পিচেস গেল্ডফ | |
---|---|
জন্ম | পিচেস হানিব্লসম গেল্ডফ ১৩ মার্চ ১৯৮৯ ওয়েস্টমিনিস্টার, লন্ডন, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ৭ এপ্রিল ২০১৪ | (বয়স ২৫)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
পেশা | লেখক, উপস্থাপক, মডেল |
কর্মজীবন | ২০০৫- ২০১৪ |
উচ্চতা | ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মি)[১] |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
পিতা-মাতা | বব গেল্ডফ (বাবা) পলা ইয়েটস (মা) |
আত্মীয় | পিক্সি গেল্ডফ (বোন) হিউই গ্রীন (দাদা) |
পিচেস হানিব্লসম গেল্ডফ[২][৩] (১৩ই মার্চ ১৯৮৯-৭ই এপ্রিল ২০১৪) ছিলেন একজন ইংরেজ সাংবাদিক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মডেল।
গেল্ডফ ১৯৮৯ সালের ১৩ই মার্চ লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বব গেল্ডফ ও পলা ইয়েটসের দ্বিতীয় কন্যা এবং হিউই গ্রীনের নাতনী। ফিফি ট্রিক্সিবেলি গেল্ডফ এবং পিক্সি গেল্ডফ তার বোন। তার একটি ছোট সৎ বোনও ছিলো যার নাম টাইগার লিলি হাচেন্স গেল্ডফ।[৪]
গেল্ডফ লন্ডনের চেলসি এবং কেন্টের ফ্যাভারশ্যামে বেড়ে উঠেন এবং কুইন্স কলেজ, লন্ডন থেকে শিক্ষা লাভ করেন। ১৮ বছর বয়সে সে তার বাবার সাথে চলে আসেন এবং উত্তর লন্ডনের ইসলিংটনে ফ্ল্যাট ভাড়া করেন। এ-লেভেল সম্পন্ন করার পর তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের কুইন ম্যারি অ্যান্ড ওয়েস্টফিল্ড কলেজে ইংরেজি পড়ার সুযোগ পান কিন্তু সেটা স্থগিত হয় তার ঐ সময়ের স্বামী ম্যাক্স ড্রামির সাথে নিউ ইয়র্কে[৪] চলে আসার কারণে।
গেল্ডফ এলি গার্ল (Elle Girl) ম্যাগাজিনের ইউকে (UK) সংস্করণে এপ্রিল ২০০৪ থেকে কলাম লেখা শুরু করেছিলেন এবং অক্টোবর ২০০৫ এ ম্যাগাজিনটি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত লেখা চালিয়ে গিয়েছিলেন।[৫] ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে সাপ্তাহিক কলাম লিখেন এবং দ্য গার্ডিয়ানে অসংখ্য নিবন্ধ লিখেন।
গেল্ডফ ২০০৫ সালে তার নিজের টিভি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান পিচেস গেল্ডফঃ টিনএজ মাইন্ড (Peaches Geldof: Teenage Mind) লিখেন এবং উপস্থাপনা করেন, এবং অনুষ্ঠানটিকে অনুসরণ করা হয় পিচেস গেল্ডফঃ টিন আমেরিকায় (Peaches Geldof: Teen America) যেটি ইউকে এর স্কাই ওয়ানে (Sky One) ১লা মার্চ ২০০৬ সালে সম্প্রচার করা হয়।[৬] ২০০৬ সালে গেল্ডফ ট্যাটলার (Tatler) এর শীর্ষ ১০ ফ্যাশন আইকনের ৭ম স্থান দখল করেন এবং সে ছিলো ঐ তালিকার কনিষ্ঠতম আইকন।[৭]
সেপ্টেম্বর ২০০৭ এ লন্ডন ফ্যাশন উইকে গেল্ডফ পিপিকিউ (PPQ) এর হয়ে তার মডেলিং পেশা শুরু করেন। অস্ট্রেলীয় ফ্যাশন লাইন ডট্টীর (DOTTI) প্রতিনিধি হিসেবেও তাকে ঘোষণা করা হয়েছিলো।[৮] ১৯ অক্টোবর ২০০৮ এ এমটিভি ওয়ানে (MTV One) পিচেসঃ ডিজঅ্যাপিয়ার হিয়ার (Peaches: Disappear Here) আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সে তারুণদের সাথে সম্পর্কিত ম্যাগাজিনের দেখা পায়।[৯]
২০০৯ সালে গেল্ডফ মিস আল্টিমো কালেকশন এর আইকন হিসেবে ছয় অঙ্কের একটি মডেলিং চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আল্টিমো আন্ডারওয়্যার এর প্রধান মিসেল মোন গেল্ডফ সম্পর্কে ঐ সময় বলেন, পিচেস ছিলো প্রচারাভিযানের জন্য পুরোপুরি যথার্থ। সে নবীন, তীক্ষ্ণ এবং স্টাইলের জন্য যথেষ্ট। এই কালেকশনটি ২০০৯ সালের মে মাসে অক্সফোর্ড স্ট্রিটের ডিবেনহ্যামস ডিপার্টমেন্ট স্টোরে চালু হয়েছিলো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] পরবর্তিতে ২০১০ সালের মার্চ মাসে আল্টিমো ব্র্যান্ড থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছিলো নগ্ন ছবি এবং ড্রাগ ব্যবহারের অভিযোগে যা ইন্টারনেটে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিলো। গেল্ডফ তীব্রভাবে এই অভি্যোগ অস্বীকার করেছিলেন এবং বলেছিলেন, আমি হতাশ যে আল্টিমো সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমার চুক্তি না বাড়ানোর পাঁচ মাস পূর্বে লস এঞ্জেলসের এক রাতে দুর্দান্তভাবে অত্যুক্তি করার উপর ভিত্তি করে। মোন বলেছিলেন, ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য যেহেতু যুবতী নারী, তাই আমরা মনে করি পিচেস এর পক্ষে এটি চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব না।[১০][১১]
২০১১ সালে গেল্ডফ আইটিভি২ (ITV2) এ OMG! with Peaches Geldof নামে ছয় খন্ডের একটি সিরিজ উপস্থাপনা করেন, যেটি ছিলো শ্রোতাদের অংশগ্রহণে ম্যাগাজিন ফরম্যাটের চ্যাট এবং গেস্ট শো।[১২]
২০০৮ সালের ৫ই আগস্ট গেল্ডফ আমেরিকান গায়ক ম্যাক্স ড্রামির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ম্যাক্স ড্রামি ছিলেন চেস্টার ফ্রেঞ্চ ব্যান্ডের গায়ক। তারা লাস ভেগাসের দ্য লিটল হুয়াইট ওয়েডিং চ্যাপেলে বিয়ে করেন। ২০০৯ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি তারা ঘোষণা দেয় যে, তারা বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।[১৩] ২০১১ সালের ১৮ই এপ্রিল ড্রামি লস এঞ্জেলসে বিবাহ বিচ্ছেদ দায়ের করেন যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তাদের পুনর্মিলনে মতভেদ রয়েছে।[১৪]
তারপর গেল্ডফ ২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ইস্ট লন্ডনের ব্যান্ড এস সি ইউ এম (S.C.U.M) এর প্রধান গায়ক টমাস কোহেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ডেভিংটনের একটি চার্চে, যে চার্চে তার মা-বাবা ২৬ বছর পূর্বে বিয়ে করেছিলেন এবং ঐ একই চার্চে ২০০০ সালে তার মায়ের অন্তস্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিলো।[১৫] কোহেনের সাথে গেল্ডফের দুই ছেলে আছে।
২০০৯ সালে ITV2 এর প্রামাণ্য অনুষ্ঠান When Fearne Met Peaches Geldof এ ফার্ন কটন এর এক সাক্ষাৎকারে গেল্ডফ বলেন যে, সে একজন সাইন্টোলজিস্ট।[১৬][১৭]
২০১৩ সালে এলি ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাৎকারে গেল্ডফ তার মায়ের মৃত্যু তার কাছে কেমন কষ্টের ছিলো তার বর্নণা করেনঃ
আমি আমার মায়ের মৃত্যুর দিনের কথা মনে করি এবং এটা নিয়ে কথা বলা এখনও অনেক কষ্টের। আমি শুধু এটার রুপরেখা আঁকতে পারি। আমি আমার মায়ের মৃত্যুর পরের দিন স্কুলে গিয়েছিলাম কারণ আমার বাবার মানসিক অবস্থা ছিলো "শান্ত থাকো এবং চালিয়ে যাও"। সুতরাং আমরা সবাই স্কুলে যেতাম এবং যেনো কোন কিছু হয়নি এই রকম একটা ভান করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু এটা ঘটেছিলো। আমি শোক করিনি। আমি তার অন্তোস্টিক্রিয়ায় কাঁদিনি। আমি কোন কিছুই ব্যক্ত করতে পারিনি কারণ আমি সব কিছুর প্রতি অসার হয়ে গিয়েছিলাম। সম্ভবত ১৬ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত আমি আমার মায়ের জন্য যথার্থভাবে শোক করিনি।[১৮]
গেল্ডফ এপ্রিলের ৬ তারিখে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে সর্বশেষ একটি ছবি সংবলিত পোস্ট করেন যেটিতে দেখা যাচ্ছে শিশুকালে তার মায়ের বাহুতে সে।[১৯] সে একবার নিজেকে বর্নণা করেন "never that wild" ।[১৮]
২০১৪ সালের ৭ই এপ্রিল ২৫ বছর বয়সে গেল্ডফ তার কেন্টের রোদহ্যামের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।[১৮][২০]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। New York। line feed character in |ইউআরএল=
at position 94 (সাহায্য); line feed character in |শিরোনাম=
at position 29 (সাহায্য)