![]() | |
লেখক | হুমায়ুন আজাদ |
---|---|
মূল শিরোনাম | পাক সার জমিন সাদ বাদ |
প্রচ্ছদ শিল্পী | সমর মজুমদার |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | ধর্মীয় মৌলবাদ |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশিত | ফেব্রুয়ারি ২০০৪ |
প্রকাশক | আগামী প্রকাশনী |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (শক্তমলাট) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১১২[১] |
আইএসবিএন | ৯৮৪-৭-০০০-৬০০২১-৯ {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ উপসর্গ |
ওসিএলসি | ৮০৮১০৯৪৯৭ |
পূর্ববর্তী বই | ১০,০০০, এবং আরো ১টি ধর্ষণ (২০০৩) |
পরবর্তী বই | একটি খুনের স্বপ্ন (২০০৪) |
পাক সার জমিন সাদ বাদ হুমায়ুন আজাদ রচিত একটি উপন্যাস। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের[২] একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনী, ঢাকা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতাকারী একটি মৌলবাদী রাজনৈতিক দলের উপর ভিত্তি করে এটি রচিত হয়।[৩]
হুমায়ুন আজাদ এই উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছিলেন '১৯৭১' সালকে; পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের নামানুসারে এই উপন্যাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে কটাক্ষ করা হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
উপন্যাসের শিরোনাম কওমী তারানা নামে একটি সঙ্গীত থেকে নেয়া হয়েছে যেটি পাক সার জমিন নামে বেশি পরিচিত এবং পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহৃত। ১৯৫২ সালে পাকিস্তানি উর্দু ভাষার কবি, হাফিজ জলন্ধরি কর্তৃক এটি রচিত হয়।[৪]
এই উপন্যাসটিতে হুমায়ুন আজাদ তীব্র রূপক-ঋণাত্মক ভাবে বাংলাদেশের একটি কাল্পনিক মৌলবাদী সংগঠনের চিত্র তুলে ধরেছিলেন।
উপন্যাসটির প্রধান নায়ক একটি কাল্পনিক ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সদস্য থাকে যে একটি হিন্দু মেয়ের প্রেমে পড়ে উপন্যাসটির শেষের দিকে তাকে বিয়ে করে এবং ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলটি ত্যাগ করে।
এই বই গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে দৈনিক ইত্তেফাকে পাক সার জমিন সাদ বাদ ছাপা হওয়ার পর সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী আমির এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জাতীয় সংসদে এই ধরনের বই নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে মন্তব্য রাখেন।[৫] বইটির জের ধরে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজের বাসায় যাওয়ার পথে ঘাতকদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। প্রথমে বাংলাদেশের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকাতে[৬] এবং পরে থাইল্যান্ডে নিবিড় চিকিৎসার মাধ্যমে হুমায়ুন আজাদ কিছুটা সুস্থ হন। জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ সংক্ষেপে জেএমবি নামক ইসলামি জঙ্গী সংগঠনের একজন শীর্ষনেতা শায়খ আব্দুর রহমান পরবর্তীতে হুমায়ুন আজাদ এবং একইসাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম ইউনুসকে হত্যার নির্দেশ দেবার কথা স্বীকার করেন।[৭]
পরে ২০০৪ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে হুমায়ুন আজাদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে একটি আবেগী চিঠি লেখেন। এতে তিনি বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান এবং নিজের ও তার পরিবারের সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করেন।
২০১১ সালে হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন সাদ বাদ উপন্যাস অবলম্বনে অনৈতিহাসিক শিরোনামে একটি মঞ্চনাটক তৈরি হয়েছে।[৮]