লেখক | চৌধুরী রহমত আলি |
---|---|
মূল শিরোনাম | নাউ অর নেভার; আর উই টু লিভ অর পেরিশ ফরএভার? |
দেশ | ইংল্যান্ড |
ভাষা | ইংরেজি |
প্রকাশনার তারিখ | ২৮ জানুয়ারি ১৯৩৩ |
পাকিস্তান ঘোষণা (শিরোনাম নাউ অর নেভার; আর উই টু লিভ অর পেরিশ ফরএভার?; বাংলা:এখন না হলে কখনো নয়; আমরা কি চিরদিন বেঁচে থাকব, না চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে যাব?) চৌধুরী রহমত আলি কর্তৃক প্রকাশিত একটি পুস্তিকা।[১][২][৩][৪][৫][৬][৭][৮] ১৯৩৩ সালের ২৮ জানুয়ারি এটি প্রকাশিত হয়। এতে পাকস্তান (ইংরেজি i ব্যতীত) শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়। ১৯৩৩ সালে গোল টেবিল বৈঠকে এটি উপস্থাপন করা হয়েছিল।[৯]
১৯৩৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হামবারস্টোন রোড থেকে চৌধুরী রহমত আলির স্বাক্ষর সংবলিত প্রচ্ছদযুক্ত ঘোষণা প্রকাশিত হয়েছিল। এতে লেখা ছিল:[৯]
৩, হামবারস্টোন রোড,
ক্যামব্রিজ, ইংল্যান্ড।
২৮ জানুয়ারি ১৯৩৩প্রিয় জনাব/জনাবা,
ভারতের পাঁচটি উত্তরাঞ্চলীয় প্রশাসনিক ইউনিট - পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত (আফগান) প্রদেশ, কাশ্মির, সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে বসবাসকারী পাকিস্তানের ৩০ মিলিয়ন মুসলিমের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের নিকট একটি আবেদন রাখছি যা এই পত্রের সাথে সংযুক্ত আছে। এতে ভারতের অন্যান্য অধিবাসী থেকে তাদেরকে একটি পৃথক জাতি হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার দাবি এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও ঐতিহাসিক কারণে পাকিস্তানের জন্য একটি পৃথক যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান অনুমোদন করার দাবি অন্তর্ভুক্ত আছে।
হিন্দু-মুসলিম যে বিরাট সমস্যা সেটার সমাধানকল্পে আমাদের প্রস্তাবিত সমাধান সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত আমাকে জানালে আমি খুব খুশি হব। আমার বিশ্বাস, যেহেতু আপনারাও এই জটিল সমস্যার একটা ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানে অত্যন্ত আগ্রহী, সেহেতু এই আবেদনে যে লক্ষ্যগুলি বর্ণিত হয়েছে সেগুলির প্রতি আপনাদের পূর্ণ সম্মতি ও সক্রিয় সমর্থন থাকবে।
আপনার একান্ত, রহমত আলি (চৌধুরী)। (প্রতিষ্ঠাতা, পাকিস্তান জাতীয় আন্দোলন)
নিম্নোক্ত বক্তব্য দ্বারা পুস্তিকা শুরু হয়েছে:[১০]
ভারতের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যখন ব্রিটিশ ও ভারতের প্রতিনিধিদল এই উপমহাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানের ভিত্তি স্থাপন করছেন তখন আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্যের নামে এবং পাকস্তান-যার দ্বারা আমি বুঝাতে চাইছি ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় পাঁচটি প্রশাসনিক ইউনিট যথা - পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ (আফগান প্রদেশ), কাশ্মির, সিন্ধু এবং বেলুচিস্তানের ৩০ মিলিয়ন মুসলিম ভাইদের পক্ষে এই আবেদন জানাচ্ছি।
পুস্তিকায় প্রস্তাবিত ভারতীয় ফেডারেশন থেকে পৃথক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয় যা ব্রিটিশ ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় পাঁচটি প্রদেশ অর্থাৎ পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ (আফগান প্রদেশ), কাশ্মীর, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান নিয়ে গঠিত হবে।[১১]
পুস্তিকাটি প্রকাশের পর হিন্দু সংবাদ মাধ্যমে পুস্তিকা এবং পাকস্তান শব্দের তীব্র সমালোচনা করা হয়।[১২] উচ্চারণের সুবিধার্থে পরে পাকস্তানে "ই" যোগ করা হয়। পাকিস্তান নামটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং পাকিস্তান আন্দোলনের সূচনা ঘটায়। এর ফলে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান গঠিত হয়।[১৩]