পিস লিলি শান্তির লিলি | |
---|---|
![]() | |
Spathiphyllum cochlearispathum | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
Kingdom: | উদ্ভিদ |
Clade: | সংবাহী উদ্ভিদ |
Clade: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
Clade: | একবীজপত্রী |
Order: | Alismatales |
Family: | অ্যারাসি |
Subfamily: | Monsteroideae |
Tribe: | Spathiphylleae |
Genus: | স্প্যাথিফাইলাম Schott |
![]() | |
Map of the natural distribution | |
Synonyms | |
|
পিস লিলি বা 'শান্তির লিলি' যার (বৈজ্ঞানিক নাম : Spathiphyllum.spp - স্প্যাথিফিলাম এসপিপি ) হল 'অ্যারাসি' পরিবারের প্রায় ৪৭ রকম Spathiphyllum- স্প্যাথিফাইলাম প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল। গাঢ় সবুজ পাতার সঙ্গে দুধ-সাদা ফুলের বৈপরীত্যে উদ্ভিদটি দৃষ্টিনন্দন। তাছাড়া, স্নিগ্ধতার কারণে এটি অন্দরসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। শান্তির প্রতীক সাদা পতাকার ন্যায় ফুলের জন্যই উদ্ভিদটির নাম পিস লিলি বা শান্তির লিলি।[১]
উদ্ভিদের গোড়া থেকে পাতা গুচ্ছাকারে বের হয়। প্রজাতি ভেদে এটি ৩৮ সেমি (১৫ ইঞ্চি) থেকে ১.৮ মিটার (৬ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।[১] চিরহরিৎ ভেষজ বহুবর্ষজীবী এই উদ্ভিদের ভল্লাকার তথা ল্যানসোলেট আকৃতির পাতা সাধারণত ১২-৬৫ সেমি লম্বা এবং ৩-২৫ সেমি চওড়া হয়। ফুলগুলি স্প্যাডিক্সে দেখা যায় এবং চারপাশে ১০-৩৯ সেমি লম্বা, সাদা, হলুদ বা সবুজাভ স্প্যাথে থাকে। উদ্ভিদটির জলের চাহিদা খুবই কম। পরোক্ষ সূর্যালোক ও কৃত্রিম আলোই পিস লিলির জন্য যথেষ্ট এবং পরিচর্যাও কম। সেকারণে 'পিস লিলি' সবচেয়ে জনপ্রিয় অন্দরমহলের গাছপালা। তবে গরম এবং আর্দ্র পরিস্থিতিতে বাইরে রোপণ করা হলে এগুলি উন্নতির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে উপাদানগুলি সহ্য করতে সক্ষম হয়।[২] পিস লিলির নিচের অংশে নতুন চারা বের হয়। বীজ থেকেও নতুন চারা পাওয়া যায়। গাছটির জন্য বেলে বা দোআঁশ মাটিই উপযুক্ত। কখনও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়না। অল্প পরিমানের জৈব সার অথবা ভার্মি কমপোস্টই যথেষ্ট।[৩]
স্কোটের বংশের বর্ণনা Spatha foliaris persistens টিকে থাকে ,[৪] যেখানে spatha একটি স্প্যাথে এবং foliaris একটি বিশেষণ পরিবর্তনকারী স্প্যাথে, যার অর্থ একটি পাতার সাথে সম্পর্কিত, এবং persistens মানে অব্যাহত বা টিকে থাকা। Phyllum এছাড়াও একটি পাতা মানে।[৫] পিস লিলির সোজা এবং লম্বা তলোয়ার আকারে ফুলকে 'স্পেডিক্স' বলা হয় এবং 'স্পেথ' নামক দুধ-সাদা পাপড়ি দিয়ে স্পেডিক্স জড়ানো থাকে।[৬] সাধারণত বসন্ত, কখনও কখনও শরতের এর ফুল ফোটে। পরিবেশের বিশুদ্ধতা ছাড়াও, পিস লিলির সাদা ফুল বিশ্বের শান্তি তথা যুদ্ধবিরতির সংকেত হিসাবে সাদা পতাকাকে স্মরণ করায়।
প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত:[৭]
চাষকৃত হাইব্রিডের মধ্যে রয়েছে:[৮]
স্প্যাথিফাইলামের বেশ কয়েকটি প্রজাতি অন্দরমহলের উদ্ভিদ হিসাবে জনপ্রিয়। এটি সামান্য সূর্যালোক এবং ছায়ার মধ্যেই স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে ওঠে। মাটি মোটামুটি আর্দ্র থাকলেই হয়, সপ্তাহে একবারই জল দেওয়ার প্রয়োজন হয়। নাসার "ক্লিন এয়ার স্টাডি" শীর্ষক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, এই উদ্ভিদ ঘরের মধ্যে রাখলে বাতাস বিশুদ্ধ থাকে, ঘরের বাতাসে স্নিগ্ধতা আনে, বিশেষ করে পরিবেশ দূষণের নির্দিষ্ট কয়েকটি রাসায়নিক, যেমন বেনজিন ও ফরমালডিহাইড ইত্যাদি বাতাস হতে দূর করে।[৯] অবশ্য, পরবর্তীতে পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এই পরিচ্ছন্নতার প্রভাব ব্যবহারিকক্ষেত্রে ততটা হয় না।[১০]
পিস লিলি'কে "লিলি" বলা হলেও, উদ্ভিদটি কিন্তু 'লিলিয়াসি' পরিবারের অন্তর্ভুক্ত নয়। পিস লিলি উদ্ভিদ অল্প বিষাক্ত ধরনের। গাছটির সমস্ত অংশে ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে, যা খাদ্য দ্রব্যের সঙ্গে পেটে গেলে ত্বকে, মুখে জ্বালাপোড়া, গিলতে অসুবিধা, বমি বমি ভাব সৃষ্টি হয়। কখনও কখনও শ্বাসকষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই পিস লিলিকে ছোট শিশু ও বাড়িতে পোষা প্রাণীদের যেমন, বিড়াল বা কুকুরের নাগালের বাইরে রাখা প্রয়োজন।[১১][১২]