প্রথম হাকাম | |
---|---|
কর্ডোবার আমির | |
রাজত্ব | ৭৯৬ - ৮২২ |
পূর্বসূরি | প্রথম হিশাম |
উত্তরসূরি | দ্বিতীয় আবদুর রহমান |
জন্ম | কর্ডোবা |
মৃত্যু | ২১ মে ৮২২ কর্ডোবা |
রাজবংশ | উমাইয়া |
পিতা | প্রথম হিশাম |
ধর্ম | ইসলাম |
আল-হাকাম ইবনে হিশাম ইবনে আবদুর রহমান (আরবি: الحكم بن هشام) ছিলেন উমাইয়া খিলাফতের অধীনস্থ কর্ডোবার আমির। তিনি ৭৯৬ থেকে ৮২২ সাল পর্যন্ত আল-আন্দালুসে (মুরিশ শাসিত ইবেরিয়ান উপদ্বীপ) দায়িত্ব পালন করেন।
আল-হাকাম ছিলেন তার পিতার দ্বিতীয় পুত্র। তার বড় ভাই অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ক্ষমতা লাভের পর তিনি তার চাচা সুলায়মান ও আবদুল্লাহর কাছ থেকে বিরোধীতার সম্মুখীন হন। আবদুল্লাহ তার দুই পুত্র উবায়দুল্লাহ ও আবদুল মালিককে শার্লেমাইনের কাছে সাহায্যের জন্য আলোচনার উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। এসময় সুলায়মান কর্ডোবা আক্রমণ করেন। যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন ও মেরিডার দিকে যাত্রা করেন। সেখানে তিনি বন্দী হন। এরপর তাকে হত্যা করা হয়। আবদুল্লাহকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। কিন্তু তাকে ভেলেনসিয়াতে অবস্থান করতে বাধ্য করা হয়।[১]
আল-হাকাম তার শাসনের অধিকাংশ সময়ই টলেডো, সারাগোসা ও মেরিডার বিদ্রোহ দমনে ব্যয় করেন। বিদ্রোহীরা দুইবার কর্ডোবায় পৌছে যান। আল-হাকামকে অপসারণ করে তার এক ভাই সম্পর্কীয় আত্মীয়কে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ৮০৬ সালের ১৬ নভেম্বর একটি ভোজসভায় ৭২ জন অভিজাতকে হত্যা করা হয়। কাউকে ক্রুশে ঝোলানো হয় ও গোয়াদালকুইভির নদীর তীরে প্রদর্শন করা হয়। এসময় এধরনের নিষ্ঠুরতা স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হত। কর্ডোবার ফটকে উত্তরের অভিযানের সময় বিদ্রোহী নেতা বা খ্রিষ্টানদের মাথা পরিদর্শন করানো হয়েছিল।[২]
৮১৮ সালে গোয়াদালকুইভির নদীর দক্ষিণ পাড়ে আল-রিবাদ শহরতলীতে একটি বিদ্রোহ দমন করেন। প্রায় ৩০০ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় ও ক্রুশে ঝোলানো হয়। বাকিদেরকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তাদের কেউ মিশরের আলেক্সান্দ্রিয়ায়, কেউ ফেজ ও ক্রিট চলে যান। বাকিরা লেভেন্টের জলদস্যুদের সাথে যোগ দেন।[১]
আল-হাকাম ৮২২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২৬ বছর রাজত্ব করেছেন।
আল-হাকাম ছিলেন প্রথম হিশাম ও তার উপপত্নী জোখরুফের পুত্র।[৩]
আল-হাকামের সন্তানরা হল:[৪]
আজাব নামে আল-হাকামের একজন উপপত্নী ছিল। কর্ডোবার শহরতলীতে তিনি কুষ্ঠরোগীদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।[৬] কুষ্ঠরোগীদের এই কলোনীর খরচ তার নামে নির্মিত একটি এস্টেট থেকে চালানো হত।[৭] তার এক পুত্র ছিল:[৬]
আরেকজন উপপত্নীর নাম ছিল মুতা। তিনি একটি কবরস্থান স্থাপন করেন। দশম শতকেও এটির অস্তিত্ব ছিল।[৬]
প্রথম আল-হাকাম বনু কুরাইশ এর ক্যাডেট শাখা
| ||
পূর্বসূরী প্রথম হিশাম |
কর্ডোবার আমির ৭৯৬–৮২২ |
উত্তরসূরী দ্বিতীয় আবদুর রহমান |