পাস্তুরায়ন

জাপানের পাস্তরায়িত দুধ
শিকাগোয়ে পাস্তুরায়িত দুধ বিক্রির বিজ্ঞাপন পোস্টার

পাস্তুরায়ন (ইংরেজি: pasteurization) দুধ ও অন্যান্য তরল বিশুদ্ধিকরণর একটি পদ্ধতি। ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী লুই পাস্তুর এই বিশেষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। পাস্তুরায়নের প্রথম পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেছিলেন লুই পাস্তুর ও ক্লদ বের্নার (Claude Bernard), ১৮৬৪ সালের ২০ এপ্রিলে। পাস্তুরায়নের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ওয়াইনবিয়ারের টকে যাওয়া প্রতিরোধ করা।[]

পাস্তুরায়নে তাপমাত্রা ৬০o থেকে ৬৩o সেলসিয়াসে ৩০ মিনিট রেখে হঠাৎ করে ১৩o নামিয়ে আনা হয়। এর ফলে দুধের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস হয়।

পাস্তুরায়ন প্রক্রিয়ায় কেবল খাবারের মধ্যে থাকা অণুজীবদের সংখ্যাবৃদ্ধি শ্লথ করে দেয়া হয়; এর মাধ্যমে সকল ক্ষতিকর অণুজীব ধ্বংস করা হয় না। পাস্তুরায়ন প্রক্রিয়ায় রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়, যাতে তারা রোগবালাই সৃষ্টি করতে না পারে (এক্ষেত্রে ধরে নেয়া হচ্ছে পাস্তুরায়িত পণ্যটি সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়েছে এবং তা মেয়াদোত্তীর্ণ হবার আগেই ব্যবহৃত হয়েছে)। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খাদ্যের জীবাণুমুক্তকরণ প্রচলিত নয়, কারণ তা খাদ্যের স্বাদ ও মানে প্রভাব ফেলে। তবে কিছু কিছু খাবার বাণিজ্যিক জীবাণুমুক্তকরণের জন্যে উপযোগী করে নেয়া যাতে পারে।[]

পাস্তুরায়নযোগ্য পণ্যসমূহ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Carlisle, Rodney (2004). Scientific American Inventions and Discoveries, p.357. John Wiley & Songs, Inc., new Jersey. আইএসবিএন ০-৪৭১-২৪৪১০-৪.
  2. Montville, T. J., and K. R. Matthews: "food microbiology an introduction", page 30. American Society for Microbiology Press, 2005.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]