উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে পাকিস্তান অনেক বিষয়ে লড়াই করছে, যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার "কার্য সম্পাদন প্রতিবেদনে" ১৯০ টি দেশের মধ্যে পাকিস্তান ১২২ তম অবস্থানে রয়েছে। [১] পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ৫,০৪১$ (পিপিপি বর্তমান আন্তর্জাতিক $, ২০১৩)[২] এবং মাথাপিছু স্বাস্থ্যের পেছনে মোট ব্যয় ১২৯$ (আন্তর্জাতিক $, ২০১৪), যা জিডিপি (২০১৪) এর মাত্র ২.৬%। [৩] পাকিস্তানের লিঙ্গ বৈষম্য ০.৫৩৬ এবং এ ক্ষেত্রে, ১৮৮ টি দেশের মধ্যে ১৪৭ তম অবস্থানে রয়েছে (২০১৪)। [৪] পাকিস্তানে প্রাপ্ত বয়স্কদের সাক্ষরতার হার ৫৫% (২০১৪) এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৭৩%। [৫] জন্মের সময় প্রত্যাশীত আয়ু ৬৬ বছর (পুরুষ ৬৫ বছর ,মহিলা ৬৭ বছর),[৬] যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির তুলনায় সর্বনিম্ন। [৭] উন্নত পানি এবং সুস্বাস্থ্য সুবিধা ভোগী জনসংখ্যার অনুপাত যথাক্রমে ৯১% (২০১৫) এবং ৬৪% (১৫) [৬]
মূল নিবন্ধ: পাকিস্তানে স্বাস্থ্যসেবা
স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ ব্যবস্থায় রাষ্ট্র এবং অ-রাষ্ট্রীয় উভয়ই অন্তর্ভুক্ত; এবং লাভ এবং অলাভজনক পরিষেবা উভয়ই বিদ্যমান। প্রাদেশিক ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, আধা-সরকারী সংগঠন, সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) এবং বেসরকারী ক্ষেত্র, বেশিরভাগ সময় রোগ-নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিষেবা সরবরাহ করে। দেশের স্বাস্থ্য খাতে, স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা যায়- নগর-পল্লী বৈষম্য এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, ধাত্রী, সহকারী এবং দক্ষ গাইনির সাথে স্বাস্থ্য কর্মীদের ভারসাম্যহীনতা । [৮]
সংক্রামক রোগ বরাবরই পাকিস্তানে মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংক্রামক রোগের দ্রুত প্রসারের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে- অতিরিক্ত জনাকীর্ণ শহর, অনিরাপদ পানির ব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্নতা, দুর্বল আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, স্বল্প স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং অপর্যাপ্ত টিকা প্রদান। এই রোগগুলি সংঘাতের সময়ও মহামারী আকার ধারণ করে।
পাকিস্তান দুটি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে দেশব্যাপী পোলিওর প্রকোপ রয়েছে (১০) এবং যক্ষার প্রাদুর্ভাব (প্রতি ১০০০০০ জনে ২৭০ জন), ম্যালেরিয়া এবং এইচআইভি যথাক্রমে প্রতি ১০০০ জনে ১২.৮ জন এবং প্রতি ১০০০ জনে ০.২ জন। [৯]
অন্যান্য: গলগন্ড, যকৃতের প্রদাহ এবং যক্ষ্মা।
২০.৫% লোকই, অসংক্রামক রোগ যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং করোনারি হৃদরোগের বোঝা বহন করে এবং 2.5% লোক অক্ষম।মূলত ছানির কারণে ডাব্লুএইচওর মানদণ্ড অনুসারে পাকিস্তানের প্রায় 1% লোকের অন্ধত্বের উচ্চ প্রবণতা রয়েছে । অন্ধত্ব থেকে অক্ষমতার সৃষ্টি, যা, দারিদ্র্য, শিক্ষা এবং সামগ্রিক জীবন মানের উপর গভীরভাবে প্রভাবিত ফেলে। [১২]
কলেরা: ২০০৬ সাল পর্যন্ত কলেরার মোট ৪,৬১০ টি কেস ছিল। তবে, ২০১০ সালের বন্যার প্রভাব চিহ্নিত করে যে, কলেরার সংক্রমণ পূর্বের চেয়ে অধিক প্রচলিত হতে পারে। তদুপরি, আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত গবেষণা থেকে জানা গেছে যে গ্রাম্য সিন্ধুর কিছু অংশে শৈশবে ডায়রিয়ারই ভোগী এক-চতুর্থাংশ লোকের কলেরা হতে পারে ।
ডেঙ্গু জ্বর: ২০০৬ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। ভুল রোগ নির্ণয়, দেরীতে চিকিৎসা এবং স্থানীয় জনগণের সচেতনতার অভাবে বেশ কয়েকটি মৃত্যু ঘটেছিল। তবে সামগ্রিকভাবে, জ্বরের জন্য দায়ীদের ধ্বংস করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল এবং পরে এই রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল, এতে খুব কম লোক মারা যায়।
হাম: ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে হামের মোট ৪৪১ টি ঘটনা ঘটেছে।
মেনিনোগোকোকাল মেনিনজাইটিস: ২০০৬ সালে মেনিনোকোকাকাল মেনিনজাইটিসের মোট ৭২৪ টি রোগ ধরা পড়েছিল।
মূল নিবন্ধ: পাকিস্তানে শিশু-ব্যাদিবিশেষ
পাকিস্তান হ'ল কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে পলিওমিলাইটিস নির্মূল হয়নি। ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে পোলিওর মোট ৮৯ টি ঘটনা ঘটেছিল। [১৩] পোলিওর ঘটনা আরো বাড়তে পারে। ২০১০ সালে নতুন নতুন অঞ্চলে পোলিও সনাক্তকরণের পাশাপাশি সংক্রমণের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় কর্মসূচি এবং ডাব্লুএইচওর বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন যে দক্ষিণ পাঞ্জাব এবং উত্তর সিন্ধু থেকে চিহ্নিত নতুন ঘটনাগুলো পাকিস্তানের অন্যান্য স্থান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ফলে হতে পারে। জাতীয় কর্মসূচির দ্বারা ফাটা এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে অবস্থানগুলি সারা বছর ধরে হোস্ট থাকে সংক্রমণ এবং পরিবেশের নমুনা সংগ্রহ অব্যাহত রাখার জন্য এবং ডব্লুএইচও পরামর্শ দেয় যে দেশের অন্যান্য অনেক জায়গায় পোলিও স্থানীয় অবস্থায় রয়েছে।
মূল নিবন্ধ: পাকিস্তানে এইচআইভি / এইডস
পাকিস্তানে এইডস নামক মহামারীটি সুপ্রতিষ্ঠিত এবং আরো প্রসার ঘটতে পারে। এর পেছনে প্রধান কারণগুলি হ'ল বাণিজ্যিক যৌনতা এবং বিবাহ বহির্ভুত যৌনতার উচ্চ হার,[১৪][১৫] উচ্চ মাত্রার থেরাপিউটিক ইনজেকশন গ্রহণ (প্রায়শই অপরিশুদ্ধ সরঞ্জাম দ্বারা নেওয়া হয়),[১৬][১৭] এবং কনডমের অপ্রতুল ব্যবহার [১৮] সাবেক জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনে ছিল) এবং ইউএনএইডস জানিয়েছে যে পাকিস্তানে এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তির পরিমাণ ৯৭,০০০ হতে পারে। তবে এই পরিসংখ্যানগুলি অপ্রচলিত মতামত এবং ভুল অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি; এবং সরকারিভাবে সংগৃহীত তথ্যগুলোর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ, যা প্রস্তাব দেয় যে সামগ্রিক সংখ্যা ৪০,০০০ এর কাছাকাছি হতে পারে। [১৯]
মূল নিবন্ধ: পাকিস্তানে পরিবার পরিকল্পনা
"পাকিস্তান সরকার ২০২০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা স্থিতিশীল (শূন্য বৃদ্ধির হার অর্জন) করতে চায়। এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির সর্বাধিক ব্যবহার জনসংখ্যা কর্মসূচির অন্যতম স্তম্ভ"। [২০] ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন স্টাডিজের (এনআইপিএস) সাথে অংশীদারত্বের মাধ্যমে ম্যাক্রো ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক পরিচালিত সর্বশেষ পাকিস্তান ডেমোগ্রাফিক এবং স্বাস্থ্য জরিপ (পিডিএইচএস) পাকিস্তানে পরিবার পরিকল্পনার ব্যবহার ৩০ শতাংশ বলে ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৯০-৯৯ (পিডিএইচএস ১৯৯০-৯৯) -থেকে এটি ১২ শতাংশ সামগ্রিক বৃদ্ধি দেখায়, এর মধ্যে ৮% হ'ল গতানুগতিক পদ্ধতির ব্যবহারকারী।[২১]
প্রায় ৭০ লক্ষ মহিলা যে কোনও ধরনের পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহার করেন এবং নগর পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১৯৯০ থেকে ২০০৭ সাল অব্দি প্রায় স্থির রয়েছে।যেহেতু অনেকগুলি গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারী নির্বীজন (৩৮%), তাই বছরে যে কোনও পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা গ্রহণকারী মহিলাদের প্রকৃত সংখ্যা ৩০ লক্ষের কাছাকাছি, যেখানে সরাসরি দোকান থেকে কনডম বা বড়ি কিনে অর্ধেকেরও বেশি। স্বাস্থ্য বা জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত সরকারী প্রোগ্রামগুলি একত্র করে বার্ষিক প্রায় ১ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো যায়।[২১] তাই, উর্বরতার উচ্চ হারের কারণে পাকিস্তানের সামগ্রিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দক্ষিণ এশিয়ার অন্য যেকোন অঞ্চলের (প্রতি বছরে প্রায় ১.৯ শতাংশ) তুলনায় অনেক বেশি।
পরিবার পরিকল্পনার সাথে অগ্রগতির এই অভাবের জন্য যে প্রধান কারণগুলি বিদ্যমান, এর মধ্যে রয়েছে- অপর্যাপ্ত পারিবারিক পরিকল্পনা কর্মসূচি যা, সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পরিবার পরিকল্পনার ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দেয় না, মহিলাদের ছোট পরিবারের মূল্য বোঝাতে কার্যকর প্রচারের অভাব এবং এমন একটি সমাজের সামগ্রিক সামাজিক সংযোজন যেখানে মহিলারা নিজের উর্বরতা বা পরিবার সম্পর্কে খুব কমই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পাকিস্তানে পরিবার পরিকল্পনার প্রচার না হওয়ার পেছনে যে বিষয়গুলো বিস্মিত করেছে এর মধ্যে একক কারণটি হলো, পণ্য ও পরিষেবাদির ধারাবাহিক সরবরাহের অভাব। [২২]
এখনো, গর্ভনিরোধের প্রয়োজনীয়তা প্রজনন বয়সের সমস্ত বিবাহিত মহিলাদের প্রায় ২৫% এ রয়ে গেছে। (যা উচ্চতর গর্ভনিরোধক ব্যবহার করে এমন অনুপাতের চেয়ে বেশি এবং যে কোনও বছরে পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা গ্রহণ করে, এমন নারীর সংখ্যার দ্বিগুণ) [২৩] এবং ঐতিহাসিকভাবে বিগত ৫০ বছরে জাতীয় সিপিআর-এর ০.৫% হারের তুলনায় গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারীদের জন্য পণ্য সরবরাহের প্রয়াস অত্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধির পাচ্ছে (বার্ষিক ১০% এরও বেশি)।
বর্তমানে সরকার সমস্ত এফপি সেবার প্রায় এক তৃতীয়াংশ এবং বেসরকারী খাত (বেসরকারী সংস্থাগুলি সহ) বাকি দুই তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। বেসরকারী ক্ষেত্রের মধ্যে, ফ্র্যাঞ্চাইজড ক্লিনিকগুলি নন-ফ্র্যাঞ্চাইজড ক্লিনিকগুলির তুলনায় উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ করে তবে ক্লায়েন্ট প্রতি ব্যয় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজড এবং নন-ফ্র্যাঞ্চাইজড বেসরকারী ক্লিনিকগুলির মধ্যে দরিদ্র ক্লায়েন্টের অনুপাতের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। [২৪] সরকারী কর্মসূচি মানব কল্যাণ ও স্বাস্থ্য উভয় মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়।পরিবার পরিকল্পনার সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হ'ল মহিলা নির্বীজন করা যা সমস্ত আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারকারীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি। দুর্ভাগ্যক্রমে বেশিরভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি অনেক দেরিতে করা হয় কারণ নির্বীজনিত মহিলা ৩০ বছরের বেশি বয়সী এবং এর মধ্যেই ৪ বা তারও বেশি বাচ্চা হয়। এর পরের জনপ্রিয় পদ্ধতি হ'ল 'কনডম'।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিভিন্ন কারণ দ্বারা প্রভাবিত; সংক্রামক, অ-সংক্রামক রোগ, শিশুর অপুষ্টি জনিত সমস্যা এবং মহিলা, মাতৃ এবং শিশু মৃত্যু। পাকিস্তান পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে বিশ্বে ২২ নম্বরে রয়েছে, যেখানে, প্রতি ১০০০ জন জীবিত শিশুর মধ্যে ৮১ জন ইউ5এম (2015) , পাশাপাশি, 1000 জন জীবিত শিশুর মধ্যে শিশু ও নবজাতকের মৃত্যুর হার ছিল যথাক্রমে ৬৬ এবং ৪৬, মাতৃমৃত্যুর অনুপাতও কম নয়, যেখানে এছাড়াও প্রতি ১০০,০০০ জীবন্ত জন্মের (2015) মধ্যে, ১৭৮ জন মায়ের মৃত্যু। কেবল ৫২% নবজাতক জন্মের সময় দক্ষ কর্মী অংশ নিয়েছিল। [২৫]
এই পরিসংখ্যানে বিশাল ভারসাম্যহীনতা আছে। উদাহরণস্বরূপ, বেলুচিস্তানে মাতৃমৃত্যু ১০০,০০০ জীবিত জন্মের মধ্যে ৮৫ জন, যা জাতীয় হারের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। এখানে উল্লেখ্য যে গ্রাম্য পাকিস্তানে মাতৃমৃত্যু শহরগুলির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। দুঃখজনক বাস্তবতা হ'ল ৮০ শতাংশ মাতৃমৃত্যুই প্রতিরোধযোগ্য। [২৬]
পুষ্টিগতভাবে বঞ্চিত শিশুরা কেবল শিখতে অসুবিধার সম্মুখীন হয় না, বরং সংক্রমণের ঝুঁকিতেও থাকে, এবং রোগ থেকে প্রতিকার এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখিও হয়। তাছাড়া, চরম পুষ্টির ঘাটতি শিশুদের উপর খর্বকায়তা (৪৫%), অপচয় (১০.৫%) এবং ওজন বৃদ্ধি (৪.৮%) এর মতো মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। [২৫]
মূল নিবন্ধ: পাকিস্তানে স্থূলত্ব
স্থূলত্ব একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা কেবল গত কয়েক বছরেই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। নগরায়ণ এবং অস্বাস্থ্যকর, তৈলাক্ত খাবার (পাকিস্তানি রান্নায় তেল এবং চর্বির উচ্চ উপস্থিতি), পাশাপাশি জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যা দেশে স্থূলত্বের বৃদ্ধির মূল কারণগুলির মধ্যে অন্যতম। ফোর্বস-এ প্রকাশিত বিশ্বের "চর্বিযুক্ত দেশগুলির" তালিকা অনুসারে, স্থূল জনসংখ্যার দিক থেকে, পাকিস্তান ১৬৫ তম (১৯৯ টি দেশের মধ্যে), এবং ১৫ বছরের বেশি বয়সী লোকের মধ্যে, ২২.২% লোকই স্থূলত্বের দ্বার পেরিয়েছে। [২৭] এই অনুপাতটি অন্যান্য গবেষণার সাথে মোটামুটি মিলে যায়, যেখানে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন পাকিস্তানি প্রাপ্ত বয়স্ককে স্থূল বলে মনে করা হয়।[২৮][২৯]
গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে গ্রামাঞ্চলের লোকদের তুলনায় পাকিস্তানের বড় বড় শহরে বসবাসকারীরা অধিক স্থূলত্বের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।প্রাকৃতিকভাবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের স্থূলতার হার বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ।[৩০]
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, "ফ্যাট" ককেশীয়দের চেয়ে দক্ষিণ এশীয়দের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেননা, চর্বি ত্বকের পরিবর্তে যকৃতের মতো অঙ্গগুলিতে অধিক জমা হয়। [৩১]
অসংখ্য ছোট ছোট পোলিও মহামারীর মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তান সরকার এখন পোলিও টিকা বাধ্যতামূলক ও অনিবার্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তানের পুলিশ কমিশনার "রিয়াজ খান মেহসুদের" একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "কোনও দয়া নেই, আমরা প্রত্যাখ্যানের মামলাগুলি শক্ত হাতে দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।যে কেউ [টিকা] প্রত্যাখ্যান করবে, তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হবে "।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)