পূজালী | |
---|---|
শহর | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২৮′০৪″ উত্তর ৮৮°০৮′৪৩″ পূর্ব / ২২.৪৬৭৮৭২২° উত্তর ৮৮.১৪৫২৪১০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
বিভাগ | প্রেসিডেন্সি |
জেলা | দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা |
অঞ্চল | বৃহত্তর কলকাতা |
সরকার | |
• ধরন | পুরসভা |
• শাসক | পূজালী পুরসভা |
আয়তন | |
• মোট | ৮.৩২ বর্গকিমি (৩.২১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯ মিটার (৩০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৭,০৪৭ |
• জনঘনত্ব | ৪,৫০০/বর্গকিমি (১২,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা[১][২] |
• অতিরিক্ত সরকারি | ইংরেজি[১] |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন কোড | ৭০০১৩৮ |
টেলিফোন কোড | +৯১ ৩৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি-১৯ থেকে ডব্লিউবি-২২, ডব্লিউবি-৯৫ থেকে ডব্লিউবি-৯৯ |
লোকসভা কেন্দ্র | ডায়মন্ড হারবার |
বিধানসভা কেন্দ্র | বজবজ |
ওয়েবসাইট | www |
পূজালী হল ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি শহর ও পঔরসভা। এই শহরটি কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার অন্তর্গত।[৩]
কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার আলিপুর সদর মহকুমাই এই জেলার সর্বাধিক নগরায়িত অংশ। এই মহকুমার মোট জনসংখ্যার ৫৯.৮৫ শতাংশ শহরাঞ্চলে এবং অবশিষ্ট ৪০.১৫ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। মহকুমার উত্তর অংশে (পাশের মানচিত্রে প্রদর্শিত) ২১টি জনগণনা নগর রয়েছে। সমগ্র জেলাটি গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত এবং মহকুমাটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে পলিসমৃদ্ধ সমভূমিতে অবস্থিত। মহকুমার এই অংশটি রাজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য শিল্পাঞ্চলও বটে।[৫][৬][৭]
পূজালী শহরটি ২২°২৮′০৪″ উত্তর ৮৮°০৮′৪৩″ পূর্ব / ২২.৪৬৭৮৭২২° উত্তর ৮৮.১৪৫২৪১০° পূর্ব অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।[৮] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই শহরে গড় উচ্চতা ৯ মিটার (৩০ ফু)।
২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী,পূজালীর মোট জনসংখ্যা ৩৭,০৪৭; এর মধ্যে ১৮,৯৪০ জন পুরুষ (৫১ শতাংশ) এবং ১৮,১০৭ জন মহিলা (৪৯ শতাংশ)। ৪,৩১৬ জনের বয়স ছয় বছর বা তার কম। মোট সাক্ষর জনসংখ্যা ২৫,৭৯১ (সাত বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী জনসংখ্যার ৭৮.৮০ শতাংশ)।[৯]
২০০১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূজালীর মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৩,৮৬৩; এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল ৫২ শতাংশ এবং মহিলার হার ছিল ৪৮ শতাংশ। শহরে গড় সাক্ষরতার হার ছিল ৬১ শতাংশ, যা সেই জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী জাতীয় গড় ৫৯.৫ শতাংশের তুলনায় ছিল সামান্য বেশি। শহরের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের বয়স ছিল ছয় বছরের নিচে।[১০]
২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার নিম্নলিখিত পুরসভা ও জনগণনা নগরগুলি হল (পুরসভা ও জনগণনা নগর বন্ধনীতে যথাক্রমে পু. ও জ.ন. আদ্যক্ষর দ্বারা চিহ্নিত): মহেশতলা (পু.), জোকা (জ.ন.) (বর্তমানে কলকাতা পৌরসংস্থার অধিভুক্ত), বলরামপুর (জ.ন.), চটা কালিকাপুর (জ.ন.), বজবজ (পু.), নিশ্চিন্তপুর (জ.ন.), উত্তর রায়পুর (জ.ন.), পূজালী (পু.) ও রাজপুর সোনারপুর (পু.)।[১১]
পূজালী পুরসভা ১৬টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। ২০১৫ সালের পুরভোটের পর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এই পুরসভায় ক্ষমতাসীন হয়।
বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সদর পূর্ব নিশ্চিন্তপুরে অবস্থিত।[১২] দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক-এর ১৬৭ পৃষ্ঠার মানচিত্রে বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সদর হিসাবে পূজালীকে দেখানো হয়েছে।[১৩]
পূজালী রেলপথের মাধ্যমে সুসংযুক্ত। বজবজ রেল স্টেশনের মাধ্যমে শহরটির সঙ্গে শিয়ালদহ-বজবজ লাইনে শিয়ালদহ রেল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত। এই লাইনটির মাধ্যমে পূজালী কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া অ্যাপ-ভিত্তিক ও অন্যান্য ক্যাব এজেন্সিগুলি পূজালীতে ক্যাব পরিষেবা পরিচালনা করে। শহরের মধ্যে যাতায়াতের জন্য তিন চাকার অটোরিক্সা ও সাধারণ রিক্সা বহুল প্রচলিত। পূজালী থেকে হুগলি নদীর অপর পাড়ে উলুবেড়িয়ার সঙ্গে নিয়মিত ফেরি পরিষেবা সুলভ।
রাজীবপুর উচ্চ বিদ্যালয় হল একটি বাংলা-মাধ্যম সহশিক্ষামূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়।[১৪]
পূজালী রঘুনাথপুর বিদ্যালয় হল একটি বাংলা-মাধ্যম সহশিক্ষামূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়।[১৫]
পূজালী শিক্ষা নিকেতন হল একটি বাংলা-মাধ্যম সহশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়।[১৬]
পূজালীতে অবস্থিত বিরাজলক্ষ্মী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র হল একটি ছয় শয্যাবিশিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্র।[১৭]