বিষয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। একসময় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচের কিউরেটর ছিলেন।
১৯৬২ সালে পদ্মশ্রী পদক লাভ করেন ও ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে খেলায় অসামান্য অবদানের প্রেক্ষিতে সি.কে. নায়ডু ট্রফি লাভ করেন। জাতীয় পর্যায়ের অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতাটি তার সম্মানার্থে পলি উমরিগড় ট্রফি নামকরণ হয়।
১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সময়কাল পর্যন্ত ভারত দলকে আট টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৬২ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেন। এ সময় তিনি ভারতের পক্ষে সর্বাধিক ৫৯ টেস্টে অংশগ্রহণ, সর্বাধিক ৩,৬৩১ রান ও সর্বাধিক ১২ সেঞ্চুরি করেছিলেন। এছাড়াও, প্রথম ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে দ্বি-শতক রানের ইনিংস খেলেন। সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদে এ দ্বি-শতকটি হাঁকিয়েছিলেন পলি উমরিগড়।
১৯৫১ সালে ‘দিনু’ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তাদের সংসারে দুই পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।
কণ্ঠনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত উমরিগড়কে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্যামোথেরাপি দেয়া হতো।[১৮] অতঃপর দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৭ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে ৮০ বছর বয়সে মুম্বইয়ে তার দেহাবসান ঘটে।[১৯]
পূর্বসূরী গুলাম আহমেদ |
ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৫৫/৫৬ - ১৯৫৮/৫৯ |
উত্তরসূরী গুলাম আহমেদ |