ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পিটার ম্যাকলিন পোলক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পিটারমারিৎজবার্গ, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩০ জুন ১৯৪১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | পুচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এএম পোলক (বাবা) আরজি পোলক (ভাই) এসএম পোলক (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১০) | ৮ ডিসেম্বর ১৯৬১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ মার্চ ১৯৭০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৮-১৯৭২ | ইস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ |
পিটার ম্যাকলিন পোলক (ইংরেজি: Peter Pollock; জন্ম: ৩০ জুন ১৯৪১) স্কটিশ বংশোদ্ভূত ও নাটাল প্রদেশের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ‘পুচ’ ডাকনামে পরিচিত পিটার পোলক দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারির কার্যকরী ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেও ভূমিকা রেখেছেন।[১] বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য।
এডিনবরায় জন্মগ্রহণকারী অ্যান্ড্রু পোলক তার বাবা ছিলেন। মন্ত্রী থাকা অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা চলে আসেন তিনি। ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রে হাই স্কুলে গ্রেইমের সাথে তিনিও অধ্যয়ন করেন।[২] পিটারের সাথে তার ভাই গ্রেইম পোলকও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন।[৩] তার দুই ভাইপো ট্রান্সভাল ও লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার সন্তানদের মধ্যে শন পোলক সর্বাপেক্ষা খ্যাতি অর্জন করেন ও বৈশ্বিকভাবে অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডারের মর্যাদা পেয়েছেন।[৪]
১৯৬১ সালে ডারবানে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে কলিন ব্ল্যান্ড ও কেনেথ ওয়াল্টারের সাথে তার একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট দখল করেছিলেন।[৫] ১৯৬০-এর দশকে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় বোলার ছিলেন। তন্মধ্যে ১৯৬২ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক টেস্টেই তার দৃপ্ত পদচারণা ছিল।
১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ট্রেভর গডার্ডের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকদের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। এ পর্যায়ে স্বীয় ভ্রাতা গ্রেইম পোলক এবং পিদি ভ্রাতৃদ্বয় - টনি পিদি ও ডেভিড পিদি’র সাথে একত্রে খেলেন। এটিই এক টেস্টে কোন দলের পক্ষে দুই জোড়া ভ্রাতৃদ্বয়ের একযোগে খেলায় অংশগ্রহণ ছিল। খেলোয়াড়ী জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ১৯৬৫ সালের ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট। ঐ টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ভাইয়ের ক্রীড়াশৈলী অতীব প্রশংসনীয় ছিল। খেলায় পিটার ৫/৫৩ ও ৫/৩৪ এবং গ্রেইম ১২৫ ও ৫৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[৬] বলাবাহুল্য ঐ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা দল জয়লাভ করে।
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরপরই ১৯৯০-এর দশকে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার দল নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান ছিলেন।[৭] তার কাজের ধারা ও শক্তিশালী ফাস্ট বোলিংভিত্তিক খেলার কারণে দলটি বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে শীর্ষ দুই দলের একটিরূপে পরিচিতি পায়।[৭] পরবর্তীতে আঘাতে আক্রান্ত দলকে সহায়তা করতে অবসর নেয়া অ্যালান ডোনাল্ডকে পুনরায় খেলার জগতে ফিরে এনেছিলেন।
ক্রিকেটের বাইরে অবস্থান করে পিটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিক জীবনে সংশ্লিষ্ট হন। এছাড়াও খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী পিটার পোলক অনেকগুলো ক্রিকেট সম্বন্ধীয় পুস্তক রচনা করেছেন।
১৯৬৬ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে ঘোষণা করে।[২]