প্রতিমা সিং হলেন ভারতের মহিলা জাতীয় বাস্কেটবল দলের একজন সদস্য,[১] তিনি উত্তর প্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা। প্রতিমা সিং উত্তর প্রদেশের বারাণসীর শিবপুর এলাকায় ১৯৯০ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।[২] তাঁর ভাইবোনরাও বারাণসীতে জন্মগ্রহণ করে, হয় ভারতের হয়ে খেলেছেন বা খেলছেন। তাঁর বোন দিব্যা এবং প্রিয়াঙ্কা ভারতীয় জাতীয় মহিলা বাস্কেটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং প্রশান্তি সিং একজন অর্জুন পুরস্কার ও পদ্মশ্রী বিজয়ী, এবং আকাঙ্ক্ষা একজন সদস্য।[৩][৪]
প্রতিমা ২০০৩ সালে উত্তর প্রদেশে বাস্কেটবল খেলা শুরু করেন এবং পরে উদয় প্রতাপ কলেজে বাস্কেটবল শেখেন। বাস্কেটবল খেলায় ক্রমবর্ধমান দক্ষতা দেখিয়ে তিনি ২০০৬ সালে জুনিয়র ইন্ডিয়ান দলে নির্বাচিত হন এবং ২০০৮ সালে জুনিয়র ইন্ডিয়ান গার্লস দলের অধিনায়ক হন। তাঁর নেতৃত্বে, দিল্লি অনেক পদক জিতেছে যেমন ভিলওয়ারা এবং রাজস্থানে জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ।
তিনি ২০১০ সালে কেরালার, কোট্টায়ামে অল ইন্ডিয়া ইন্টার-ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। নেলোরে অল ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় যখন স্বর্ণপদক জিতেছিল তখন তিনি উপ ক্যাপ্টেন ছিলেন, সেখানে তিনি তাঁর বোন আকাঙ্ক্ষা সিংয়ের সাথে যৌথভাবে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান।[৫][৬]
তিনি জেসাস এবং মেরি কলেজের ছাত্রী (২০০৮-০৯), তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক 'সেরা খেলোয়াড়' খেতাব জিতেছেন। কলেজে তাঁর সহপাঠীরা তাঁকে চরম আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী হিসাবে জানত। তিনি প্রথম ৩×৩ ফিবা এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের জন্য একটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তিনি একজন লড়াকু খেলোয়াড় হিসাবেও পরিচিত ছিলেন কারণ তিনি তাঁর হাঁটুর আঘাত সারানোর জন্য কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হয়ে এক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পরে খেলেছিলেন এবং ২০১২ সালে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন।
তিনি ভারতীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের একটি পরিবার থেকে এসেছেন, তাঁর তিন বোন বর্তমানে ভারতীয় মহিলা জাতীয় বাস্কেটবল দলের সদস্য। তাঁরা সিং সিস্টার নামেও পরিচিত।
২০১৬ সালের ১০ই তিনি ভারতীয় ক্রিকেটার ইশান্ত শর্মাকে বিয়ে করেন।[৭]