প্যাট্রিসিয়া ও ডালে | |
---|---|
জন্ম | জ্যামাইকা |
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি | |
মাতৃ-শিক্ষায়তন | লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
অভিসন্দর্ভ | আফ্রিকায় উদ্বাস্তু এবং অনুন্নয়ন: তানজানিয়ায় বুরুন্ডি শরণার্থীদের ক্ষেত্রে (১৯৮৯) |
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম | |
বিষয় | মানবীয় ভূগোলবিদ |
উপ-বিষয় |
|
প্রতিষ্ঠান |
|
প্যাট্রিসিয়া ডেলি বা প্যাট্রিসিয়া ও ডালে একজন জ্যামাইকান ব্রিটিশ মানব ভূগোলবিদ এবং শিক্ষাবিদ, তিনি একাধারে জোরপূর্বক অভিবাসন, রাজনৈতিক বাস্তুশাস্ত্র এবং আফ্রিকা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকার মানব ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক এবং অক্সফোর্ডের যিশু কলেজের ফেলো।[১][২] তার কর্মক্ষেত্র মূলত লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করলেও তিনি কলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তার অধ্যাপনা ও গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল আফ্রিকার অভিবাসন সমস্যা ও অনুন্নত ব্যবস্থা। তার ডক্টরেটের মূল গবেষণাপত্রটিও এই বিষয়ের উপর আধারিত ছিল।
প্যাট্রিসিয়া ডেইলির জন্ম হয়েছিল জ্যামাইকার গ্রামীণ প্রদেশে এবং সেখানেই তার শৈশবকাল ব্যয়িত হয়।[৩] ১২ বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডে গমন করেন।[৪] প্রাথমিক ভাবে তিনি লন্ডনের হ্যাকনিতে এক স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন।[৩] কিশোর বয়সে তিনি পেম্বুরি এস্টেট-এ বসবাস করেছিলেন।[৪] তার পরিবারের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন করেন। তিনি লন্ডনের মিডলসেক্স পলিটেকনিক কলেজ-এ ভর্তি হন এবং সেখানে ব্যাচেলর অফ সাইন্স (বিএসসি) বা বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩][৫] তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত গোল্ডস্মিথ কলেজ এবং স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিস -এই দুই প্রতিষ্ঠানেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেন।[৩] তিনি কলা বিভাগে মাস্টার অফ আর্টস স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন এবং সাথে সাথে শিক্ষাবিদ হিসাবে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অব এডুকেশন (পিজিসিই) অর্জন করেন।[৫] এরপর তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন করেন দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি(ডিফিল) লাভ করার জন্য।[৩] ১৯৮৯ সালে তিনি আফ্রিকার শরণার্থী এবং অনুন্নত ব্যবস্থা: তানজানিয়ায় বরুন্দি শরণার্থীদের ক্ষেত্রে -এই বিষয়ে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন এবং তার ডক্টরেটে ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন।.[৬]
প্রথমে তিনি ডার্টমাউথ কলেজ এবং লফবারো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করতেন।[১] ১৯৯৬ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেখানে তিনি মানব ভূগোল বিষয়ের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি মূলত অক্সফোর্ডের পেমব্রোক কলেজ-এ নিযুক্ত হন।[৩][৭] তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেছিলেন।[৩] পরবর্তীকালে তিনি অক্সফোর্ডের জেসুস কলেজ -এ ফেলো হিসাবে যোগদান করেন।[২]
তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জেসুস কলেজ -এ মহিলা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের কাজ করতেন এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল অবধি তিনি এডমিশন বা নিয়োগ বিভাগে ছিলেন।[২] তিনি ২০১৫/২০১৬ শিক্ষাবর্ষের সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়নকারী ছিলেন।[১][৫] তিনি ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আফ্রিকার মানব ভূগোল বিষয়ে তার অধ্যাপনা ও গবেষণামূলক কাজের জন্য অধ্যাপক হিসাবে বিশেষ উপাধি পেয়েছিলেন।[৮]
২০১৭ সালে, ডেলি সেই ২৪ জন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির তালিকায় যুক্ত হন যাদের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিকৃতি চিত্রিত করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত করতে বেছে নিয়েছিলেন। মধ্যযুগ থেকে শুরু করে আধুনিক কাল অবধি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, নির্মাণ ও প্রসিদ্ধির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদানকারী ব্যক্তিদের সম্মান দিতে এবং তাদের চিত্রশালায় আরও বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে এটি করা হয়েছিল।[৯][১০]
Daley, Patricia O. (২০০৮)। Gender and genocide in Burundi: the search for spaces of peace in the Great Lakes Region। Oxford: James Currey। আইএসবিএন 978-1847013071।