ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পিটার বার্কার হাওয়ার্ড মে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | রিডিং, বার্কশায়ার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য | ৩১ ডিসেম্বর ১৯২৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৭ ডিসেম্বর ১৯৯৪ লিপহুক, হ্যাম্পশায়ার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য | (বয়স ৬৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৬১) | ২৬ জুলাই ১৯৫১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ আগস্ট ১৯৬১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫০ - ১৯৬৩ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫০ - ১৯৫২ | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
পিটার বার্কার হাওয়ার্ড মে, সিবিই (ইংরেজি: Peter May; জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯২৯ - মৃত্যু: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৪) বার্কশায়ারের রিডিং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও শৌখিন ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঘরোয়া কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পিটার মে। ১৯৫০-এর দশকে সর্বাপেক্ষা ধারাবাহিক ও প্রতিভাবান ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে কাউন্টি ও ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে ভূমিকা রেখেছেন। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়কালে তাকে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে।
চার্টারহাউজ ও পেমব্রোক কলেজে অধ্যয়ন করেন পিটার মে। উভয় প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই তিনি তার সহজাত ব্যাটিং প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।
১৯৫১ মৌসুমে হেডিংলিতে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ঐ টেস্টে তিনি চমৎকার শতরান (১৩৮) তোলেন। এরপর থেকেই তিনি নিয়মিতভাবে ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন।
১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে সবিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন পিটার মে। বিল জনস্টনের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলকে রুখে দিতে সক্ষম হন। ১৯৫৪-৫৫ ও ১৯৫৬ মৌসুমে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের অধিকারী ছিলেন তিনি।
বিখ্যাত ইংরেজ দলনেতা লিওনার্ড হাটনের অবসরের পর তিনি যোগ্যতম ছিলেন ও দলের অধিনায়কত্ব করেন। তার অধিনায়কত্বে দল বেশ সফলতা লাভ করেছিল। ১৯৫৮ মৌসুমের পূর্বেকার দুই মৌসুমে তার অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ড দল কোন টেস্টে পরাজিত হয়নি। ১৯৫৫ মৌসুমে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে ইংল্যান্ড দল। ১৯৫৬ মৌসুমে ২-১ ব্যবধানে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে হারায়। ১৯৫৮ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ও নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে পরাভূত করে তার দল।
অধিনায়ক হিসেবে তিনি কঠোর অনুশাসনে দলে ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু অনেক সময় অনমনীয় ছিলেন যা সহজাত নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ছিল।[২][৩][৪] তবে, ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে তিনি বেশ রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় ও আত্মসমর্পণমূলক অবস্থায় রিচি বেনো’র দলের কাছে পরাজিত হন। যেখানে ব্যাটসম্যানেরা আউট হতে উদগ্রীব, সেখানে তিনি রান বাঁচানোর চেষ্টায় তৎপরতা দেখিয়েছেন। ইয়ান মেকিফের প্রশ্নবোধক বোলিংয়ের মুখোমুখি হয়ে প্রথম টেস্টের ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেন যে তা অখেলোয়াড়ীসুলভ আচরণ। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর নিউজিল্যান্ডকে ১-০, ভারতকে ৫-০ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে নেতৃত্বে দেন। ১৯৬১ মৌসুমে ২-১ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের পর দূর্বল স্বাস্থ্যের কারণে অবসর নিতে বাধ্য হন। তার অধিনায়কত্বের পরিসংখ্যান হচ্ছে ৪১ টেস্টে ২০ জয়, ১০ পরাজয় ও ১১ ড্র। কেবলমাত্র রিচি বেনো তাকে টেস্ট সিরিজে পরাজিত করতে পেরেছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা সফলতম ব্যাটসম্যান হিসেবে চিত্রিত করা হয়ে থাকে। তার লম্বাটে ও শক্তিশালী দৈহিক গড়নে নিখুঁত ভঙ্গীমায় সপাটে ব্যাটিং চালানো ও স্ট্রোকের ফুলঝুঁড়িতে দর্শকেরা মুগ্ধ হয়ে যেতেন।[২][৩][৫] অধিনায়কের ন্যায় দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবস্থান করে ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটিয়েছেন। অধিনায়ক অবস্থায় তার গড় ছিল ৫৪.০৩।[৬] ১৯৫৭ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ২৮৮ রানে এগিয়ে থাকা অবস্থায় তিনি নিজস্ব সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৮৫* রান তোলেন।[৭] তার এ সংগ্রহটি পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে ইংরেজ অধিনায়ক গ্রাহাম গুচের ৩৩৩ রানের পূর্ব পর্যন্ত শীর্ষে ছিল।[৮] এ রান তোলার সময় কলিন কাউড্রেকে (১৫৪) সাথে নিয়ে ৪১১ রানের জুটি গড়েন যা ইংল্যান্ডের যে-কোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। কেবলমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনার সনি রামাদিন বোলিংয়ে প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলেন।
১৯৫৬ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে নিম্নমুখী রান প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তা স্বত্ত্বেও তিনি ৯০.৬০ গড়ে ৪৫৩ রান তুলেছিলেন। ঐ সিরিজে কেবলমাত্র একবারই পঞ্চাশের নিচে (৪৩) রান তুলেছিলেন। যদিও তিনি নিজেকে উচ্চ শিক্ষিত শৌখিন ও ভদ্রলোক হিসেবে দাবী করেছেন; তা স্বত্ত্বেও তিনি উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন যে, ইংরেজ ক্রিকেটে প্রাচীন শ্রেণীপ্রথা ক্রমশঃ ভেঙ্গে পড়ছে। লেন হাটনের নেতৃত্বে শৌখিন ও পেশাদারী ক্রিকেট একীভূত হতে থাকে। তিনি দলের বিশ্বস্ততার প্রতীক ছিলেন ও সর্বক্ষণই অন্য খেলোয়াড়দেরকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে সচেষ্ট ছিলেন।[৯]
১৯৫০-এর দশকের শেষার্ধ্বে গুরুতর অসুস্থ থাকায় তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হতে হয়। ১৯৬৩ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। উইলিস ফাবের ডুমাস (বর্তমানে উইলিস গ্রুপ) বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন।[১]
১৯৮২ সালে তৎকালীন ইংল্যান্ড দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি অ্যালেক বেডসারের পদত্যাগের পর তিনি সাত বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত তুখোড় চারজন অধিনায়কের উপর কর্তৃত্ব চালান। ১৯৮৯ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে ডেভিড গাওয়ারের অধিনায়কত্বে শোচনীয় পরাজয়কে গুরুতর ভুল হিসেবে ধরা হয়।[১] এরফলে মে’কে এ পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তিনি মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবেরও সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সারে ক্রিকেট ক্লাবে তাঁকে মরণোত্তর সভাপতি পদে মনোনীত করা হয়।
১৯৫২ সালে উইজডেন কর্তৃক তাঁকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার ঘোষণা করা হয়। ৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে তাঁকে মরণোত্তর আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁর সম্মানার্থে সারের দি ওভালে ‘পিটার মে এনক্লোজার’ নামে একটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক হ্যারল্ড জিলিগানের কন্যা ভার্জিনিয়া জিলিগানের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তাদের সংসারে চার কন্যা ছিল। ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে হ্যাম্পশায়ারের লিপহুকে তার দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুর চারদিন পূর্বে তিনি তার ৬৫তম জন্মদিন উদযাপিত করেছিলেন।
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী লেন হাটন |
ইংরেজ ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৫৫-১৯৫৯/৬০ |
উত্তরসূরী কলিন কাউড্রে |
পূর্বসূরী কলিন কাউড্রে |
ইংরেজ ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৬১ |
উত্তরসূরী টেড ডেক্সটার |