ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | প্যাট্রিক লিওনার্ড সিমকক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিমবার্লি, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৪ এপ্রিল ১৯৬০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ-ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৫) | ২৫ আগস্ট ১৯৯৩ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৭) | ২২ আগস্ট ১৯৯৩ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৭/৮৩ - ১৯৯৮/২০০০ | গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩ – ১৯৮৮ | নর্দার্ন ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯ – ১৯৯০ | ইম্পালাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০ – ১৯৯৮ | নাটাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো .কম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ |
প্যাট্রিক লিওনার্ড সিমকক্স (ইংরেজি: Pat Symcox; জন্ম: ১৪ এপ্রিল, ১৯৬০) কিম্বার্লিতে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ স্পিনার ছিলেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন তিনি।
১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২০ টেস্ট ও ৮০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি। ডারবানভিত্তিক ঘরোয়া প্রাদেশিক ক্রিকেটে নাটাল ডলফিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্যাট সিমকক্স।
৯০-এর দশকে কেপলার ওয়েসেলস ও হানসি ক্রনিয়ের নেতৃত্বাধীন প্রোটিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম লড়াকু খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিতেন। ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঐ বিশ্বকাপে তার দল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পেরেছিল।
১৯৯৭ সালের শেষদিকে এসসিজিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে সিমকক্সের উপর খেঁপে গিয়ে একপর্যায়ে খেলাটি বন্ধ হয়ে যায়। নিচেরসারিতে ব্যাটিং করলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব রয়েছে তার। নবম উইকেট জুটিতে ১৯৫ রান তুলে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন।
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের কার্লটন এন্ড ইউনাইটেড সিরিজের প্রথম খেলায় অংশ নেন। ৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩২ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও বলহাতে নিয়ে ৪/২৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। অল-রাউন্ডার হিসেবে ৬৭ রানের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।[১] ফলশ্রুতিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে মনোজ্ঞ টেস্ট শতক হাঁকান। জোহেন্সবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ১০৮ রানের ঐ ইনিংসের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ সালের এমিরেটস ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় নেন। বার্মিংহামের এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত তৃতীয় খেলায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী উপহার দেন। ১৮ আগস্ট, ১৯৯৮ তারিখে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তার দল ১৪ রানের কষ্টার্জিত জয় তুলে নেয়।[২] ৩৯ বলে ৫১ রানসহ ২/৩৬ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ফলশ্রুতিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারে ভূষিত হন।
১৯৯৮ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর সুপারস্পোর্ট ও ইএসপিএন স্টার স্পোর্টসের পক্ষে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট খেলার ধারাভাষ্যকর্মে মনোনিবেশ ঘটান। এছাড়াও নৈশভোজনের পর বক্তা হিসেবেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
তার সন্তান রাসেল প্রাদেশিক ক্রিকেটে নাটাল ডলফিন্সের পক্ষে খেলছেন। সিমকক্সের পিতা রজারও প্রাদেশিক ক্রিকেটে গ্রীকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সিমকক্স পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকার দশটি পরিবারের অন্যতম হিসেবে তিন প্রজন্ম ধরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছে।