পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৬ |
পেশা | মানব ও সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষক |
পরিচিতির কারণ | বাঙালি বিপ্লবী বাঘা যতীনের নাতি |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গ্রন্থ |
পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৩৬) প্যারিসের ফরাসি জাতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রের মানব ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের (এথনোমিউজিকোলজি/সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গে সংগীত অধ্যয়ন) একজন গবেষক। পৃথ্বীন্দ্রনাথ কর্মজীবন থেকে ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন বই ও অন্যান্য প্রকাশনায় লিখেছেন।
পৃথ্বীন্দ্র ১৯৩৬ সালে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং পন্ডিচেরির শ্রী অরবিন্দ আশ্রম স্কুলে (বর্তমানে, শ্রী অরবিন্দ আন্তর্জাতিক শিক্ষা কেন্দ্র) পড়াশোনা করেন।[১] তিনি বাঙালি বিপ্লবী বাঘা যতীনের নাতি।
পৃথ্বীন্দ্র বাংলা, ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসাবে পন্ডিচেরিতে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি নতুন দিল্লির সাহিত্য অকাদেমির সারগ্রন্থ (ম্যানুয়াল) এবং সংকলনে মাত্র ২০ বছর বয়সে কবি হিসাবে উল্লিখিত হয়েছিলেন। ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের বিশেষজ্ঞ হিসাবে, তিনি আলবেয়ার কামু, সেন্ট-জন পার্স এবং রেনে চারের ন্যায় ফরাসি লেখকদের রচনাগুলি সরাসরি তাদের মূল লেখা থেকে অনুবাদ করেছিলেন।
তিনি ফরাসি সরকারি বৃত্তি নিয়ে প্যারিসে চলে আসেন (১৯৬৬-৭০)। তিনি সোরবনে শ্রী অরবিন্দকে নিয়ে লেখা একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছিলেন। পরে তিনি ভারতীয় সভ্যতা এবং দর্শনের প্রভাষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, রেডিও ফ্রান্স এর জন্য ভারতীয় সংস্কৃতি ও সংগীতের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছিলেন এবং তিনি ভারতীয় ও ফরাসি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক হিসাবে স্বাধীনভাবে কাজও করেছিলেন। ডক্টরেট (পিএইচডি)-এর জন্য তার পরবর্তী গবেষণামূলক প্রবন্ধটি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয ৪ এর রেমন্ড অ্যারন তত্ত্বাবধান করেছিলেন, সেটি ছিল প্রাক গান্ধী পর্বে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে। তিনি তার গবেষণায় ১৮৯৩ থেকে ১৯১৮ পর্যন্ত এই আন্দোলন এবং এর আধ্যাত্মিক শিকড় সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন।
১৯৭৭ সালে ভারতের জাতীয় সংরক্ষণাগার ঐতিহাসিক রেকর্ড কমিশনের অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি যতীন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় এবং ইন্দো-জার্মান ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত একটি প্রবন্ধ আর্থার এল. বাশাম এবং অধ্যাপক এস. নুরুল হাসানের মতো ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে পৃথ্বীন্দ্রের আসল অবদান অধ্যাপক অমলেশ ত্রিপাঠী, ভূপেন্দ্রকুমার দত্ত, ডাঃ যদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ডাঃ এম.এন. দাস (উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়), প্রফেসর এ সি বোস, সমরেন রায়, ভূপতি মজুমদার, বসুধা চক্রবর্তীর ন্যায় বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতীদের দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। এই বিষয়ে তার বেশ কয়েকটি কাগজপত্র ভারতের প্রধান প্রধান ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। তার প্যারিস পৌঁছানোর পর থেকে, বেশ কয়েক বছর ধরে, কলকাতার সাহিত্য পত্রিকা দেশ দ্বারা আমন্ত্রিত হয়ে তিনি প্যারিসের জীবনের অভিজ্ঞতাগুলি প্রকাশ করেছিলেন যা প্যারিসের চিঠি নামে প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি যতীন মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীন, এম.এন. রায়, তারকনাথ দাস, ধন গোপাল মুখোপাধ্যায়, ফরাসি বিপ্লবী এবং বাঙালি বুদ্ধিজীবী এবং কীর্তন (একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মও প্রযোজনা করেছেন) এর কবিতা-সহ-নৃত্যের ধারা নিয়ে লিখেছেন।