পূর্ণিমা অরবিন্দ পাকওয়াসা

পূর্ণিমা অরবিন্দ পাকওয়াসা
জন্ম(১৯১৩-১০-০৫)৫ অক্টোবর ১৯১৩
মৃত্যু২৫ এপ্রিল ২০১৬(2016-04-25) (বয়স ১০২)
সুরাট, গুজরাট, ভারত
পেশাসমাজকর্মী

পূর্ণিমা অরবিন্দ পাকওয়াসা (৫ই অক্টোবর ১৯১৩ - ২৫শে এপ্রিল ২০১৬), ডাঙের দিদি নামে পরিচিত ছিলেন।[] তিনি গুজরাটের একজন ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী এবং সমাজকর্মী।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

পূর্ণিমা পাকওয়াসার জন্ম সৌরাষ্ট্রের (বর্তমানে গুজরাটে) লিমদির কাছে রণপুরে।[] তিনি একজন মণিপুরী নৃত্যশিল্পী এবং ধ্রুপদী কণ্ঠশিল্পীও ছিলেন।[]

রাজনৈতিক ও সামাজিক সক্রিয়তা

[সম্পাদনা]

আট বছর বয়সে রণপুরে মহাত্মা গান্ধীর সাথে পূর্ণিমার প্রথম দেখা হয় এবং তিনি লিমদিতে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৮ বছর বয়সে, তিনি লবণ সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করেন, এই সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগারে তাঁর সহ-বন্দী ছিলেন কস্তুরবা গান্ধী। পূর্ণিমা তাঁকে ইংরেজি পড়তে এবং লিখতে শেখান। মহাত্মা গান্ধী এই কাজের জন্য কৃতজ্ঞ ছিলেন এবং তাঁকে শিক্ষার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আশীর্বাদ করেছিলেন।[]

তিনি ১৯৩৮ সালে হরিপুরায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৫১তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[]

১৯৫৪ সালে, পূর্ণিমা বোম্বেতে (বর্তমানে মুম্বাই) নারীদের সাংস্কৃতিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার জন্য শক্তিদল নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। তিনি ২৫ বছর ধরে নাসিকের ভোসলা মিলিটারি স্কুলের প্রধান ছিলেন।[] পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে, তিনি ঋতম্ভরা বিশ্ব বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর কার্যক্রম সম্প্রসারিত ক'রে সাপুতারায় একটি আবাসিক স্কুল ও কলেজ স্থাপন করেন। স্কুলটি মূলত ডাঙের উপজাতি মেয়েদের জন্য চালানো হত।[][] ২০১৩ সালের অক্টোবরে তিনি ১০০ বছর পূর্ণ করেন[] এবং ২০১৬ সালের ২৫শে এপ্রিল ১০২ বছর বয়সে সুরাটে মারা যান।[] তাঁর সন্তানরা সাপুতারায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।[]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]

২০০৪ সালে সমাজসেবার জন্য পূর্ণিমাকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।[][] তিনি ২০১৩ সালে সন্তোকবা পুরস্কারে ভূষিত হন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

তিনি অরবিন্দ পাকওয়াসাকে বিয়ে করেছিলেন এবং মঙ্গলদাস পাকওয়াসার পুত্রবধূ ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে - আরতি ও সোনাল মানসিংহ - এবং এক ছেলে অনুজ। সোনাল মানসিংহ একজন ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Life and death of Poornima Pakvasa, a quiet Gandhian"dailyo.in। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২৫ 
  2. "Gandhi's Women Warriors: Poornima Pakvasa"Millennial Matriarchs। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২৫ 
  3. "Life and death of Poornima Pakvasa, a quiet Gandhian"www.dailyo.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-৩০ 
  4. "Freedom fighter, 'Didi of Dangs', dies at 103 in Surat"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৪-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-৩০ 
  5. Jason Johns। "The Pakvasa Family: History Makers & Preservers" (পিডিএফ)। ৩০ মে ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৮ 
  6. "Dang's Didi Poornimaben Pakvasa completes 100 years of life"DeshGujarat। ৫ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৭ 
  7. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫ 
  8. "SantokBaa Awards"santokbaaaward.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-৩০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]