পামবন সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৯°১৬′৫৭.২৫″ উত্তর ৭৯°১২′৫.৯১″ পূর্ব / ৯.২৮২৫৬৯৪° উত্তর ৭৯.২০১৬৪১৭° পূর্ব |
বহন করে | রেলগাড়ি |
স্থান | রামেশ্বরম, তামিলনাড়ু, ভারত |
মালিক | ভারতীয় রেল |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ৬,৭৭৬ ফুট (২,০৬৫ মি) |
স্প্যানের সংখ্যা | ১৪৪ |
রেল বৈশিষ্ট্য | |
রেলপথের সংখ্যা | ১ |
ট্র্যাক গেজ | ব্রডগেজ |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শুরু | ১৯১১ |
নির্মাণ শেষ | ১৯১৪ |
চালু | ১৯১৫ |
অবস্থান | |
পামবন সেতু একটি রেল সেতু, যা ভারতের মূল ভূখণ্ডের মণ্ডপম শহরকে পামবন দ্বীপ ও রামেশ্বরমের সাথে সংযুক্ত করে। এটি ১৯১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি খোলা হয়েছিল,[১] সেতুটি ভারতের প্রথম সমুদ্র সেতু এবং এটি বান্দ্রা-ওয়ারলি সী লিংক ২০১০ সালে খোলার আগে পর্যন্ত ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু ছিল। রেল সেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত সেতু, যা কংক্রিটের পিয়ারের উপর স্থির থাকে, কিন্তু পামবান সেতুর মাঝপথে একটি দ্বি-খণ্ডের বাস্কুল সেতু বিভাগ রয়েছে, যা জাহাজ ও বার্জ চলাচলের সুবিধা প্রদান করে। পামবন সেতু ১৯৮৮ সাল অবধি একমাত্র ভূতল পরিবহন ব্যবস্থা ছিল, যা তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমকে মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সেতুর বাস্কুল অংশ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে ৩ মাসের জন্য সেতুর পরিবহন ব্যবস্থা স্থগিত ছিল। রেল চলাচল পুনরায় ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়।
একটি সড়ক সেতু ১৯৮৮ সালে রেল সেতুর সমান্তরালভাবে নির্মিত হয়েছিল। এই সড়ক সেতু অন্নাই ইন্দিরা গান্ধী সড়ক সেতু নামেও পরিচিত। অন্নাই ইন্দিরা গান্ধী সড়ক সেতু জাতীয় সড়ক (এনএইচ ৪৯) কে রামেশ্বরম দ্বীপের সাথে সংযুক্ত করেছে। এটি পক প্রণালীতে এবং মণ্ডপম (ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের একটি স্থান) ও পামবনের (রামেশ্বরম দ্বীপের জেলেদের অন্যতম শহর) তীরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। এটি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১৯৮৮ সালের ২ অক্টোবর উদ্বোধন করেছিলেন।[২] ২.৩৪৫ কিলোমিটার (১.৪৫৭ মা) দীর্ঘ এই সেতুটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় ১৪ বছর সময় নিয়েছে।