পৌর নিগম (ভারত)

কলকাতা পৌরসংস্থা, পশ্চিমবঙ্গ

পৌর নিগম বা পৌরসংস্থা বলতে ভারতের দশ লাখের বেশি জনসংখ্যার অধিক শহরের স্থানীয় সরকারকে বোঝায়। ভারতের বিভিন্ন শহরে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও নগরায়নের জন্য একধরনের স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থার প্রয়োজন পড়েছিল যা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সম্পত্তির খাজনা ও প্রশাসনের অধিকার গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, আবাসন ও পরিবহন পরিষেবা প্রদান করবে।

ভারতের সংবিধানের ৭৪তম সংশোধন আইন বিভিন্ন পৌরসংঘ ও তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করে।[]

নামকরণ

[সম্পাদনা]

ভাষাগত বৈচিত্র্যের জন্য পৌর নিগম বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন: আসাম, ওড়িশাপশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে "পৌর নিগম", দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়হরিয়ানা রাজ্যে "নগর নিগম", মহারাষ্ট্র, গোয়াকর্ণাটক রাজ্যে "মহানগর পালিকা", মধ্যপ্রদেশছত্তিশগড় রাজ্যে "নগর পালিকা নিগম" ইত্যাদি।

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

পৌর নিগমের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা "পৌর এলাকা" নামে পরিচিত। প্রত্যেক পৌর এলাকা ওয়ার্ডে বিভক্ত। তিন লাখ বা তার অধিক জনসংখ্যার পৌর নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ড এক বা একাধিক ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে। ওয়ার্ড কমিটিতে সদস্যদের পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়, এবং তাঁরা কাউন্সিলর বা কর্পোরেটর নামে পরিচিত। কোনো পৌর এলাকায় ওয়ার্ডের সংখ্যা শহরটির জনসংখ্যা দ্বারা নির্ধারিত। কিছু আসন তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।[]

অতিশয়ার্থক তথ্য

[সম্পাদনা]

মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বই শহরের বৃহত্তর মুম্বই পৌর নিগম (বিএমসি বা এমসিজিএম) ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পৌর নিগম।[][] তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই শহরের বৃহত্তর চেন্নাই নিগম (জিসিসি) ভারতের প্রাচীনতম নগর নিগম এবং যুক্তরাজ্যের সিটি অব লন্ডন কর্পোরেশনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম নগর নিগম।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "74th Amendment Act" (পিডিএফ) 
  2. "BMC to open green channel for octroi"। Financialexpress.com। ২০০৭-০৯-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৫ 
  3. "Gold & beautiful, News - Cover Story"। Mumbai Mirror। ২০১২-০৯-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২১ 
  4. Achutan, Kannal (২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Chennai Corporation to celebrate 320 years"দ্য হিন্দু। Chennai। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-০১