প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী (জন্ম ১৮৮৪ – মৃত্যু ১৯৫০) একজন ভারতীয় রন্ধন প্রণালী বিষয়ক গ্রন্থ লেখিকা ও পত্রিকা সম্পাদক ছিলেন। ১৯০২ সালে প্রকাশিত তার আমিষ ও নিরামিষ আহার বাংলা সাহিত্যের একটি তাৎপর্যপূর্ণ রন্ধন প্রণালী বিষয়ক গ্রন্থ।[১][২] ১৮৯৭ সালের প্রারম্ভ থেকে প্রজ্ঞাসুন্দরী পুণ্য নামের একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন।[৩]
প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী বিজ্ঞানী হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর তথা পূর্ণিমা দেবীর কন্যা। তার পিতামহ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন দার্শনিক এবং প্রপিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন একজন উদ্যোগপতি। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক তথা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন তার কাকা।[৪]
১৮৯১ সালে প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী রসরাজ লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। তারা চারটি সন্তানের পিতা-মাতা ছিলেন যদিও একজন খুব কম বয়সে মারা যায়। উল্লেখযোগ্য যে, লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবীকে তার রন্ধন প্রণালীগুলি বই আকারে প্রকাশ করতে উৎসাহিত করেন।[৫] ১৯৫০ সালে প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী ইহলীলা সংবরণ করেন।