প্রতিসজ্ঞা ধারণা (counterintuitive concept) দ্বারা এমন ধারণাকে বোঝানো হয় যেগুলোকে আমাদের সজ্ঞা (intuition), সাধারণ অনুভূতি (common sense) দ্বারা সত্য বলে মনে হয় না।[১]
বৈজ্ঞানিক আবিষ্কৃত, বস্তুবাচক সত্যকে প্রায়ই প্রতিসজ্ঞা বলা হয়, যখন অবরোহী যৌক্তিকতা ছাড়াই সজ্ঞা, আবেগ এবং অন্যান্য চেতনাগত প্রক্রিয়া (cognitive processes) দ্বারা একে ভুল বলা হয়। যাই হোক, সজ্ঞার ব্যক্তিবাচক প্রকৃতি কাকে প্রতিসজ্ঞা বলা হবে সেই বিষয়ক বস্তিবাচকতাকে সীমাবদ্ধ করে দেয়, কারণ একজনের কাছে যা প্রতিসজ্ঞা হবে তা আরেকজনের কাছে সজ্ঞাও হতে পারে। যেমন যেকোন মানুষের কাছে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা বা সাধারণ আপেক্ষিকতা প্রতিসজ্ঞা বলে মনে হতে পারে, কিন্তু যদি ব্যক্তি একজন পদার্থবিজ্ঞানী হয়ে থাকেন তাহলে এটি তার কাছে সজ্ঞা হতে পারে।
কোন সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে উপর ভুল সজ্ঞা অবাঞ্ছিত ফল দিতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে প্রতিসজ্ঞা নীতি অধিক কাম্য ফলাফল দান করে।[২] এর ফলে ডিঅন্টোলজিকাল ইথিক্স ধারণ কারী এবং কনসেকোয়েশিয়ালিস্টদের নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সেই সব বিষয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।