![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | র্যানফার্লি, নিউজিল্যান্ড | ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৭ জুন ২০১৫ পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৭২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩৬) | ৯ অক্টোবর ১৯৭৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ জানুয়ারি ২০১৭ |
পিটার জেমস পেথেরিক (ইংরেজি: Peter James Petherick; জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪২ - মৃত্যু: ৭ জুন, ২০১৫) র্যানফার্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৭ মেয়াদকালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অফ স্পিনার হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন। টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে তিনজন ক্রিকেটারের একজন হিসেবে হ্যাট্রিক করে স্মরণীয় হয়ে আছেন পিটার পেথেরিক।[১] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওতাগো এবং ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
৩৩ বছর বয়সে ওতাগোর পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতে নামেন পেথেরিক।[২] ১৯৭৫-৭৬ থেকে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুম পর্যন্ত ওতাগোতে এবং ১৯৭৮-৭৯ থেকে ১৯৮০-৮১ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েলিংটনে খেলেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে নিজস্ব পঞ্চম খেলায় নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৯/৯৩ লাভ করেন।[৩] ঐ মৌসুমে ২০.১৩ গড়ে ৪২ উইকেট দখল করেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৪.৪৭ গড়ে ১৮৯ উইকেট নেন। তন্মধ্যে নয়বার পাঁচ উইকেট ও দুইবার দশ উইকেট পান।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৬ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ৪২.৫৬ গড়ে ১৬ উইকেট দখল করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে হ্যাট্রিক করেছিলেন তিনি। এরফলে জানুয়ারি, ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের মরিস অলমের পর অভিষেক টেস্টে দ্বিতীয় খেলোয়াড় ও প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় হিসেবে তিনি এ সম্মাননা অর্জন করেন।[১] পরবর্তীতে অস্ট্রেলীয় ড্যামিয়েন ফ্লেমিংও অভিষেক টেস্টে হ্যাট্রিক করেছেন। জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম রাজা ও ইন্তিখাব আলম তার শিকারে পরিণত হন। হ্যাট্রিকের পূর্বে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ০/৯৬ ও পাকিস্তানের ৩৩৬/৪। এ সময় ওতাগোর অধিনায়ক ও জাতীয় দলের উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ওয়ারেন লি তাকে বোলিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পঞ্চম উইকেটে জাভেদ মিয়াঁদাদ-আসিফ ইকবাল ২৮১ রানের জুটি গড়লে প্রথমে মিয়াঁদাদ (১৬৩) স্কয়ার লেগে রিচার্ড হ্যাডলির হাতে ক্যাচ দেন।[৪] বামহাতি ওয়াসিম রাজা (০) কট এন্ড বোল্ড হন। এরপর সিলি পয়েন্টে সারে দলের সতীর্থ জিওফ হাওয়ার্থের ইন্তিখাব আলমের (০) ক্যাচ নিলে হ্যাট্রিক পূর্ণতা পায়। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসে পেথেরিক ও ফ্রাঙ্কলিন - এ দুইজন বোলার টেস্টে হ্যাট্রিক করেছেন।
ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর লন বল খেলার দিকে ঝুঁকে পড়েন। দুইজন নিয়ে গড়া দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ২০০৬ সালের নিউজিল্যান্ড ন্যাশনাল বলস চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল খেলেন।[৫] ৭ জুন, ২০১৫ তারিখে ৭২ বছর বয়সে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে তার দেহাবসান ঘটে।[৬]