ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পৃথ্বী পঙ্কজ শ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | থানে, মহারাষ্ট্র, ভারত | ৯ নভেম্বর ১৯৯৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৯৩) | ৪ অক্টোবর ২০১৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৩১) | ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬/১৭ - বর্তমান | মুম্বই | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮ - বর্তমান | দিল্লি ক্যাপিটালস (জার্সি নং ১০০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ |
পৃথ্বী পঙ্কজ শ (হিন্দি: पृथ्वी साव; জন্ম: ৯ নভেম্বর, ১৯৯৯) মহারাষ্ট্রের থানে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের শেষদিক থেকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। রঞ্জী ট্রফিতে মুম্বই ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে খেলছেন। এছাড়াও, ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই দলের প্রতিনিধিত্ব করেন পৃথ্বী শ। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি।
বিহারের গয়ায় পৃথ্বী শয়ের পৈতৃক ভিটে রয়েছে। তার পিতা পঙ্কজ শ মুম্বইয়ে চলে যান। ২০১০ সালে এএপি এন্টারটেইনম্যান্টের কাছ থেকে চুক্তির প্রস্তাবের আওতায় তাকেসহ তার পিতাকে মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনি ক্রিকেট বিষয়ে শিক্ষালাভ করতে থাকেন।[২] এছাড়াও, ইন্ডিয়ান অয়েল থেকে ব্যবসায়িক সুবিধাপ্রাপ্ত হন।[৩][৪][৫]
ক্রিকেটে আর শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে দুইবার ইংল্যান্ড গমনের জন্যে মনোনীত হন।[৬][৭]
নভেম্বর, ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত যুব এশিয়া কাপে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অংশ নেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল শিরোপা জয় করেছিল। দুই মাস পর রঞ্জী ট্রফিতে তিনি প্রথম অংশ নেন। সেমি-ফাইনালে তামিলনাড়ুর বিপক্ষে মুম্বইয়ের সদস্য হিসেবে খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে শতরানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন।
মুম্বইভিত্তিক মিডল ইনকাম গ্রুপ (এমআইজি) ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। রিজভী স্প্রিংফিল্ড হাই স্কুল ও মুম্বই অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।[৮] নভেম্বর, ২০১৩ সালে যে-কোন সাংগঠনিক ক্রিকেটের খেলোয়াড় হিসেবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। হ্যারিস শীল্ড সেরা বিভাগের খেলায় ৫৪৬ রান সংগ্রহ করেন।[৯] ২০১২ ও ২০১৩ সালের হ্যারিস শীল্ডের শিরোপা বিজয়ী দলের অধিনায়কত্ব করেন। ভারতে যুবদের ক্রিকেটে এ প্রতিযোগিতাটি সর্বাপেক্ষা মর্যাদা সম্পন্ন ট্রফি হিসেবে বিবেচিত। তন্মধ্যে, ২০১২ সালে সেমি-ফাইনালে ১৫৫ ও চূড়ান্ত খেলায় ১৭৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।[১০] মুম্বইভিত্তিক এমআইজি ক্রিকেট ক্লাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ খেলেন তিনি। এখানেই শচীনতনয় অর্জুন তেন্ডুলকর তার দলীয় সঙ্গী ছিলেন।[২]
নভেম্বর, ২০১৩ সালে হ্যারিস শীল্ডের খেলায় রিজভী স্প্রিংফিল্ডের সদস্যরূপে ৩৩০ বলে ৫৪৬ রান তুলে নতুন রেকর্ড গড়েন।[১১] ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে প্রণব ধানবাদ তার এ রেকর্ড ভাঙ্গার পূর্ব-পর্যন্ত ভারতের বিদ্যালয় ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। অদ্যাবধি সাংগঠনিক যে-কোন ধরনের খেলায় এ সংগ্রহটি চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। এছাড়াও, ১৮৯৯ সালে এইজে কলিন্সের অপরাজিত ৬২৮ ও ১৯০১ সালে চার্লস ইডি’র ৫৬৬ রান তারচেয়ে বেশি রয়েছে।[১২][১৩] তার পূর্বে ১৯৩৩ সালে দাদাভয় হাভেওয়ালা যে-কোন ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ভারতের পক্ষে ৫১৫ রান করেছিলেন।[১৪]
তার ইনিংসটি ছয় ঘণ্টা সতেরো মিনিট স্থায়ী ছিল। ৮৫টি চার ও ৫টি ছক্কা সহযোগ এ রান সংগ্রহের পর কট এন্ড বোল্ড হন। রিজভী দল ৯৯১ রান তুলে তাদের প্রতিপক্ষ সেন্ট ফ্রান্সিস ডাসিসিকে ৯৩ রানে গুটিয়ে দেয়।[১৫] বিষয়টি গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য প্রচার পায় ও মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে শচীন তেন্ডুলকরের অবসর গ্রহণের চারদিন পর তিনি এ ইনিংসটি খেলেন। একই প্রতিযোগিতায় ১৯৮৮ সালে শচীন ৩২৬ রান তুলেছিলেন। হাওয়ার্ড সোয়াইন্স মন্তব্য করেন যে, লিটল মাস্টারের বিদায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে তার ইনিংসটি প্রায় অতিপ্রাকৃত কৃতিত্বের স্বাক্ষর বহন করছে।[১৫]
এপ্রিল, ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারভিত্তিক চিডল হিউম স্কুলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ পান। দুই মাস অবস্থান করে ১,৪৪৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। অভিষেক খেলায় শতরানের ইনিংস খেলেন।[১৬] ৮৪ গড়ে রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৬৮ উইকেট লাভ করেন।[৬] ম্যানচেস্টারে অবস্থানকালীন স্থানীয় হাই লেন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নেন।
২০১৩ সালে অক্সফোর্ডশায়ারে ক্রিপ্টিকসের সদস্যরূপে মিডলটন স্টোনি ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলেন। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১০ ওভারের কম বোলিং মোকাবেলা করে ৬৮ রান তুলেন। প্রফেসর পল ওয়ার্ডসওয়ার্থের বলে কটে বিদেয় নেন। এ পর্যায়ে তার উদ্বোধনী সঙ্গী মাত্র ৭ রান তুলেছিলেন। এছাড়াও বল হাতে নিয়ে ৫ ওভারে ৩/১ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান ও একটি রান-আউট করেন।[১৭] ইংল্যান্ডের জুলিয়ান উড ক্রিকেট একাডেমির একটি দলের বিপক্ষে ৭৩ রান করার পর ঐ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান উড মে, ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড গমনের প্রস্তাবনা দেন ও একাডেমিতে অবস্থান করেন।[৭]
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। মুম্বইয়ে সফরকারী ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওডিআইয়ে তিনি এ সাফল্য পান।[১৮] ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে বিজয় হাজারে ট্রফিতে মুম্বইয়ের পক্ষে লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[১৯] নভেম্বর, ২০১৭ সালে রঞ্জী ট্রফিতে উপর্যুপরী দ্বিতীয় শতক হাঁকান। অভিষেকের পর প্রথম পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর খেলার চারটিতেই শতরান করেছিলেন তিনি।[২০]
১৯ জুন, ২০১৮ তারিখে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে লিস্ট এ ক্রিকেটে প্রথম শতরান করেন। লিচেস্টারে ভারত এ দলের প্রস্তুতিমূলক খেলাটিতে তিনি ১৩২ রান তুলেছিলেন।[২১] অক্টোবর, ২০১৮ সালে দেওধর ট্রফিতে ভারত এ দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন।[২২]
জানুয়ারি, ২০১৮ সালে আইপিএলের নিলামে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস কর্তৃপক্ষ তাকে ₹১.২ কোটি রূপীর বিনিময়ে কিনে নেয়।[২৩][২৪] ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ তারিখে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সদস্যরূপে ১৮ বছর ১৬৫ দিন বয়সে কিংস ইলাভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলাকালীন এ কৃতিত্বের অধিকারী হন।[২৫] এছাড়াও, আইপিএলের অভিষেক খেলায় ১০ বলে ২২ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস খেলেছিলেন।[২৬]
২৭ এপ্রিল, ২০১৮ তারিখে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম আইপিএল অর্ধ-শতরান করেন। এরফলে, ১৮ বছর ১৬৯ দিন বয়সে সঞ্জু স্যামসনের সাথে যৌথভাবে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে এ কৃতিত্বের অধিকারী হন।[২৭] তার ৬২ রানের মারমূখী ইনিংসের কল্যাণে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ৫৫ রানের ব্যবধানে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে পরাজিত করে।[২৮]
আইপিএলের মাঝামাঝি সময়ে দলের প্রধান কোচ রিকি পন্টিংয়ের কাছে নতুন বলের বিপক্ষে তিনি নির্ভিক ব্যাটিংয়ের কারণে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেন। নয় ইনিংসে ১৫৩.২২ স্ট্রাইক রেটে ২৪৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
২০১৭ সাল থেকে পৃথ্বী শয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। ১ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে রঞ্জী ট্রফির সেমি-ফাইনালে মুম্বইয়ের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে পৃথ্বী শয়ের।[২৯] রাজকোটে তামিলনাড়ুর বিপক্ষে প্রথম সেমি-ফাইনালে দ্বিতীয় ইনিংসে শতরানের ইনিংস খেলেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[২৯] এছাড়াও, দিলীপ ট্রফিতে নিজস্ব প্রথম খেলায়ও শতরান করেন। এরফলে, রঞ্জী ট্রফি ও দিলীপ ট্রফির অভিষেক খেলায় অপর শতরানকারী শচীন তেন্ডুলকরের রেকর্ডের সমকক্ষ হন। ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে পরবর্তী বছরে অনুষ্ঠেয় আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ভারতের অধিনায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।[৩০] চূড়ান্ত খেলায় দলকে নেতৃত্ব দেন। ঐ খেলায় তার দল অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে ও তাদের চতুর্থ শিরোপা জয় নিশ্চিত করে।[৩১]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন পৃথ্বী শ। ৪ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে রাজকোটে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ভারতের বিকল্প উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়। আগস্ট, ২০১৮ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্ট খেলার জন্যে তাকে ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, তাকে খেলানো হয়নি।[৩২]
ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পৃথ্বী শ ৪ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে খেলতে নামেন। শচীন তেন্ডুলকরের পর দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে টেস্ট শতরান করেন ও টেস্ট অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে শতরান করেন।[৩৩] ভারতের ২৯৩তম টেস্ট ক্রিকেটার হন। অধৈর্য্য হয়ে পড়া অস্থির চিত্তের অধিকারী শিখর ধাওয়ানের স্থলাভিষিক্ত হন।
সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার জন্যে ভারতের টেস্ট দলে তাকে রাখা হয়।[৩৪] ৪ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[৩৫] রাজকোটে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে শতরান করেন। এরফলে, ১৮ বছর ৩১৯ দিন বয়স নিয়ে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট শতরান করার গৌরব অর্জন করেন।[৩৬][৩৭] দ্বিতীয় টেস্টে তার দল দশ উইকেটে জয় পায়। তিনি প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ পুরস্কারে ভূষিত হন।[৩৮]
জানুয়ারি, ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ড গমনার্থে তাকে ভারতের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে রাখা হয়।[৩৯] ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম দিবা-রাত্রির ওডিআইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার অভিষেক ঘটে।[৪০]
‘বিওন্ড অল বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন পৃথ্বী শ।[৪১] এসজি’র সাথে ৩৬ লক্ষ রূপীর বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন। এর পূর্বে সুনীল গাভাস্কার, রাহুল দ্রাবিড় ও বীরেন্দ্র শেওয়াগের ন্যায় তারকা খেলোয়াড় চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন।[৪২]
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃপক্ষ পুরুষদের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পাঁচজন উদীয়মান ক্রিকেটারের একজন হিসেবে তাকে নামাঙ্কিত করে।[৪৩]
অন্যদিকে, জুলাই, ২০১৯ সালে বিসিসিআই কর্তৃপক্ষ মাদকের অপব্যবহার করায় ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত ক্রিকেট খেলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[৪৪] ৩০ জুলাই তারিখে মাদকের অপব্যবহার করায় বিসিসিআই কর্তৃক পিছনের তারিখ থেকে আট মাসের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। সচরাচর কাশির সিরাপে নিষিদ্ধ উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে ইন্দোরে অনুষ্ঠিত সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি প্রতিযোগিতায় পৃথ্বী শয়ের মূত্রের নমুনা নেয়া হয়। পরীক্ষান্তে টার্বুটালিন পাওয়া যায়।[৪৫] এ নির্দিষ্ট উপাদানটি যে-কোন স্তরের প্রতিযোগিতায় তালিকাভূক্ত।[৪৫]