পোকেমন গো

পোকেমন গো
নির্মাতানিয়াটিক
প্রকাশকপোকেমন কোম্পানি
পরিচালকTatsuo Nomura উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
রচয়িতাজুনিসি মাসুডা
ইঞ্জিনইউনিটি গেম ইঞ্জিন
ভিত্তিমঞ্চআইওএস, অ্যান্ড্রয়েড
মুক্তি
ধরনবাস্তবতায় বৃদ্ধি
কার্যপদ্ধতিএকক খেলোয়াড়,একাধিক খেলোয়াড়

পোকেমন গো (ইংরেজি: Pokémon GO) হল নিয়াটিক ইনকর্পোরেটেড নির্মিত এবং পোকেমন ফ্র্যানচাইজির অংশ, পোকেমন কোম্পানির প্রকাশিত একটি বাস্তবিক অবস্থান ভিত্তিক গেম, যা অ্যান্ড্রয়েড বা আই.ও.এস. ডিভাইসে খেলা যায়। এই গেমটি বিনামূল্যে খেলা যায় এবং এর জন্য জি.পি.এস. ও ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন হয়। ৬ জুলাই ২০১৬ সালে এই গেমটি মুক্তি পায়।

গেমপ্লে

[সম্পাদনা]
শাতিন পার্কে মানুষ পোকেমন গো খেলে

পোকেমন কব্জা করা

[সম্পাদনা]

পোকেমন গো গেমটির প্রধান গেমপ্লে হল বাস্তবিক দুনিয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে গেমের পরাবাস্তবিক দুনিয়া, যা বাস্তবিক পৃথিবীর আদতে সৃষ্ট স্থানে গিয়ে খেলতে হয়। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পোকেমনের স্পন বা আবির্ভাব হয়। এখনো পর্যন্ত গেমটিতে, মূল অ্যানিমে ও মূল ধারার গেমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কান্টো, ঝোটো, হোয়েন, সিনো ও এলোলান পোকেমন গুলো রিলিজ করা হয়েছে। গেমে পোকেমন চার ভাবে ধরা বা কব্জা করা যায়। ১) ওয়াইল্ড বা অগমেন্টেড দুনিয়ায় যখন আবির্ভাব ঘটে, ২) রেইড থেকে, ৩) রিসার্চ টাস্ক থেকে এবং ৪) এগ হ্যাচ বা ডিম থেকে।

বেশিরভাগ পোকেমনই ওয়াইল্ডে স্পন হয়। তবে লিজেন্ডারি (লেক ট্রিয়ো ছাড়া), মিথিকাল এবং কিছু পোকেমন ছাড়া (অ্যালোলান ম্যারোওয়াক, অ্যালোলান রাইচু, অ্যাবসল, সিংক্স, মাওয়াইল) বাকী সব পোকেমনই ওয়াইল্ডে পাওয়া যার। স্পন হওয়ার সাথে সাথে পোকেমনের উপর ক্লিক করলেই ক্যাচ স্ক্রিন আসে। সেখানে বল ছুঁড়ে মারতে হয়। সফল্ভাবে সম্পন্ন করতে পারলেই পোকেমনটি ধরা যায়।

গেমটি রিলিজ দেওয়ার এক বছর পর, নায়ান্টিক রেইড ব্যবস্থা চালু করে। রেইডে অংশ নিতে প্রথমত গেমারকে সেই রেইড জিমের কাছে আসতে হয়। এরপর রেইড পাস ব্যবহার করে লবিতে অংশ নেওয়া যার। প্রত্যেক লবিতে সর্বোচ্চ ২০ জন প্লেয়ার অংশ নিতে পারেন। রেইড মূলত টিয়ার ১ থেকে ৫ পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১ সবচেয়ে সহজ এবং ৫ সবচেয়ে কঠিন, এবং টিয়ার ৫ সাধারণত লিজেন্ডারি পোকেমন হয়ে থাকে। রেইড সফলভাবে সম্পন্ন করেতে পারলে গেমের বিভিন্ন আইটেম, অভিজ্ঞতার সাথে সাথে পোকেমনটি কব্জা করের সুযোগ পাওয়া যায়।

খেলোয়াড় বনাম খেলোয়াড়

[সম্পাদনা]

২০১৮ সালে নায়ান্টিক পিভিপি বা খেলোয়াড় বনাম খেলোয়াড়ের প্রথা চালু করে। এখানে খেলোয়াড়গণ ৩ টি বিভাগে একজন অন্যজনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। বিভাগ গুলো ১) গ্রেট লীগ ( সিপি ১৫০০ অনধিক), ২) আল্ট্রা লীগ (সিপি ২৫০০ অনধিক), ৩) মাস্টার লীগ (সিপির ক্যাপ নেই)। প্রত্যেক খেলোয়াড় ৩ টি করে পোকেমন নিয়ে অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। যে প্রতিপক্ষের সব পোকেমন ফেইন্ট বা অজ্ঞান করে দিতে পারবে, সেই বিজয়ী হয়।

এক্স রেইড

[সম্পাদনা]

সুনির্দিষ্ট কিছু জিমে রেইড সম্পন্ন করেলে এক্স রেইডের আমন্ত্রন পাওয়া যার। এর বৈশিষ্ট হল বিশেষ পোকেমন রেইডে পরাস্ত করে তা কব্জা করা। এখনো পর্যন্ত এক্স রেইডে মিউটু, ডিঅক্সিস (নরমাল), ডিঅক্সিস (অ্যাটাক), ডিঅক্সিস (ডিফেন্স) এর আবির্ভাব হয়েছে।

কমিউনিটি দিবস

[সম্পাদনা]

২০১৮ জানুযারি থেকে এই গেমে মাসে কোন এক পূর্বনির্ধারিত দিনে এই কমিউনিটি ডে বা দিবসের আয়োজন করে আসছে। এর মূল আকর্ষণ হল এই দিনে সেই পোকেমনটির শাইনি পাওয়ার হার বেড়ে যার এবং বিশেষ ক্ষমতা ধারণ করতে পারে। এর মূল উদ্দেশ্য হল, গেমিং কমিউনিটির মাঝে মিলন ও সাক্ষাৎ ঘটানো।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

নোটসমূহ

[সম্পাদনা]
  1. Pokémon Go was released at different dates in Europe. It was first released in Germany on July 13, 2016 and then in the United Kingdom on July 14.

উদ্ধৃতিসমূহ

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]