পীতশাল

পীতশাল বা অশন
টেরোকার্পাস মার্সুপিয়াম
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস edit
Kingdom: উদ্ভিদ
Clade: সংবাহী উদ্ভিদ
Clade: সপুষ্পক উদ্ভিদ
Clade: Eudicots
Clade: Rosids
Order: Fabales
Family: Fabaceae
Subfamily: Faboideae
Genus: Pterocarpus
Species:
P. marsupium
বৈজ্ঞানিক নাম
Pterocarpus marsupium

Synonyms
  • Pterocarpus marsupium f. acuminata (Prain) Prain
  • Pterocarpus marsupium f. acuta Prain
  • Pterocarpus marsupium f. biloba (Roxb. ex G. Don) Prain []

পীতশাল বা লোকপ্রচলিত নাম 'পিয়াশাল' যার বৈজ্ঞানিক নাম : টেরোকার্পাস মার্সুপিয়াম (pterocarpus marsupium. roxb) হল papilionaceae পরিবারের এক ভেষজ উদ্ভিদ। ভারতের অথর্ববেদে বৈদ্যককল্পে গাছটিকে 'অশন' বা 'অসন' হিসাবে উল্লেখ করা হয়ছে। সারা বিশ্বে ঊষ্ণপ্রধান অঞ্চলে এই গণের প্রায় চব্বিশটি প্রজাতির গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এরমধ্যে মাত্র চারটি প্রজাতির গাছ ভারতে পাওয়া যায়। ভারতের গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশার পাহাড়ী অঞ্চলে এই গাছ জন্মে। নেপাল (बिजयसाल) নামে ও শ্রীলঙ্কাতেও পাওয়া যায়। গাছের পাতা, নিঃসৃত আঠা ও কাঠ ঔষধার্থে ব্যবহৃত হয়।[]

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

গাছটি সাধারণত ৪০-৫০ ফুট (১২ - ১৫ মিটার) লম্বা ও ৩-৪ ফুট (১ - ১.৫ মি) চওড়া হয়ে থাকে। গাছের ছাল ধূসর বর্ণের হলে কাঠের সার অংশের রঙ হয় গাঢ় হলুদ রঙের। এই পর্যায়ে গাছটিকে পীতশাল এবং লোকপ্রচলিত নাম 'পিয়াশাল' বলা হয়ে থাকে। গাছের পাতা ৫ - ৮ ইঞ্চি ( ১২.৭ - ২০.৩২ সেমি) লম্বাটে এবং অগ্রভাগ সূচালো হয়। এক একটি পত্রদণ্ডে ৫-৭টি পাতা থাকে। ছোট ছোট পুষ্পদণ্ডে গুচ্ছাকারে হলুদ রঙের ফুল হয় ও পরে দু- ইঞ্চি লম্বা চ্যাপ্টা শুঁটির মতো ফল ধরে এবং ভিতরে দুটি অবতল আকারের শক্ত বীজ থাকে।[]

ব্যবহার

[সম্পাদনা]
  • নিঃসৃত আঠা— অতিসারে, কুষ্ঠে, শ্বেতাঙ্গ ও বিস্ফোটকে ব্যবহৃত হয়।
  • পাতার রস—ফোঁড়া, ঘা ও চর্মরোগে বিশেষ উপকারী।
  • কাঠ— প্রমেহনাশক, মধুমেহ অর্থাৎ ডায়াবেটিসে - গরম জলে রাত্রে ভিজিয়ে রেখে (১০/১২ ঘন্টা), ছেঁকে দিনে কয়েকবার পান করলে রক্তে শর্করার আধিক্য নষ্ট হয়।[]

গ্যালারি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; iucn status 12 November 2021 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. শিবকালী ভট্টাচার্য (১৯৮১)। চিরঞ্জীব বনৌষধি (ষষ্ঠ খণ্ড)। আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা। পৃষ্ঠা ১৯২–১৯৮। আইএসবিএন 978-81-7066-611-0 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

উইকিমিডিয়া কমন্সে পীতশাল সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।