পাতিরামানল പാതിരാമണൽ (পাতিরামণল) | |
---|---|
দ্বীপ | |
কেরালায় পাতিরামানলের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৯°৩৭′৭″ উত্তর ৭৬°২৩′৬″ পূর্ব / ৯.৬১৮৬১° উত্তর ৭৬.৩৮৫০০° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | কেরল |
জেলা | আলেপ্পি |
সরকার | |
• শাসক | গ্রাম পঞ্চায়েত |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | মালয়ালম, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬৮৮৫২৫[১] |
যানবাহন নিবন্ধন | KL-32 (কেএল-৩২),[২] |
নিকটতম শহর | আলেপ্পি, কুমারকম (কোট্টায়ম জেলা) |
পাতিরামানল (মালয়ালম: പാതിരാമണൽ, প্রতিবর্ণী. পাতিরামণল) দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কেরালা রাজ্যের আলেপ্পি জেলার মুহাম্মা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি ছোট্ট দ্বীপ।[৩] পাতিরামানল বা স্থানীয় বানানে "পাতিরামণল" অর্থ মধ্যরাতের বালিয়াড়ি। হ্রদের উভয় দিকের এবং দ্বীপসহ উপকূল বরাবর দৃশ্যপটগুলি মনোরম। এটিবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মূলত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল এবং সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আগত বহু বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখির আগমন স্থল।
পাতিরামানল দ্বীপটির আয়তন মাত্র ২৮.৫০৫ হেক্টর। মুহাম্মা নৌজেটি থেকে জলপথে ১.৫ কিলোমিটার এবং আলেপ্পি থেকে জলপথে ১৩ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপটি অবস্থিত। দ্বীপে অবস্থিত জেটি থেকে বেকার বাংলা ৫ কিলোমিটার এবং কুমারকম ৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
দ্বীপটি (অনন্ত পদ্মনাভন তোপ্পু নামেও পরিচিত)বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশক অবধি তাইমট্টতিল পরিবারের নিজস্ব সম্পত্তির সম্পত্তির অংশ ছিলো৷ তার পূর্বে এটি কোচির ভীমজি দেবজি ট্রাস্ট থেকে চেবলিয়ার এসিএম অন্ত্রপের ক্রয় করেছিলেন৷ [৪] ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে জোরপূর্বক ভূমি সংস্কার আইন বলবৎ হলেএকটি ব্যক্তিগত মালিকানা থেকে সরকারি মালিকানাধীন হয়। জমির মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রমের পর এই অঞ্চল উদ্বৃত্ত হিসেবে সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ পরে এটি পর্যটন দপ্তরকে হস্তান্তরিত করা হয় এবং এটির বেসরকারিকরণ ও প্রতারণা সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিবেচনাধীন। দ্বীপটি বর্তমানে জনবসতিহীন। বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশক অব্দি ছুটি শ্রমিক পরিবারের এই দ্বীপে বাস করতেন, পরবর্তীকালে তাদের মুহাম্মা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মূল ভূখণ্ডের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হয়। [৫]
দ্বীপটি ভেম্বনাড় হ্রদের অবস্থিত। এটির স্থানাঙ্ক ৯°৩৬′৫৪″ উত্তর ৭৬°২৩′১″ পূর্ব / ৯.৬১৫০০° উত্তর ৭৬.৩৮৩৬১° পূর্ব।[৬]
আলেপ্পি শহর থেকে দ্বীপটিতে যেতে মোটর বোটে দেড়ঘণ্টা এবং স্পীড বোটে আধঘণ্টা লাগে৷ পর্যটকরা মুহাম্মা - কুমারকম নৌপরিষেবা ব্যবহার করেও এখানে আসতে পারতেন কিন্তু বর্তমানে কেরল রাজ্য জল পরিবহন দপ্তরের নৌকাগুলি পাতিরামানলে ঘাঁটি বাঁধে না৷ কুমারকম থেকে পাতিরামানলে যেতে প্রায় ৪০ মিনিট লাগে৷ তবে এই দ্বীপে আসতে ভেম্বনাড় হ্রদ অতিবাহিত করার অংশটি সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন অভিজ্ঞতা৷ পাতিরামানলে আসার সবচেয়ে সুগম পথ কায়িপ্পুরম জেটি থেকে নৌকা ভাড়া করে এখানে আসা৷ এই কায়িপ্পুরম জংশন থেকে দ্বীপটি আলেপ্পি-তণীর্মুখম সড়কের ওপর মাত্র ১ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত৷
নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন : আলেপ্পি
নিকটবর্তী বিমানবন্দর : কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা ৮৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত৷
দ্বীপটি থেকে পক্ষীদর্শন বেশ রোমহর্ষক৷ এটি ৯১টি প্রজাতির স্থানীয় এবং প্রায় ৫০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখির চারণস্থল৷ এখানে উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস, পাতি তিলিহাঁস, নিশি বক, পানকৌড়ি, গয়ার, দেশি পানকৌড়ি, বেগুনী বক, গাংচিল, টার্ন, বড়ো বক, জল বক, গো বক, দেশি কানিবক, ছোট বগা, জল ময়ূর, দল পিপি, মেঘহও মাছরাঙা, কোড়া, শিসহাঁস, ধলা বালিহাঁস, ছোট পানকৌড়ি এবং গুঁফো টার্ন প্রভৃতি প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়৷ তবে বেশ কিছু পর্যটক মোনার্ক বুলবুল পাখির দেখা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন৷