ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পার্সি চ্যাটার চার্লটন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৯ এপ্রিল, ১৮৬৭ সারে হিলস, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪ পায়ম্বল, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ক্লদ টোজার (কাকা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৭) | ২১ জুলাই ১৮৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ আগস্ট ১৮৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ |
পার্সি চ্যাটার চার্লটন (ইংরেজি: Percie Charlton; জন্ম: ৯ এপ্রিল, ১৮৬৭ - মৃত্যু: ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪) নিউ সাউথ ওয়েলসের সারে হিলস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯০ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন পার্সি চার্লটন।
১৮৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ১৮৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত পার্সি চার্লটনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ৪০টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, পার্সি চার্লটন ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার ছিলেন ও নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। তবে, প্রকৃত অল-রাউন্ডার ছিলেন না তিনি। পরিসংখ্যানে তাকে দক্ষ বোলার হিসেবে দেখানো হয়। ৪০ খেলায় ১৯.৯৬ গড়ে উইকেট পেয়েছেন তিনি।
সিডনিভিত্তিক আইভানহো ও বেলভেদ্রে ক্লাবের পক্ষে শুরুরদিকের ক্রিকেট খেলতেন। ১৮৮৮ সালে এইটিন সিডনি জুনিয়র্সের পক্ষে প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য সাফল্য পান। খেলায় তিনি সাত উইকেট পেয়েছিলেন। আর্থার শ্রিউসবারি, আলফ্রেড শ ও জেমস লিলিহোয়াইট তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পার্সি চার্লটন। ২১ জুলাই, ১৮৯০ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১১ আগস্ট, ১৮৯০ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৮৯০ সালে ডব্লিউ এল মারডকের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ পর্যায়ে দুই টেস্টে অংশ নেন তিনি। কিন্তু, তেমন সফলতা পাননি। ৬, ২, ১০ ও ১১ রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তবে, প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ডব্লিউ জি গ্রেসকে এলবিডব্লিউতে আউট করার সম্মাননা পেয়েছেন।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংস ৬ ওভারে ৩/১৮ পেয়েছেন। দূর্ভাগ্যবশতঃ ক্রিকেটের শুরুরদিকের সময়কালে উভয় দলের মাঝে তাদের দুই শীর্ষস্থানীয় বোলারের কারণে বোলিংয়ের তেমন সুযোগ পাননি। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ দুই বোলার ৪৮ ওভার বোলিং করলেও কেবলমাত্র চার্লটন ৬ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সফরে ১৪.৩০ গড়ে ৫৩৪ রান তুলেন। ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করে ১৯.০৪ গড়ে ৪২ উইকেট পান।
উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দন্তচিকিৎসক ছিলেন পার্সি চার্লটন। ডেন্টাল মেডিসিন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল থেকে স্নাতকধারী হন। এরপর সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেন।[১]