ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পিটার হাওয়ার্ড পারফিট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বিলিংফোর্ড, ব্রেকল্যান্ড, নরফোক, ইংল্যান্ড | ৮ ডিসেম্বর ১৯৩৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ |
পিটার হাওয়ার্ড পারফিট (ইংরেজি: Peter Parfitt; জন্ম: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৩৬) নরফোকের বিলিংফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬১ থেকে ১৯৭২ সময়কালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে অফব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন পিটার পারফিট।
ফাকেনহাম গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন পিটার পারফিট।[২] এরপর নরফোকের সপ্তম রাজা এডওয়ার্ড গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন তিনি।
সর্বক্রীড়ায় পারদর্শী ছিলেন পিটার পারফিট। ফুটবলে নরউইচ সিটির পক্ষে সংরক্ষিত খেলোয়াড় হিসেবে খেলতেন এবং মাইনর কাউন্টিজে ক্রিকেট খেলতেন। এরপর মিডলসেক্স দলে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।
১৯৫৬ থেকে ১৯৭২ সময়কালে মিডলসেক্সের পক্ষে পিটার পারফিট অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে, ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ফ্রেড টিটমাস মিডলসেক্সের নেতৃত্ব করা থেকে বিরত থাকলে পিটার পারফিটের উপর এ দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়। তবে দুই মৌসুম পর মাইক ব্রিয়ারলিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল।[১] সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে প্রায় ২৭,০০০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাঁইত্রিশ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে একাধারে পাঁচ টেস্টে চারটি সেঞ্চুরি করার ন্যায় কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।[১] ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। অ্যাশেজ সিরিজে সাময়িকভাবে ব্যাটিংয়ে অবস্থান পরিবর্তন করে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। কিন্তু সফলতার মুখ দেখেননি তিনি।
১৯৬৩ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন পিটার পারফিট।[২]
ক্রিকেট সংবাদদাতা কলিন বেটম্যানের অভিমত, হালকা-পাতলা গড়নের পিটার পারফিট তার শক্তিশালী বামহাত দিয়ে খেলতে অভ্যস্ত ছিলেন। দ্রুতলয়ে ক্ষিপ্রতার সাথে রান তুলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। ভয়ার্ত চিত্তে থাকা সত্ত্বেও টেস্ট ক্রিকেট অঙ্গনে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন আনতে পারতেন।
বামহাতি ব্যাটসম্যান, ডানহাতি অফব্রেক বোলার ও চমৎকার ফিল্ডার হিসেবে মাঠে রাজত্ব কায়েম করেছেন পিটার পারফিট। তিনি তার সময়কালে অন্যতম সেরা ও দর্শনীয় স্ট্রোকমেকার ছিলেন।
৩৫ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলা থেকে পিটার পারফিট অবসরগ্রহণ করেন। তবে, বেশ দেরীতে এ খেলায় অংশগ্রহণের জন্য স্বীয় ভাগ্যকে দোষারোপ করেন। খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ল্যাঙ্কাশায়ার/ইয়র্কশায়ার সীমান্তে মদ্যপানশালা পরিচালনা করেন। এরপর টেস্ট খেলায় আতিথেয়তায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রয় করে নৈশভোজন পরবর্তী বক্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন পিটার পারফিট।
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফ্রেড টিটমাস |
মিডলসেক্স ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৬৮–১৯৭০ |
উত্তরসূরী মাইক ব্রিয়ারলি |