ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইলিয়াস হেনরি হেনড্রেন[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | টার্নহাম গ্রীন, মিডলসেক্স | ৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৪ অক্টোবর ১৯৬২ টুটিং বেক, লন্ডন | (বয়স ৭৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ডেনিস হেনড্রেন (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮১) | ১৭ অক্টোবর ১৯২০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ মার্চ ১৯৩৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ মার্চ ২০১৬ |
ইলিয়াস হেনরি হেনড্রেন (ইংরেজি: Patsy Hendren; জন্ম: ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৯ - মৃত্যু: ৪ অক্টোবর, ১৯৬২) মিডলসেক্সের টার্নহাম গ্রীন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২০ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়েও পারদর্শীতা দেখিয়েছেন প্যাটসি হেনড্রেন।
ষোল বছর বয়সে লর্ডসে গ্রাউন্ডস্টাফ হিসেবে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু প্রথম দিন খেলা শেষে দর্শকদের কারণে পীচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে তিনি ব্যাট করতে পারেননি। পরের বছর নয় খেলায় অংশ নিয়েছিলেন ও দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ১৯১১ সালের পূর্বে একটি শতক হাঁকান।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বাঁধাগ্রস্ত হয়। যুদ্ধ শেষ হবার পর তিনি আর কখনো এক মৌসুমে ৪০ গড় সংগ্রহ করতে পারেননি।[২] ১৯১৯ সালে ৬০-এর অধিক গড়ে ১,৬৫৫ রান তোলেন। ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেটারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ফুটবলার হিসেবেও অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ব্রেন্টফোর্ড, কিউপিআর, ম্যানচেস্টার সিটি ও কভেন্ট্রি সিটির পক্ষে উইং ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেছেন।
দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়কালে হেনড্রেন সর্বাপেক্ষা সেরা ইংরেজ ব্যাটসম্যানের মর্যাদা উপভোগ করেন। এ সময়ে তিনি ৫১ টেস্টে অংশ নিয়ে ৪৭.৬৩ গড় রান তোলেন। স্যার জ্যাক হবস ও ফ্রাঙ্ক ওলি’র পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৭,৬১১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, দলীয় সঙ্গী জ্যাক হবসের পর ১৭০ সেঞ্চুরি করে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এরফলে তাকে 'সেরা ক্রিকেটার ও সেরা সঙ্গীরূপে' আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
১৯২০-২১ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সিডনি টেস্টের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ রান করলেও অস্ট্রেলিয়া দল ৩৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায়। ঐ সিরিজে তিনি আরও দু'টি অর্ধ-শতক করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯২১ সালে ফিরতি অ্যাশেজে একই দলের বিপক্ষে খেলেন। কিন্তু চার ইনিংসে মাত্র ১৭ রান তুলে ব্যর্থতার ষোলকলা পূরণ করেন।
১৯২৩ সালে হেনড্রেন তার সেরা সময় অতিবাহিত করেন। ঐ মৌসুমে ১৩ সেঞ্চুরি সহযোগে ৩,০১০ রান তোলেন। এরফলে পরের বছর ইংল্যান্ড দলে পুনরায় খেলার জন্য ডাক পান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩২.৬৬ গড় রান তোলেন। এরপর ১৯২২ থেকে ১৯২৮ মেয়াদে প্রত্যেক বছরই তিনি ৫৬-এর অধিক গড়ে রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, ১৯২২ ও ১৯২৮ সালে তিনি পুনরায় ১৩ সেঞ্চুরি হাঁকান। শেষ বছরটিতে তিনি তার মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩,৩১১ রান করেন।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর উইলফ্রেড রোডসের পরিবর্তে হ্যারো স্কুলে কোচিংয়ের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ মেয়াদে মিডলসেক্সের স্কোরারের দায়িত্বে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ও ৭৩ বছর বয়সে লন্ডনের হুইটিংটন হসপিটাল টুটিং ব্যাকে তার দেহাবসান ঘটে।
প্যাটসি’র ভাই ডেনিস হেনড্রেন মিডলসেক্সের পক্ষে নয়টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[৩] দ্বিতীয় ভাই জন ডেলভিল উডের যুদ্ধে রয়্যাল ফাসিলিয়ার্সে দায়িত্ব পালনকালে নিহত হন।[২]
১৯২০ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[৪] ২০১৫ সালে তাকে মরণোত্তর ব্রেন্টফোর্ড হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫]