এ. পি. বি. সিনহা ১৯২৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় এ যোগদান করেছিলেন এবং সেখান থেকে তিনি ১৯৫৪ সালে পিএইচডি লাভ করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়টি ছিল সলিড স্টেট রসায়ন ভিত্তিক। [১] পরে তিনি পুণের জাতীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগার এর ডাইরেক্টর গ্রেড বিজ্ঞানী হিসাবে এই প্রতিষ্ঠানের ভৌত রসায়ন বিভাগের নেতৃত্ব দান করেছিলেন। সলিড স্টেট রসায়নের উপর গবেষণা চালিয়ে যাওয়া, ইলেকট্রন ট্র্যাফিক ট্রান্সজিশন, স্যুইচিং, চৌম্বকীয় ক্রম এবং স্মৃতি প্রভাবের কারণে সৃষ্ট ইলেকট্রন পরিবহন এবং স্ফটিক বিকৃতির ক্ষেত্রে নিম্ন গতিশীলতা অর্ধপরিবাহী অধ্যয়ন তিনি করে ছিলেন। তিনি নতুন ম্যাঙ্গানাইট সংশ্লেষিত করার জন্য পরিচিত এবং বেশ কয়েকটি সলিড স্টেট পণ্য যেমন থার্মিস্টর, ফটোসেল, চৌম্বক এবং ফটোভোলটেইক পণ্যের বিকাশ সাধন করার জন্য পরিচিত। ইলেক্ট্রন ল্যাটিস ইন্টারঅ্যাকশন সম্পর্কিত তাঁর অধ্যয়নের ভিত্তিতে তিনি ফেরোইলেক্ট্রিসিটি তত্ত্বের জন্য সমর্থন তত্ত্বের প্রস্তাব করেছিলেন এবং থার্মোইলেক্ট্রিকাল শক্তি এবং সেমিকন্ডাক্টরে গতিশীলতা সম্পর্কে নতুন তত্ত্ব উদ্ভাবন করেছিলেন। [৫] তাঁর গবেষণাকর্ম দ্বারা অর্ধপরিবাহীর মধ্যে পরিবহন বিষয়ে বোঝার পথটিকে আরও প্রশস্ত করেছেন। তাঁর রচনা স্পেকট্রোস্কোপি ইন ইনঅরগানিক কেমিস্ট্রি নামের একটি গ্রন্থে সমন্বয় করা হয়েছে। [৬] বইয়ের মধ্য চিন্তামণি নাগেশ রামচন্দ্র রাও সম্পাদিত অধ্যায়টিতে রয়েছে তাপমাত্রার প্রভাব সম্পর্কে বিশেষ উল্লেখ সহ অক্সাইড, সালফাইড এবং সংশ্লিষ্ট যৌগের বৃদ্ধি এবং কাঠামোর স্তর সংক্রান্ত একটি গবেষণা। [৭] পিয়ার জার্নালে তাঁর বেশ কয়েকটি নিবন্ধ পর্যালোচনা করা হয়েছে। [৮][note ১] বেশ কয়েকজন লেখকের উদ্ধৃতিতেও তাঁর রচনা স্থান পেয়েছে।[note ২]
সিনহা তাঁদের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য হিসাবে বুলেটিন মেটেরিয়ালস সায়েন্স এবং ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ পিওর অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স এর মতো জার্নালের সাথে যুক্ত ছিলেন। [১]কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ তাঁকে ১৯৭২ সালে সর্বোচ্চ ভারতীয় বিজ্ঞান পুরস্কারের একটি শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছিল।[৯] ১৯৭৪ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির নির্বাচিত ফেলো হওয়ার সম্মান লাভ করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমি দ্বারা তাঁদের ফেলো হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৩] তিনি মহারাষ্ট্র বিজ্ঞান একাডেমিরও একজন নির্বাচিত ফেলো এবং ১৯৭৮ সালে তিনি জাতীয় গবেষণা উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রদত্ত মেধাবী উদ্ভাবন পুরস্কার লাভ করেন।[১] এনসিএল-এ তাঁর পদচ্যুতি হওয়ার পরে সিনহা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং মরিস ইনোভেটিভ রিসার্চের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন।[২]
আখোর্য্য পূর্ণেন্দু ভূষণ সিনহা (১৯৫৪)। এ স্টাডি অফ দি গ্রোথ অ্যান্ড স্ট্রাকচার অফ লেয়ারস অফ অক্সাইডস, সালফাইডস অ্যান্ড রিলেটেড কম্পাউন্ডস, উইথ স্পেশাল রেফারেন্স টু দি এফেক্ট অফ টেম্পারেচার। ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি, ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন।
কার্ল জোহান বলহাউসেন; ডি আর ইটন; জে ডব্লিউ হ্যাস্টি; আর এইচ হাউজ; জে এল মারগ্রেভ; এ এস এন মুর্তি; উইলিয়াম এল বাউন; ডেভিড ডাব্লিউ ফিশার; এ চক্রবর্তী; হ্যারি ডি শুল্টজ; এইচ বি মাথুর; চিন্তামণি নাগেসা রামচন্দ্র রাও; জ্যাক এম উইলিয়ামস; এস ডাব্লিউ পিটারসন; জন আর ফেরারো; জোহানেস আর্নল্ডাস কোনিংস্টেইন; কে ডি জে রুট; ম্যাক্স টি রজারস; এইচ এ কুস্কা; ব্রায়ান জি রামসে; এ পি বি সিনহা (১৯৭০)। স্পেক্ট্রোস্কোপি ইন ইনঅরগানিক কেমিস্ট্রি। অ্যাকাডেমিক প্রেস। ওসিএলসি636106622।
↑Carl Johan Ballhausen, D R Eaton; J W Hastie; R H Hauge; J L Margrave; A S N Murthy; William L Baun; David W Fischer; A Chakravorty; Harry D Schultz; H B Mathur; Chintamani Nagesa Ramachandra Rao, Chemiker Indien; Jack M Williams; S W Peterson; John R Ferraro; Johannes Arnoldus Koningstein; K D J Root; Max T Rogers; H A Kuska; Brian G Ramsey; A P B Sinha (১৯৭০)। Spectroscopy in inorganic chemistry। Academic Press। ওসিএলসি636106622।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (link)
↑"Chemical Sciences"। Council of Scientific and Industrial Research। ২০১৬। সেপ্টেম্বর ১২, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৭, ২০১৬।