পুসারলা ভেঙ্কট সিন্ধু (তেলুগু: పుసర్ల వెంకట సింధు; ৫ জুলাই ১৯৯৫ ) একজন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।[৩] তিনি জাপানের নোজোমি ওকুহরাকে ২১-৭, ২১-৭ সোজা সেটে পরাজিত করে বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী প্রথম ভারতীয় হন।
পিভি সিন্ধু ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে জাপানের নোজমি ওকুহারাকে ২১-১৯, ২১-১০ এ পরাজিত করে নারীদের ব্যাডমিন্টন একক ইভেন্টে চূড়ান্ত পৌঁছানোর এবং নিজেকে অন্তত রৌপ্য পদকের জন্য নিশ্চিত করেন।[৪]
২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন। সিন্ধুই ভারতের একমাত্র মহিলা খেলোয়াড় যিনি দুটো অলিম্পিক পতন জয় করেছেন।
তিনি ২১ সেপ্টেম্বর ২০১২ তে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন রাঙ্কিং এ শীর্ষ ২০ ব্যাডমিন্টনে স্থান করে নেন।[৫]। ১০ আগস্ট ২০১৩ সালে, সিন্ধু প্রথম ভারতীয় মহিলা একক খেলোয়াড় যিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জেতেন। ৩০ মার্চ ২০১৫ সালে, তিনি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান, পদ্মশ্রী পান।[৬] ১৮ আগস্ট ২০১৬ সালে, তিনি রিও অলিম্পিকে সেমিফাইনালে জাপানেের নোজমি ওকুহারাকে পরাজিত করেন। তিনি প্রথম ভারতীয় নারী যিনি অলিম্পিকে নারীদের ব্যাডমিন্টন একক ইভেন্টে ফাইনালে পৌঁছন। ১৯ আগস্ট ২০১৬ সালে তিনি ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফাইনালে প্রথম সেট বিশ্বের প্রথন স্থানাধিকারী ক্যারোলিনা মেরিনের বিরুদ্ধে ২১-১৯ এ জেতেন। তিনি দ্বিতীয় সেট ১২-২১ এ পরাজিত হন। তৃতীয় সেটে ১৫-২১ এ পরাজিত হয়ে রৌপ পদক লাভ করেন। তিনি প্রথম মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় যিনি অলিম্পিকে রৌপ পদক জেতেন। তিনি ভারতের সব থেকে কম বয়সী মহিলা খেলোয়াড় যিনি অলিম্পিকে রৌপ পদক জেতেন।
পুসারলা ভেঙ্কট সিন্ধু পি ভি রামানা এবং পি বিজয়ার কন্যা; - উভয়েই পূর্বের ভলিবল খেলোয়াড়। রামানা এছাড়াও ভারত সরকার- কৃত২০০০ অর্জুন পুরস্কার তার খেলাধুলার জন্য জিতেছেন। [৭] যদিও তার বাবা পেশাদার ভলিবল খেলেছেন, সিন্ধু ২০০১ অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন পুল্লেলা গোপীচাঁদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে, ভলিবলের বদলে ব্যাডমিন্টন বেছে নেন.[৮] তিনি আট বছর বয়স থেকে ব্যাডমিন্টন খেলতে শুরু করেন।[৭]
সিন্ধু প্রথমেে সেকেন্দ্রাবাদে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে সংকেত প্রকৌশল ও টেলিযোগাযোগ ইনস্টিটিউট এর ব্যাডমিন্টন কোর্টে মেহবুব আলীর কাছে খেলার প্রারম্ভিক শিক্ষা নেন। পরেই তিনি পুল্লেলা গোপীচাঁদের ব্যাডমিন্টন একাডেমী যোগদান করেন।[৮] যদিও সিন্ধুর কর্মজীবন সম্বন্ধে লেখার সময়, 'দ্য হিন্দু' -র এক সংবাদদাতা লিখেছেন:
"সত্য যে তাঁর বাসভবন থেকে ৫৬ কিমি দূরত্বে, তিনি দৈনিক কোচিং ক্যাম্পের সঠিক সময় পৌছতেন, সম্ভবত একজন ভাল ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হবার জন্য তাঁর প্রয়োজনীয় কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতির প্রতি তাঁর প্রবল ইচ্ছার প্রতিফলন।"[৮]
গোপীচাঁদ এই প্রতিনিধির মতামতকে সমর্থন করে তিনি বলেন, "যে সিন্ধুর খেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য তার মনোভাব এবং কখনও হারব না মনোবল"[৯]
ক্রমিক.সংখ্যা. | বছর | টুর্নামেন্ট | চূড়ান্ত খেলায় প্রতিপক্ষ | স্কোর |
---|---|---|---|---|
১ | ২০১১ | ইন্দোনেশিয়া আন্তর্জাতিক | ফ্রান্সিসকা রত্নাসারী | ২১-১৬, ২১-১১[১০] |
২ | ২০১৩ | মালয়েশিয়া মাস্টার্স | গু জুয়ান | ২১–১৭, ১৭–২১, ২১–১৯ |
৩ | ২০১৩ | ম্যাকাও ওপেন | মিশেল লি | ২১–১৫, ২১–১২ |
৪ | ২০১৪ | ম্যাকাও ওপেন | কিম হিও মিন | ২১–১২, ২১–১৭ |
৫ | ২০১৫ | ম্যাকাও ওপেন | মিন্টাসু মিটানি | ২১–৯, ২১-২৩, ২১-১৪ |
৬ | ২০১৬ | মালয়েশিয়া মাস্টার্স | কার্সটি গিলমোর | ২১-১৫, ২১-৯ |
ক্রমিক.সংখ্যা. | বছর | টুর্নামেন্ট | চূড়ান্ত খেলায় প্রতিপক্ষ | স্কোর |
---|---|---|---|---|
১ | ২০১১ | ডাচ ওপেন | ইয়াও জে | ১৬-২১, ১৭-২১ |
২ | ২০১২ | সৈয়দ মোদী আন্তর্জাতিক | লিন্ডাওয়েনি ফানেট্রিি | ১৫-২১, ২১-১৮, ১৮-২১ |
৩ | ২০১৪ | সৈয়দ মোদী আন্তর্জাতিক | সাইনা নেহওয়াল | ১৪-২১, ১৭-২১ |
৪ | ২০১৫ | ডেনমার্ক ওপেন | লি জুইরুই | ১৯-২১, ১২-২১ |
৫ | ২০১৬ | দক্ষিণ এশিয়ান গেমস | গড্ডে রুত্বিকা শিবানী | ১১-২১,২০-২২ |
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)