পার্থ দাশগুপ্ত | |
---|---|
২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয়-ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ পার্থ দাশগুপ্ত | |
জন্ম | পার্থ সারথি দাশগুপ্ত ১৭ নভেম্বর ১৯৪২ (বয়স ৮২) |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
ডক্টরেট উপদেষ্টা | জেমস মারলিস |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন |
|
পুরস্কার |
স্যার পার্থ সারথি দাশগুপ্ত (জিবিই এফআরএস FBA; জন্ম ১৭ই নভেম্বর, ১৯৪২)[১] একজন ভারতীয়-ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ। তিনি যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরোত্তর সাম্মানিক ("ইমেরিটাস") ফ্রাংক র্যামজি অধ্যাপক[১] এবং কেমব্রিজের সেন্ট জনস কলেজের বিশিষ্ট জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ("ফেলো")।
পরিবেশ অর্থশাস্ত্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য, বিশেষ করে "অর্থনৈতিক জীবন ও প্রাকৃতিক পরিবেশের (জীববৈচিত্র্যসহ) আন্তঃক্রিয়া"-র উপরে অগ্রণী গবেষণাকর্মের জন্য দাশগুপ্ত ২০২৩ সালে অর্থনীতিতে বিবিভিএ ফাউন্ডেশন জ্ঞানের প্রান্তসীমা পুরস্কার লাভ করেন।[২]
দাশগুপ্ত বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ববঙ্গ) ঢাকার একটি বৈদ্য ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং মূলত ভারতের বারাণসী (বেনারস) শহরে বেড়ে ওঠেন। তিনি প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমিয় কুমার দাশগুপ্তের পুত্রসন্তান। ব্রিটিশ মনোচিকিৎসক ক্যারল দাশগুপ্ত তাঁর স্ত্রী। তাদের তিনটি সন্তান আছে, যাদের নাম জুবেইদা (শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী), শমীক (দর্শনের অধ্যাপক) ও আয়েশা (জনতত্ত্ববিদ এবং পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিশারদ)। দাশগুপ্তের শ্বশুর হলেন অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার বিজয়ী জেমস মিড।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দাশগুপ্ত বারাণসীর রাজঘাট বেসান্ত নামের একটি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন উপাধি লাভ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হংস রাজ কলেজ মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক উপাধি লাভ করেন। এরপর ইংল্যান্ডের কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে গণিতশাস্ত্রে স্নাতক পাঠক্রম শেষ করেন। সেসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের "অ্যাপসলস" নামের একটি সুপরিচিত আলোচনা সমাজের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি কেমব্রিজ থেকে অর্থনীতিতে (অর্থশাস্ত্রে) ডক্টরেট উপাধি অর্জন করেন; তাঁর অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল পপুলেশন, গ্রোথ অ্যান্ড নন-ট্রান্সফারেবল ক্যাপিটাল (ইনভেস্টিগেশনস ইন দ্য থিওরি অভ অপটিমাম ইকোনমিক গ্রোথ) (Population, growth and non-transferable capital (investigations in the theory of optimum economic growth), অর্থাৎ "জনসংখ্যা, প্রবৃদ্ধি ও অ-হস্তান্তরযোগ্য পুঁজি (কাম্যতম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব বিষয়ক তদন্ত))[৩] তাঁর ডক্টরেট তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ (১৯৯৬) জেমস মারলিস, যিনি নিজেও "অ্যাপসলস" সমিতির একজন সদস্য ছিলেন।
টেমপ্লেট:Presidents of the European Economic Association টেমপ্লেট:FRS 2004