ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পিটার লিভার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | টডমোর্ডেন, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | কলিন লিভার (ভ্রাতা) লরা লিভার (নাতনী) এমিলি লিভার (নাতনী) র্যাচেল লিভার (কন্যা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ এপ্রিল ২০১৮ |
পিটার লিভার (ইংরেজি: Peter Lever; জন্ম: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪০) ইয়র্কশায়ারের টডমোর্ডেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার, মেরিলেবোন ও ল্যাঙ্কাশায়ার এবং অস্ট্রেলীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাসমানিয়ার পক্ষাবলম্বন করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে কার্যকরী ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখতেন তিনি।
১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সময়কালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে সতেরোটি টেস্ট ও দশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার সুযোগ লাভ করেছেন। উইকেট সংগ্রহের দিক দিয়ে বেশ সফল ছিলেন পিটার লিভার। ৪১ টেস্ট উইকেট পান। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ব্যাটিং করে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৮ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইয়ান চ্যাটফিল্ডের বিপক্ষে মারাত্মকভাবে বাউন্সার ছুড়েছিলেন ও মৃত্যুর দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক ঘটা চ্যাটফিল্ডকে।[২]
পিটার লিভার ল্যাঙ্কাশায়ার ও তাসমানিয়ার পক্ষে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এ সময়ে ৩০১টি খেলায় অংশ নিয়ে ৭৯৬ উইকেট লাভের পাশাপাশি ৩,৫৩৪ রান তুলেছেন। তবে, জন স্নো, জেফ জোন্স, ডেভিড ব্রাউন ও কেন হিগসের ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভূক্তির ফলে লিভারের অভিষেক পর্ব বেশ দেরীতে সম্পন্ন হয়।
৩০ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার। ১ ডিসেম্বর, ১৯৭০ তারিখে পার্থে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। অ্যাশেজ সিরিজের ২য় টেস্টে ব্যাট হাতে দুই রান তুললেও উভয় ইনিংসে একটি করে উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান।[৩]
শান্ত প্রকৃতির হলেও অত্যন্ত বিপজ্জ্বনকভাবে বাউন্সার প্রদান করতে পারতেন পিটার লিভার। উভয় ধরনের গুণাবলীই অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ১৯৭৫ সালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেখিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ইয়ান চ্যাটফিল্ডকে তার বাউন্সারের শিকার হতে হয় ও বলটি কপালে লাগে। তবে, ইংল্যান্ড দলের ফিজিওথেরাপিস্ট তার মুখে শ্বাস-প্রশ্বাস ও বুকে চাপড় দিয়ে চ্যাটফিল্ডের সমূহ মৃত্যু সম্ভাবনাকে রহিত করতে পেরেছিলেন।[৪] হতবিহ্বল অবস্থায় লিভার হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন ও সতীর্থদেরকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে বলেন।[১][৫]
৫ আগস্ট, ১৯৭৫ তারিখে চূড়ান্ত টেস্ট খেলেন। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ টেস্টের মাধ্যমে টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটান পিটার লিভার। সমগ্র টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৬.৮০ গড়ে ৪১ উইকেট পেয়েছেন। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছেন ৬/৩৮।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন পিটার লিভার। তন্মধ্যে, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে খেলার সুযোগ হয় তার। ১১টি উইকেট লাভ করলেও মাত্র ১৭ রান তুলতে পেরেছিলেন।
৫ জানুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। একই দলের বিপক্ষে লিডসের হেডিংলিতে ১৮ জুন, ১৯৭৫ তারিখে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এরফলে, অভিষেক ও সর্বশেষ টেস্ট ও ওডিআইয়ে একই দলের বিপক্ষে খেলায় অংশগ্রহণের অনন্য সাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী হন পিটার লিভার।[২]
১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান ছিল ও লিস্ট এ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি তার পুরনো ঘরোয়া ক্রিকেট ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৬]
বর্তমানে তিনি ডেভনভিত্তিক লিওডাউন ক্রিকেট ক্লাবে কোচের দায়িত্বে রয়েছেন।[৭] পিটার লেভারের ভাই, কলিন লেভারও ক্রিকেটার হিসেবে সফলতা পেয়েছেন।