পালোনজি শাপুরজি মিস্ত্রি | |
---|---|
![]() ২০১৬ সালে পালনজি মিস্ত্রি | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৮ জুন ২০২২ মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত | (বয়স ৯৩)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | আইরিশ, (আগে ভারতীয়)[১] |
পেশা | ব্যবসায়ী |
পরিচিতির কারণ | টাটা সন্স-এ ১৭.৩% শেয়ার |
উপাধি | চেয়ারম্যান, শাপুরজি পালোনজি গ্রুপ |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্যাটসি পেরিন দুবাশ |
সন্তান | ৮, সাইরাস মিস্ত্রি সহ |
আত্মীয় | নোয়েল টাটা (জামাই) |
পালোনজি শাপুরজি মিস্ত্রি (১ জুন ১৯২৯ - ২৮ জুন ২০২২) ছিলেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইরিশ শিল্পপতি। তিনি ছিলেন নির্মাণক্ষেত্রের বৃহৎ সংস্থা শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এবং ভারতের বৃহত্তম বেসরকারী সংস্থা টাটা গোষ্ঠীর প্রধান শেয়ারহোল্ডার। তিনি ছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি।
পালোনজি মিস্ত্রি ১ জুন ১৯২৯ সালে বোম্বেতে (বর্তমানে মুম্বাই) জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি বোম্বেতে পার্সি সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন।[৩] মিস্ত্রী পরিবার একটি উল্লেখযোগ্য নির্মাণ কোম্পানি শাপুরজি পালোনজির মালিক। শাপুরজি ছিলেন পালোনজির পিতা। শাপুরজি মুম্বাইয়ের কিছু ল্যান্ডমার্ক ভবন তৈরি করেছিলেন। এগুলির মধ্যে হংকং এবং সাংহাই ব্যাঙ্ক, গ্রিন্ডলেস ব্যাঙ্ক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ভবনগুলি অন্যতম।[৪] শাপুরজি পালোনজি সংস্থাটি ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংস্থাটি নির্মাণ, রিয়েল এস্টেট, টেক্সটাইল, গৃহস্থালীর যন্ত্রাদি, বিদ্যুৎ, বায়োটেকনোলজি ইত্যাদি সেক্টরে কাজ করে।
তার বাবা প্রথম ১৯৩০-এর দশকে প্রথম টাটা সন্সের শেয়ার কেনেন। এই শেয়ার ২০১১ সালের হিসাবে ১৮.৪% ছিল। এটি পালোনজি মিস্ত্রিকে টাটা সন্সের[১] বৃহত্তম ব্যক্তিগত শেয়ারহোল্ডার করে তোলে, যা প্রাথমিকভাবে টাটা জনহিতকর অ্যালাইড ট্রাস্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।[৫][৬] ভারতের বৃহত্তম টাটা গোষ্ঠীর প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার হল দাতব্য টাটা ট্রাস্ট।[৭]
পালোনজি মিস্ত্রি শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ছিলেন।[৮] যার মাধ্যমে তিনি শাপুরজি পালোনজি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, ফোর্বস টেক্সটাইলস এবং ইউরেকা ফোর্বস লিমিটেডের মালিক ছিলেন।
তার ছেলে, সাইরাস, ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন।[৯][১০]
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পালোনজি মিস্ত্রির সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল বলে অনুমান করা হয়েছিল[১১] এবং মৃত্যুর সময় মার্কিন ডলার ২৯ বিলিয়ন।[৪] মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন সবচেয়ে ধনী আইরিশ বিলিয়নেয়ার এবং বিশ্বের ১৪৩তম ধনী ব্যক্তি।[৮]
২০০৩ সালে পালোনজি আইরিশ মহিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর পালোনজি আয়ারল্যান্ডের নাগরিক হয়ে গিয়েছিলেন। [১৩] আয়ারল্যান্ডের প্রতি পরিবারের আগ্রহের কারণ ঘোড়ার প্রতি তাদের ভালোবাসা জন্মে। তিনি ভারতের পুনেতে একটি ২০০ একরের (০.৮১ বর্গ কিমি) ফার্ম এবং ১০,০০০ বর্গফুট (৯৩০ বর্গমিটার) বাড়ির মালিক ছিলেন।[১৪]
পালোনজির দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তার বড় ছেলে শাপুর মিস্ত্রি (জন্ম ১৯৬৪), শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠী পরিচালনা করেন। তার ছোট ছেলে প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রি (১৯৬৮-২০২২), টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হিসেবে কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেন। পালোনজির বড় মেয়ের নাম লায়লা। তার ছোট মেয়ে আলু, রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটাকে বিয়ে করেছেন।[১৫][১৬]
২০০৮ সালে তার একটি জীবনী প্রকাশিত হয়। বইটির নাম দ্য মোগলস অফ রিয়েল এস্টেট, লেখক মনোজ নাম্বুরু।[১৭]
পালোনজি মিস্ত্রি বাণিজ্য ও শিল্প ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পদ্মভূষণে ভূষিত হন।[১২]
পালোনজি মিস্ত্রি ২০২২ সালের ২৮ জুন ৯৩ বছর বয়সে মুম্বইয়ের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[১৮][১৯]
Mistry was born on June 1, 1929, in Mumbai. His father, Shapoorji Mistry, worked for the family company, which the son joined in 1947.
The Mistrys were members of Mumbai’s Parsi community, followers of the Zoroastrian religion who had grown prosperous as merchants and industrialists since the earliest colonial times.