পল্লাবরম பல்லாவரம் পল্লবপুরম | |
---|---|
চেন্নাইয়ের অঞ্চল | |
স্থানাঙ্ক: ১২°৫৮′ উত্তর ৮০°০৯′ পূর্ব / ১২.৯৭° উত্তর ৮০.১৫° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | চেঙ্গলপট্টু জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৮ বর্গকিমি (৭ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৬ মিটার (৫২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,১৫,৪১৭ |
• জনঘনত্ব | ১২,০০০/বর্গকিমি (৩১,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০০০৪৩ (পল্লাবরম পশ্চিম ও ত্রিশূলম), ৬০০১১৭ (পল্লাবরম পূর্ব), ৬০০০৭৫ (পাম্মল), ৬০০০৭৪ (পোলিচলুর), ৬০০০৭০ (অনকাপুদুর), ৬০০০৪৪ (ক্রোমপেট) এবং ৬০০১৩২ (তিরুনীরমালাই) |
যানবাহন নিবন্ধন | টিএন-২২ (নতুন), টিএন-০৭ (পুরান) |
প্রশাসন | চেন্নাই পল্লাবরম পৌরনিগম (প্রস্তাবিত) |
ওয়েবসাইট | www |
পল্লাবরম (মূলরূপে পল্লবপুরম) দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত চেঙ্গলপট্টু জেলায় চেন্নাই শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি জনবসতিপূর্ণ শহর। চেন্নাই মহানগরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত একটি মনোনয়ন শ্রেণীর পুরনিগম৷ ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাস পর্যন্ত এটি আলান্দুরের অংশ ছিলো, পরে নতুন পল্লাবরম তালুক গঠন হলে শহরটি ঐ তালুকের সদরে পরিণত হয়৷ বর্তমানে এটি একটি তালুক সদর এবং অতিদ্রুত জন বিন্যাস বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শহর, এখানে অনেক আবাসিক কলোনি রয়েছে৷ এই অঞ্চলটিতে রয়েছে চেন্নাই শহরতলি রেলওয়ের পল্লাবরম রেলওয়ে স্টেশন৷
পল্লাবরম থেকে অতিক্রম হওয়া দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়ক হলো:
১১৩এ নং এবং ১০৯ নং তামিলনাড়ু রাজ্য সড়ক৷
পল্লাবরমের ইতিহাস অতিপ্রাচীন এবং এটি প্রাচীন প্রস্তর যুগ থেকেই জনবসতি বহুল৷ শহরটির নাম এরূপ এসেছে পল্লব সাম্রাজ্য থেকে যেখানে এটির পুরাতন নাম ছিলো পল্লবপুরম৷ ব্রিটিশ আমলেই এখানে সেনানিবাস ও একটি বিমানঘাঁটি স্থাপিত হয়েছিলো৷ ব্রিটিশরা পল্লাবরম পাহাড়ে চারনোকাইটের খনি থেকে খনিজ উত্তোলনে তৎপর হন৷
দক্ষিণ ভারতে জনবসতি যুক্ত শহরগুলির মধ্যে পল্লবরম অন্যতম প্রাচীন৷ ব্যালস্ট গর্তের ভেতরে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ রবার্ট ব্রুস ফুট এটি প্রাচীন প্রস্তর যুগের শিলালেখ আবিষ্কার করেন৷[১] এরপর থেকে বহু সংখ্যক প্রস্তরাযুগের নিদর্শন এখান থেকে পাওয়া গিয়েছে৷[১] এই নিদর্শনগুলির সিংহভাগই বর্তমানে এগমোরের চেন্নাই সরকারি যাদুঘরে সংরক্ষিত৷[১]
ক্রোমপেট ও পল্লাবরম একত্রে "পল্লবপুরম" নামে পরিচিত৷[২] বর্তমান পল্লাবরম শহরটিতে জনসমাগমের উল্লেখ পাওয়া যায় পল্লবদের রাজত্বে প্রথম মহেন্দ্রবর্মণের রাজত্বকালে৷[৩] পল্লবরমের পাহাড়ে রয়েছে ৬০০ বছর পুরাতন পল্লব সাম্রাজ্যের পল্লব লিপিতে লেছা নির্দেশ ও বিবরণ৷[৪] শহরেই অবস্থিত একটি ইসলামি দরগাহতে পল্লবরাজাদের নির্মিত কোনো পাহাড়ি নির্মাণের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়৷[৩]
পল্লাবরমে মুঘল এবং ব্রিটিশ কোম্পানি উভয়েরই সেনানিবাস ছিলো৷ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে কিছু দিনের জন্য পল্লাবরম পর্তুগীজ উপনিবেশে পরিণত হয়েছিলো৷ অষ্টাদশ শতাব্দীতে সেন্ট থমাস মাউন্টের পরিপূরক হিসাবে ব্রিটিশরা পল্লাবরমে একটি সেনানিবাস নির্মাণ করান৷ বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এখানে একটি বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয় ও ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ বিমানঘাঁটি কার্যকরীভাবে চালু হয়৷
পল্লাবরম চারটি অঞ্চলে বিভক্ত জামিন পল্লাবরম, পুরান পল্লাবরম, এসা পল্লাবরম ও পল্লাবরম সেনানিবাস৷
১৮৯ একর ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত ইতিহাসের পল্লাবরম পেরিয়া এরি বর্তমানে দুদিকে দুটো আবর্জনাকে পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত একটি ছোট পুকুর সদৃশ হয়ে রয়েছে। তামিল ভাষায় পেরিয়া এরি অর্থ বড় আকারের হ্রদ। পল্লাবরমের ৪২ টি ওয়ার্ডের একত্রিত আবর্জনা এই জলাশয় জলে ফেলার ফলে বর্তমানে এটির আয়তন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। পুকুর ভরাট করে জমি দখলের কারণে প্রায় ২৫ একর আয়তন হ্রাস পেয়েছে। চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাথে রাজীব গান্ধী এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত করার জন্য নির্মিত পল্লাবরম–তোরাইবক্কম সড়কটি এই হ্রদকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। নাগলকেনি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পজাত আবর্জনা এই জলাশয়ের জলকে আরো কলুষিত করে চলেছে।[৫]
পল্লাবরমের উত্তর দিকে ত্রিশূলম ও মীনমবক্কম, পূর্ব দিকে কীলকট্টলাই, দক্ষিণ দিকে তাম্বরম, দক্ষিণ পশ্চিম দিকে তিরুনীরমালাই, পশ্চিম দিকে পাম্মল ও উত্তর-পশ্চিম দিকে কাউল বাজার অবস্থিত।
২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পল্লাবরমের জনসংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২,১৬,৩০৮ হয়েছে।[৬]
পল্লাবরম পৌরনিগমের অন্তর্গত অঞ্চলগুলি হল এসা পল্লাবরম, জামিন পল্লাবরম, পুরানো পল্লাবরম, কীলকট্টলাই, হস্তীনাপুরম এবং নেমিলিচেরি কিন্তু পল্লাবরম সেনানিবাস ব্যতীত।[৭] জামিন পল্লাবরম রাজস্ব গ্রামের অন্তর্গত ক্রোমপেট পল্লাবরম পৌরনগমের অন্তর্গত৷
পল্লাবরম পৌরনগমের কার্যালয়টি জি.এস.টি. রোডের ওপর, ক্রোমপেটে অবস্থিত৷ এটি ক্রোমপেট রেলওয়ে স্টেশন ও এম.আই.টি. প্রাঙ্গণের নিকটে অবস্থিত৷ [৮]
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৬,৪১৬ | — |
১৯১১ | ৭,০৫৯ | +১০% |
১৯২১ | ৮,৭৫৩ | +২৪% |
১৯৩১ | ১০,৭৬৯ | +২৩% |
১৯৪১ | ৯,৮৭৯ | −৮.৩% |
১৯৫১ | ১১,৯৪১ | +২০.৯% |
১৯৬১ | ১৬,২৫৩ | +৩৬.১% |
১৯৭১ | ৫১,৩৭৪ | +২১৬.১% |
১৯৮১ | ৮৩,৯০১ | +৬৩.৩% |
১৯৯১ | ১,১১,৮৬৬ | +৩৩.৩% |
২০০১ | ১,৪৩,৯৮৪ | +২৮.৭% |
২০১১ | ২,১৫,৪১৭ | +৪৯.৬% |
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে পল্লাবরম লোকালয়ের জনসংখ্যা ছিল ২,১৫,৪১৭ জন, যেখানে প্রতি হাজার পুরুষে ৯৯৬ জন নারী বাস করতেন।[১০] মোট শিশু সংখ্যা ২২,২৫৮ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ১১,২৫৩ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ১১,০০৫ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি শতাংশ যথাক্রমে ১৫.৮৮ ও ০.৪৮। শহরটির সাক্ষরতার হার ছিল ৮৩.২৭ শতাংশ যা জাতীয় সাক্ষরতার হারের তুলনায় বেশি।[১০] শহরে মোট পরিবার সংখ্যা ৫৬,১৩৫ টি। মোট শ্রমজীবীর সংখ্যা ৮১,৬৬৯ জন, যার মধ্যে কৃষক ১৬৪ জন, মূল কৃষিজীবী ৪৬৮ জন গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ৯০৬ জন, অন্যান্য শ্রমজীবী ৭৩,৫৪৭ জন। মোট প্রান্তিক শ্রমজীবী সংখ্যা ৬,৫৮৪ জন, যার মধ্যে প্রান্তিক কৃষক ১১৬ জন, প্রান্তিক কৃষিজীবী ৬৫ জন, প্রান্তিক গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ৩২৬ জন, অন্যান্য প্রান্তিক শ্রমজীবী ৬,০৭৭ জন।[১১]