পাঁচমুড়া | |
---|---|
গ্রাম | |
পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে পাঁচমুড়ার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৮′০০″ উত্তর ৮৭°১০′০০″ পূর্ব / ২২.৯৬৬৭° উত্তর ৮৭.১৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | বাঁকুড়া |
সরকার | |
• ধরন | পঞ্চায়েত ব্যবস্থা |
• শাসক | গ্রাম পঞ্চায়েত |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,৭১৯ |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | আইএন-ডব্লিউবি |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি |
লোকসভা কেন্দ্র | বাঁকুড়া |
বিধানসভা কেন্দ্র | তালডাংরা |
ওয়েবসাইট | wb |
পাঁচমুড়া হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার অন্তঃপাতী একটি গ্রাম। এই গ্রামটি উক্ত জেলার খাতড়া মহকুমার তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত একটি গ্রাম পঞ্চায়েত।[১] বিষ্ণুপুর শহর থেকে ২১ কিমি (১৩ মা) দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি বাঁকুড়ার ঘোড়া নামে পরিচিত এক ধরনের টেরাকোটা লোকশিল্পের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে এই শিল্পকর্মটি ভারতীয় হস্তশিল্পের জাতীয় প্রতীক।[২] ২০২২ সালে পয়লা জুলাই এই টেরাকোটা গ্রাম পাঁচমুড়াতেই বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী ভজন দত্তের একক প্রয়াসে গড়ে তোলা হয়েছে বাংলার বৃন্দাবন, ত্রিধারা মিলন মন্দির।
পাঁচমুড়া গ্রামটি ২২°৫৮′০০″ উত্তর ৮৭°১০′০০″ পূর্ব / ২২.৯৬৬৭° উত্তর ৮৭.১৬৬৭° পূর্ব অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এই গ্রামের গড় উচ্চতা ৬৮ মি (২২৩ ফু)।[৩]
পাঁচমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ জনগণনা গ্রামগুলি হল: নূতনগ্রাম, দন্ডুরিয়া, ধোবাজোড়, বাঁশপোকা, কানাইপুর, রাধানগর, আমজোড়, পাঁচমুড়া, আধকারা, কুকুতিয়া, জয়পুর, চাকিয়ামবেদিয়া, লালবাঁধ, দেউলভিড়া, ভেতুয়াডাঙা, জামবেদিয়া, রসিয়াগাড়া, শ্যামসুন্দরপুর ও তাতার।[৪]
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পাঁচমুড়ার মোট জনসংখ্যা ৩,৭১৯। এর মধ্যে ১,৮৫৪ জন (৫০%) পুরুষ এবং ১,৮৬৫ জন (৫০%) মহিলা। এঁদের মধ্যে ৪২৫ জনের বয়স ছয় বছরের কম। পাঁচমুড়ার ২,৫২৫ জন (অন্যূন ছয় বছর বয়সীদের মধ্যে ৭৬.৬৫%) সাক্ষর।[৫]
বাঁকুড়ার ঘোড়া নামে পরিচিত টেরাকোটা লোকশিল্পটি অল ইন্ডিয়া হ্যান্ডিক্র্যাফটসের প্রতীক।[৬] পাঁচমুড়া গ্রামে উৎপাদিত এই শিল্পকর্মটি সারা বিশ্বে ভারতীয় লোকশিল্পের প্রতীক হিসেবে গৃহসজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৭]
পাঁচমুড়ায় ড. পশুপতি মণ্ডলের নেতৃত্বে স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে ১৯৬৫ সালে পাঁচমুড়া মহাবিদ্যালয় নামে একটি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজে বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, রসায়ন, গণিত ও হিসাববিদ্যায় সাম্মানিক পাঠক্রম এবং কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে সাধারণ পাঠক্রম চালু রয়েছে। কলেজটি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত।[৮][৯]