গঠিত | ১৪ মে ১৯৯২[১] |
---|---|
ধরন | অলাভজনক সংস্থা |
১৩-৩৬৬৯৭৩১[২] | |
আইনি অবস্থা | ৫০১(গ)(৩)[২] |
উদ্দেশ্য | একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে প্রজনন স্বাধীনতার অগ্রগতি।[৩] |
সদরদপ্তর | নিউ ইয়র্ক শহর |
যে অঞ্চলে | বৈশ্বিক |
ন্যান্সি নর্থআপ[৪] | |
অ্যামি মেটজলার রিটার[৪] | |
আয় (২০১৮) | $৩৪,০৭১,৫০৭[৩] |
ব্যয় (২০১৮) | $২৮,৮৭৩,৮১৩[৩] |
স্টাফ (২০১৭) | ১৭৯[৩] |
স্বেচ্ছাকর্মী (২০১৭) | ১৯[৩] |
ওয়েবসাইট | reproductiverights |
প্রাক্তন নাম | প্রজনন আইন ও নীতি কেন্দ্র[৫] |
প্রজনন অধিকার কেন্দ্র (সেন্টার ফর রিপ্রোডাক্টিভ রাইটস বা সিআরআর ) হল একটি বিশ্বব্যাপী আইনি প্রচারণা সংস্থা, যার সদর দপ্তর নিউ ইয়র্ক শহরে অবস্থিত।[৬] সংস্থাটি গর্ভপাতের মতো প্রজনন অধিকারকে এগিয়ে নিতে চায়। সংস্থার বিবৃত উদ্দেশ্য হল "প্রজনন স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আইনটিকে ব্যবহার করা, যা সমস্ত সরকার আইনিভাবে রক্ষা, সম্মান এবং পূরণ করতে বাধ্য।"[৭] ১৯৯২ সালে জ্যানেট বেনশফ এর প্রতিষ্ঠা করেন, এর পূর্ব নাম ছিল প্রজনন আইন ও নীতি কেন্দ্র।[৫]
চ্যারিটি ওয়াচ প্রজনন অধিকার কেন্দ্র কে "খ+" মর্যাদা দেয়।[৮]
২০১১ সালের জুলাই মাসে, সিআরআর নর্থ ডাকোটা রাজ্যের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতিবাদে মামলা দায়ের করে, আইনটি চালু হলে সমস্ত বৈধ গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে।[৯] ২০১৩ সালের জুলাই মাসে, রেড রিভার উইমেনস ক্লিনিকের সাথে সিআরআর, তথাকথিত "ভ্রূণের হৃদস্পন্দন", জিন সম্বন্ধীয় এবং গর্ভপাতের ক্ষেত্রে লিঙ্গ নির্বাচন বিধিনিষেধ প্রণয়নের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।[১০] ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে, একজন যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচারক কোন পূর্বধারণা ছাড়াই মামলার জিন সম্বন্ধীয় এবং লিঙ্গ নির্বাচনের অংশগুলি খারিজ করে দেন।[১১]
২০১১ সালে সিআরআর যোগ দেয় আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) ও পরিকল্পিত পিতৃ-মাতৃত্ব সংস্থার সাথে এবং জোটটি পাস হয়ে যাওয়া একটি আইন নিয়ে আপত্তি জানায়। আইন ছিল গর্ভপাতের চার ঘন্টা আগে মহিলাদের আল্ট্রাসাউণ্ড পরীক্ষা করাতে হবে। উপরন্তু, ডাক্তারকে আল্ট্রাসাউণ্ড ছবি মহিলার দেখার পরিধির মধ্যে রাখতে হবে এবং সেটি বর্ণনা করতে হবে। বাদীরা এটিকে একটি "আদর্শগত বার্তা" এবং প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। এবং যেহেতু প্রকৃতপক্ষে ডাক্তার যা বর্ণনা করেন রোগীর আসলে তা শোনার প্রয়োজন হয় না এবং এমনকি তিনি চোখের ঠুলি (ব্লাইণ্ডার) ও হেডফোন পরে নিতে পারেন, তাই বাদীরা একে "প্রহসন" বলে অভিহিত করেছেন।[১২]
জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সীমিত শ্রেণীর অধিকারের বিষয়ে ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করার পর, ২০১৩ সালের জুন মাসে মার্কিন বিচার বিভাগ আদেশ দেয় যে ওবামা প্রশাসন যেন দোকান থেকে সরাসরি জরুরী গর্ভনিরোধক উপলব্ধ করে এবং বয়সের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই সকলকে দেওয়া হয়।[১৩]
সম্প্রতি, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং গর্ভপাতের যত্নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় স্তরের বর্ধিত বিধিনিষেধকে চ্যালেঞ্জ করেছে সিআরআর সহ তিনটি প্রাথমিক গোষ্ঠী।[১৪] মে মাসে, সিআরআর এবং এসিএলইউ যৌথভাবে আরকানসাসে ১২-সপ্তাহের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।[১৫] জুন মাসে সিআরআর একটি মামলা দায়ের করে কানসাস রাজ্যের বিরুদ্ধে, এইচবি ২২৫৩ (হাউস বিল ২২৫৩) বন্ধ করার জন্য, কারণ এর দ্বারা আরোপিত গর্ভপাতের বিধিনিষেধগুলি অসাংবিধানিক।[১৬] আগস্টে সিআরআর সহ গ্রুপগুলির একটি জোট, ওকলাহোমায় একটি আইন প্রয়োগে বাধা দিয়ে মামলা দায়ের করে, কারণ এই আইনটি জরুরি গর্ভনিরোধক সাহায্যকে সীমাবদ্ধ করছে। তারা বলে যে আইনটি অসাংবিধানিক।[১৭] আগস্টে একজন যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচারক আইনটি কার্যকর হতে বাধা দেন।[১৮]
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সম্মত হয় টেক্সাসে গর্ভপাত বিরোধীদের দ্বারা আইনে প্রণীত কঠোর বিধিনিষেধ পর্যালোচনা করতে। আইন কার্যকর হলে, ২৭ মিলিয়ন জনসংখ্যার একটি রাজ্য টেক্সাস ছেড়ে চলে যাবে অনেকগুলি ক্লিনিক। শুধুমাত্র দশটি ক্লিনিক পরিষেবা দেবে, যা আইন প্রণয়নের আগের পরিষেবার সংখ্যা থেকে ৩৪ কম। সিআরআর দ্বারা পরিচালিত আবেদনটি হল যুক্তরাষ্ট্রীয় সুপ্রিম কোর্টের ডকেট নম্বর ১৬-২৭৪, হোল ওম্যান'স হেলথ বনাম কোল। ২০০৭ সালের পর থেকে এটি প্রথম মামলা যেটি উচ্চ আদালত গর্ভপাতের নিষেধাজ্ঞা যাচাইকরণে গ্রহণ করেছে।[১৯]
২০১৬ সালে সিআরআর তার আন্তর্জাতিক কর্মসূচিকে প্রসারিত করেছে। নতুন কর্মসূচির মধ্যে আছে একটি আন্তর্জাতিক মামলার জন্য প্রচারণা শুরু করা, যেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রথম গর্ভপাতের মামলা এবং প্রতিরোধ করা যেত এমন মাতৃমৃত্যুকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসাবে প্রমান করার প্রথম মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[২০]