প্রথম আর্দাশির 𐭠𐭥𐭲𐭧𐭱𐭲𐭥 | |
---|---|
ইরানের রাজাদের রাজা | |
![]() আর্দাশিরের স্বর্ণ দিনার , ২৩০ খ্রিস্টাব্দ | |
পারসিসের রাজা | |
রাজত্ব | ২১১/২–২২৪ |
পূর্বসূরি | শাপুর |
উত্তরসূরি | Office abolished |
সাসানি সাম্রাজ্যের শাহানশাহ | |
রাজত্ব | ২২৪–২৪২ |
রাজ্যাভিষেক | ২২৬ তিসফুন |
পূর্বসূরি | চতুর্থ আর্টাবানাস (পার্থিয়ান সাম্রাজ্য) |
উত্তরসূরি | প্রথম শাপুর |
Co-ruler | প্রথম শাপুর (২৪০–২৪২) |
জন্ম | অজানা তিরুদা, খির, পার্স |
মৃত্যু | ফেব্রুয়ারি ২৪২ |
দাম্পত্য সঙ্গী | দেনে মুরড |
বংশধর | প্রথম শাপুর |
প্রাসাদ | House of Sasan |
পিতা | পবাগ বা সাসান |
মাতা | রোদগ |
ধর্ম | জরাথুস্ট্রবাদ |
প্রথম আর্দাশির (মধ্য ফার্সি: 𐭠𐭥𐭲𐭧𐭱𐭲𐭥, আধুনিক ফার্সি: اردشیر بابکان, Ardašir Bābakān), যিনি অর্দাশির দ্য ইউনিফায়ার নামেও পরিচিত[১] (১৮০–২৪২ খ্রিস্টাব্দ), ছিলেন সাসানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এছাড়াও তার প্রতিষ্ঠিত নতুন সাম্রাজ্য পার্সিসের রাজাদের পঞ্চম আর্দাশির ছিলেন। ২২৪ সালে হোর্মোজগন সমভূমিতে শেষ পার্থিয়ান শাহানশাহ চতুর্থ আরতাবানুসকে পরাজিত করার পর, তিনি পার্থিয়ান রাজবংশ উৎখাত করে সাসানি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে, আর্দাশির নিজেকে "শাহানশাহ" বলে অভিহিত করেন এবং তিনি ইরান নামক ভূমি জয় করতে শুরু করেন।[২][৩]
আর্দাশিরের বংশ ও বংশ সম্পর্কে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রতিবেদন রয়েছে। আল-তাবারির তারিখুল রসুল ওয়াল মুলুক (১০ম শতাব্দী) অনুসারে, আর্দাশির ছিলেন পবাগের বা সাসানের পুত্র। কার-নামাগ ই আর্দাশির ই পাবাগান এবং ফেরদৌসীর শাহনামা (১৮৩২) মহাকাব্যে বিদ্যমান আরেকটি বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে যে, আর্দাশির পার্সের স্থানীয় গভর্নর পাপাকের কন্যার সাথে তৃতীয় দারিয়ুসের বংশধর সাসানের বিবাহ থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তাবারির প্রতিবেদন অনুসারে, আর্দাশির পার্সের উপকণ্ঠে ইস্তাখরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাবারি আরও উল্লেখ করেছেন যে, আর্দাশিরকে সাত বছর বয়সে দরবগার্ড কেল্লার প্রভুর কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রভুর মৃত্যুর পর, আর্দাশির তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং দরবগার্ড কেল্লার সেনাপতি হন। তাবারি বলেন যে পরবর্তীতে পাপাক গোচির নামক স্থানীয় পারসিক শাহকে উৎখাত করেন এবং তার পরিবর্তে তার পুত্র শাপুরকে নিযুক্ত করেন। আল-তাবারির প্রতিবেদন অনুসারে, শাপুর এবং তার পিতা পাপাক হঠাৎ মারা যান এবং আর্দাশির পার্সের শাসক হন। আর্দাশির এবং পার্থিয়ান সাম্রাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং অবশেষে ২২৪ সালের ২৮ এপ্রিল আর্দাশির হোর্মোজগন সমভূমিতে চতুর্থ আরতাবানুসের সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হন এবং সেই যুদ্ধ পার্থিয়ান শাহানশাহ আর্তাবানুস নিহত হন।
রাজকীয় প্রতিবেদন অনুসারে, পাপাকই স্থানীয় পারসিক শাহ গোচিরকে উৎখাত করেছিলেন এবং তার পরিবর্তে তার পুত্র শাপুরকে নিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু আর্দাশির শাপুরের নিয়োগ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন এবং তার ভাইসহ তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো অন্য যে কাওকে সরিয়ে দেন। তারপর তার বাবা, পাপাকের মুখের অপরর্পৃষ্ঠে নিজের মুখ সহ মুদ্রা প্রচলন করেন। এটা সম্ভব যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্বে আর্দাশির সম্পর্কে যে নির্ধারক ভূমিকা বলা হয়েছে তা পরবর্তী ঐতিহাসিক গবেষণার ফসল। পাপাক সম্ভবত ততদিনে তার শাসনের অধীনে পার্সের বেশিরভাগ একত্রিত করেছিলেন।
রাজকীয় আদর্শের বিকাশে আর্দাশিরের অসামান্য ভূমিকা ছিল। তিনি নিজেকে ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কিত অহুর মাজদার উপাসক এবং খাভারেনাহর অধিকারী হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। পৌরাণিক ইরানি শাহদের লাইন থেকে একজন নবাগত হিসেবে তার রাজত্বের বৈধতার দাবি এবং ইরানের ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পার্থিয়ানদের বৈধতা ও ভূমিকার বিরুদ্ধে আর্দাশিরকে দায়ী করা প্রচারগুলিতে উঠে আসে যে হাখমানেশি উত্তরাধিকারের মূল্যবান স্থান ছিল প্রথম সাসানি শাহানশাহদের মন; যদিও বর্তমান বিশ্বাস হল সাসানিরা আচেমেনিড এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তেমন কিছু জানত না। অন্যদিকে, কিছু ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন যে প্রথম সাসানি শাহানশাহরা হাখমানেশিদের সাথে পরিচিত ছিলেন এবং তাদের পরবর্তী শাহানশাহরা ইচ্ছাকৃতভাবে কায়ানিয়দের দিকে ঝুঁকেছিলেন। কায়ানিয়দের কাছে তাদের অতীতকে দায়ী করার জন্য তারা জেনেশুনে হাখমানেশিদের উপেক্ষা করেছিল এবং সেখানেই তারা পবিত্র ইতিহাস লিখনধারার প্রয়োগ শুরু করেছিল।
তার বিজয়ের কথা বলার জন্য, আর্দাশির ফিরুজাবাদে (গর বা আর্দাশির-খোয়ারাহ শহর), নাকশে রজব এবং নাকশে রোস্তমে পেট্রোগ্লিফ খোদাই করেছিলেন। নকশ-ই রুস্তমের পেট্রোগ্লিফে, আর্দাশির ও আহুরা মাজদা ঘোড়ার পিঠে একে অপরের বিপরীতে দাঁড়ানো এবং তাদের দুজনের ঘোড়ার খুরের নিচে আর্তাবানাস ও আহরিমানের মৃতদেহ দৃশ্যমান হয়। ছবিটি থেকে অনুমান করা যায় যে আর্দাশির মনে করতেন বা আশা করতেন যে যে শিলালিপিতে "ইরান" নামে পরিচিত জমির উপর তার শাসন প্রভুর দ্বারা মনোনীত হয়েছিল। "ইরান" শব্দটি পূর্বে আবেস্তায় এবং "আর্যদের পৌরাণিক ভূমির নাম" হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। আর্দাশিরের শাসনামলে, সাসানি শাসনাধীন অঞ্চলের জন্য "ইরান" উপাধিটি বেছে নেওয়া হয়েছিল। "ইরান" ধারণাটি সমগ্র রাজ্যে জরাথুষ্ট্রীয় এবং অ-জরাথুষ্ট্রীয় উভয় সমাজের দ্বারাই গৃহীত হয়েছিল এবং ইরানিদের সম্মিলিত স্মৃতি আজ আধুনিক যুগ পর্যন্ত ইরানি সমাজের বিভিন্ন স্তরে অব্যাহত আছে। এ থেকে স্পষ্ট হল যে, পূর্বে "ইরান" ধারণাটির একটি ধর্মীয় এবং জাতিগত প্রয়োগ ছিল এবং তারপরে এর রাজনৈতিক চেহারা এবং ভূখণ্ডের একটি ভৌগোলিক ধারণা তৈরি করা হয়েছিল।
"আর্দাশির" হল মধ্য ফার্সি নাম এর নব্য ফার্সি রূপ, যা শেষ পর্যন্ত প্রাচীন ইরানি *Artaxšaθra-, গ্রিক Artaxérxēs (Αρταξέρξης) এর সমতুল্য, এবং আর্মেনিয় Artašēs (Արտաշէս) থেকে এসেছে।[৪] আক্ষরিক অর্থে, আর্দাশির মানে "যার রাজত্ব সততা এবং ন্যায়বিচারের উপর ভিত্তি করে"।[৫] *Artaxšaθra--এর প্রথম অংশটি ন্যায়ের ধর্মীয় ধারণা থেকে গৃহীত হয়েছে যা Ṛta or আশা নামে পরিচিত এবং দ্বিতীয় অংশটি "নগর" ধারণার সাথে সম্পর্কিত।[৪]
হাখমানেশি রাজাদের মধ্যে তিনজন এবং পার্সের স্থানীয় শাহদের মধ্যে চারজন—যারা ফ্রাতারকা এবং পারসিসের রাজা নামে পরিচিত— যাদের নাম ছিল আর্দাশির, এবং প্রথম আর্দাশির স্থানীয় শাহদের শৃঙ্খলে পঞ্চম আর্দাশির ছিলেন।[৬][৭]
সাসানি যুগের প্রাথমিক উল্লেখগুলিকে "পাঠ্যাবশেষ" এবং "প্রতিবেদন" এই দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:
পাঠ্যাবশেষ বা পাঠ্যের অবশিষ্টাংশের মধ্যে রয়েছে শিলালিপি, চামড়ার লেখা, পাপিরি এবং একাধিক ভাষা ও লিপির ক্রোকারিজ।[৮] আর্দাশিরের সাথে সম্পর্কিত পাঠ্যের অবশিষ্টাংশের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে নাকশে রজবে তার সংক্ষিপ্ত শিলালিপি এবং কাবাই জারতোশতে প্রথম শাপুরের শিলালিপি।[৮]
প্রতিবেদনগুলি বিভিন্ন ভাষায় এবং বিভিন্ন সময়কালে রচিত।[৮] সমস্ত মুসলিম ইতিহাসবিদের লেখার ভিত্তি (আরবি ও পারসিক ইতিহাস), সাসানি আদালতের সরকারি খোয়াদায়-নামাগ যা আদালতের সরকারি ক্যালেন্ডারে নথিভুক্ত ডায়েরিগুলিকে তথ্যসূত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। খোয়াদায়-নামাগ মধ্য ফার্সি ভাষায় সাসানি যুগের শেষের দিকে প্রস্তুত করা হয়েছিল। বইটির আরবি অনুবাদের শিরোনাম ছিল সির-ওল মোলুক-এল আজম এবং ফারসি সংস্করণ ছিল শাহনামা। বর্তমানে, খোয়াদায়-নামাগ বা এর মূল ফার্সি পাঠ্যের কোনো সরাসরি অনুবাদ পাওয়া যায় না।[৯]
ক্যাসিয়াস ডিও পার্থিয়ান ইতিহাসের একটি বিখ্যাত সম্পদ যা পার্থিয়ানদের পতন এবং প্রথম আর্দাশিরের উত্থান সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে।[৮]
পার্থিয়ান থেকে সাসানিতে রাজতন্ত্রের পরিবর্তনের পদ্ধতিও হেরোডিয়ানের হিস্ট্রি ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যা করেছে।[৯]
যদিও আগাথিয়াস প্রথম খসরোর সময়ে বাস করতেন, এবং তিসফুন আর্কাইভে রাজকীয় বার্ষিক বইগুলিতে প্রবেশাধিকেরের কারণে, তার ইতিহাস বইটি অন্যতম প্রধান উৎস। তবে, তিনি আর্দাশির যৌবনের গল্প প্রতিবেদনে কথ্য বিবৃতি ব্যবহার করেছেন।[৮]
সাসানি যুগে আর্মেনিয় ইতিহাস সম্পূর্ণভাবে ইরানের রাজকীয় ইতিহাসের সাথে যুক্ত; এইভাবে, তৎকালীন আর্মেনিয় ঐতিহাসিকদের লেখা শুধুমাত্র ইরানি রাজাদের দুঃসাহসিক কাজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি প্রদান করে না, ইরান–আর্মেনিয়া সম্পর্কের অবস্থাও তুলা ধরে।[৯] আগাথাঞ্জেলসের আর্মেনিয়ান হিস্ট্রি হল প্রারম্ভিক সাসানি যুগের আর্মেনিয় সম্পদগুলির মধ্যে একটি।[৮]
মুভসেস খোরেনাতসি, যিনি আর্মেনিয় হিরোডোটাস নামে পরিচিত, খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ, প্রথম আর্দাশির সম্পর্কে একটি গল্প বলেছেন যা মহান কুরুশের জীবনী থেকে অভিযোজিত গল্পের সাথে তুলনামূলকভাবে মিল রয়েছে।[১০]
সাসানি ইতিহাসের আরেকটি শ্রেণী হল সিরিয় ভাষায় খ্রিস্টানদের লেখা বই।
আরবেলার ক্রনিকলস হল খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে লেখা একটি পাঠ এবং এতে দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে ৫৫০ সাল পর্যন্ত মেসোপটেমিয়ার খ্রিস্টান অঞ্চলের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৯] পার্থিয়ানদের পতন এবং সাসানিদের উত্থানের সময়কালের জন্য বইটি অত্যন্ত মূল্যবান।[৮]
হিস্ট্রি অব ওডেসার হল ৫৪০ সালে লেখা একটি বই এবং এতে ১৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৫৪০ সাল পর্যন্ত ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৯]
ক্রনিকলস অব কারাখ বিট সোলুগ, একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ উৎস যা প্রারম্ভিক সাসানি সময়কাল সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য উপস্থাপন করে।[৮]
কার-নামাগি আরদাসিরি পাবাগান হল প্রথম আর্দাশির এবং ইরানের সিংহাসনে তার আরোহণের পদ্ধতি সম্পর্কে একটি মহাকাব্য। পাঠ্যটি প্রায় ৬০০ খ্রিস্টাব্দে এবং মধ্য ফার্সি ভাষায় সাসানি যুগের শেষের দিকে লেখা হয়েছিল।[১১][১২]
ফেরদৌসীর শাহনামা হল ইরানের জাতীয় ইতিহাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স। এটি সাসানি সংগঠন এবং সভ্যতা সম্পর্কে সহায়ক তথ্য উপস্থাপন করে।[৮]
বালামির হিস্ট্রি, যা তাবারির ইতিহাসের একটি ফার্সি পুনর্লিখন, সাসানিদের সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফার্সি গদ্য রচনাগুলির মধ্যে একটি। আরবি পাঠ ছাড়াও, কাজটি মূল্যবান, কারণ এটি তাবারির ইতিহাসে আরবি অভিব্যক্তির ফারসি সমতুল্য প্রদান করে। আরবি পাঠ ছাড়াও, কাজটি মূল্যবান, কারণ এটি তাবারির ইতিহাসে আরবি অভিব্যক্তির ফারসি সমতুল্য প্রদান করে।[৮]
ফারসনামেহ হল সাসানি ইতিহাসের একটি সহায়ক ফার্সি রেফারেন্স যা মহানভাবে নিযুক্ত গভর্নর এবং তাদের পদের মর্যাদা এবং র্যাঙ্কিং সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য উপস্থাপন করে, যখন তারা রাজাদের সাপেক্ষে জনসাধারণের অংশ হিসাবে বিবেচিত হত।[৮]
ইবনে ইসফান্দিয়ারের হিস্ট্রি অব তাবারিস্তান সাসানি ইতিহাসের আরেকটি উৎস। বইটিতে তানসারের চিঠি লেখা আছে।[৮]
মোজমাল আল-তারিখ সীমিত মূল্যের একটি পাঠ্য কারণ এর বেশিরভাগ প্রতিবেদন অন্যান্য উৎসগুলিতে ব্যাপকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।[৮]
আরদাসগিরের শপথ হল সরকারি আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রথম আর্দাশির দ্বারা প্রচারিত একটি চিঠি যার নাম মোজমাল আল-তারিখ-এ রয়েছে।[১৩]
তাবারির ইতিহাস হল আরবি ভাষার একটি বই সিরিজ যা সাসানি ইতিহাসের প্রধান এবং অপরিহার্য উৎস।[৮]
আল-মাসুদির সোনার তৃণভূমি হল সাসানি ইতিহাসের আরেকটি উৎস।[৮]
প্রথম আর্দাশির মৃত্যু: ফেব্রুয়ারি ২৪২
| ||
নতুন পদবী | ইরানের রাজাদের রাজা ২২৪–২৪২ |
উত্তরসূরী প্রথম শাপুর |