মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
১,২৫,০০,০০০[১] (2019) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
সৌদি আরব | ১০,০৫,০০০ (২০০৬)[২] |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | ৭,০০,০০০ (২০০৯)[৩] |
যুক্তরাজ্য | ৯,৫০,০০০ (২০১৭)[৪][৫] |
মালয়েশিয়া | ১০,০০,০০০ (২০১৮)[৬] |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ১১,৮৭,৮১৬ (২০১৫)[৭] |
কুয়েত | ১,৫০,০০০ (২০০৫)[৮] |
কাতার | ১,৩৭,০০০ (২০১৩)[৯] |
ইতালি | ২,২০,০০০-এর বেশি (২০২৩)[১০] |
ওমান | ১,৩০,০০০ (২০০৭)[১১] |
সিঙ্গাপুর | ১,০০,০০০ (২০১১)[১২] |
বাহরাইন | ৯০,০০০ (২০০৭)[১৩] |
মালদ্বীপ | ৪০,০০০ (২০০৮)[১৪] |
অস্ট্রেলিয়া | ৮০,০০০ (২০২২)[১৫] |
কানাডা | ২৪,৬০০ (২০০৬)[১৬][১৭] |
জাপান | ১৫,০০০ (২০০৮)[১৮] |
দক্ষিণ কোরিয়া | ১৩,৬০০ (২০১৩)[১৯] |
গ্রিস | ১১,০০০[২০] |
ইন্দোনেশিয়া | ৮,০০০[২১] |
স্পেন | ৭,০০০[২০] |
জার্মানি | ৫,০০০[২০] |
ধর্ম | |
সংখ্যাধিক্য: ইসলাম সংখ্যলঘু: হিন্দু, খ্রিস্টান, ধর্মহীন |
প্রবাসী বাংলাদেশী তাদেরকে বলা হয় যারা বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করার পর অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ভালো পরিবেশে বসবাস করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও পরিবারকে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী করার আশায় বাংলাদেশীরা প্রবাসে পাড়ি জমায়। প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বসবাস করে, তাদের সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন। সৌদি আরব ছাড়াও আরব বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশে যেমন: কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও বাহরাইনে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশ প্রবাসী বসবাস করে। সেখানে বাংলাদেশীদেরকে বিদেশি কর্মী হিসেবে ধরা হয়।
যুক্তরাজ্যের ২০০১ সালের আদমশুমারির তথ্যমতে, প্রায় ৩০০,০০০ জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী (৫০০,০০০ জন ২০০৯ আদম শুমারি) পূর্ব লন্ডন (টাওয়ার হ্যামলেট ও নিউহ্যাম) এ বসবাস করে। যাদের বেশিরভাগই সিলেট বিভাগের অধিবাসী। তথ্যমতে, ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের মধ্যে ৯৫% ই সিলেটের অধিবাসী।
শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য এবং মধ্যপ্রাচ্য নয় যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক শহর, নিউজার্সি ও অন্যান্য প্রদেশে বিপুল পরিমাণের প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করে। এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এবং পশ্চিমা দেশগুলো যেমন, ইতালি, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতেও প্রচুর প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করে।
সারাবিশ্বে যতজন প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করে তাদের সিংহভাগই মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করে। প্রায় ২৮ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশী মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করে যাদের অর্ধেক সৌদি আরবে এবং চার ভাগের এক ভাগ আরব আমিরাতে বসবাস করে। বাংলাদেশীরা সাধারণত টেকনিশিয়ান, গৃহস্থালী কর্মী, শ্রমিক, ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে যায়। এছাড়া বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার এবং চিকিৎসক রয়েছে।
সৌদি আরবে ৩০ লক্ষেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্প্রদায় গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সৌদি আরবের সবচেয়ে বেশি শ্রমিক যোগান দেয়। সৌদি আরবে ২০০৭ সালে ১৫ লক্ষ ভিসার মধ্যে প্রায় ২৩.৫০ শতাংশ ভিসা বাংলাদেশীদের দেওয়া হয়।
২০২৪ সাল পর্যন্ত ২.৫ মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করে।
২০২৪ সাল পর্যন্ত ৮,০০,০০০ জনের বেশি বাংলাদেশী কাতারে বসবাস করে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫ হাজার ৪৭ জন বাংলাদেশী গেছেন কুয়েতে। এর মধ্যে ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রতিবছর ১০ হাজার লোক কুয়েতে গেছেন। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েতের পক্ষে অবস্থানের কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের সুনাম বেড়ে যায়। এরপর ১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গড়ে ২৫ হাজার লোক দেশটিতে গেছেন। ২০০১ সালের পর তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক কুয়েতে যেতে থাকেন। ২০০৭ সালের শেষে বাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৮ সালে মাত্র ৩১৯ জন, ২০১০ সালে ৪৮ জন, ২০১১ সালে ২৯ জন, ২০১২ সালে মাত্র ২ জন ও ২০১৩ সালে ৬ জন কর্মী যান দেশটিতে।
২০১৪ সালের শেষ দিক থেকে আবারও কর্মী যাওয়া শুরু করে। গত বছর ১৭ হাজার ৪৭২ জন কর্মী গেছেন দেশটিতে।
জনশক্তি রফতানিকারকরা বলছেন, ২০০৫ সালেও ৪৭ হাজার কর্মী গেছেন দেশটিতে। বাজার পুরোপুরি চালু হলে বছরে ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হতে পারে।
ওমানে বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ৪.৬%। পরিসংখ্যান বলছে, ওমানের মাটিতে বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং সুনামেও তারা সবার শীর্ষে। ফলে অন্য যেকোন দেশের শ্রমিকদের তুলনায় ওমানে বাংলাদেশী শ্রমিকদের রয়েছে বিশেষ চাহিদা।
সবশেষ ‘ন্যাশনাল সেন্টার অ্যান্ড ইনফরমেশন’ (এন সি এস আই) এর তথ্য মতে, ডিসেম্বর, ২০১৬ এর শেষের হিসাব অনুযায়ী ওমানে বাংলাদেশীদের সংখ্যা ৬,৯৮,৮৮১। ভারতীয়রা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, তাদের সংখ্যা ৬,৮৯,৬০০ এবং ২,৩২,৪২৬ জন নিয়ে পাকিস্তানিরা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে এটি একটি বড় উদাহরণ হতে পারে। যেখানে অন্যান্য দেশে বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়ে নানা নেতিবাচক ইমেজ বা ধারণা ছড়ানো হচ্ছে, সেখানে ওমানের প্রবাসী বাংলাদেশীরা নিজেদের ইতিবাচক ভাবমুর্তিতে অটল। তারা অন্যান্য অভিবাসী শ্রমিকদের তুলনায় বেশি পরিশ্রমী। আর এজন্য তারা যথেষ্ট মূল্যায়নও পাচ্ছে।
জনশক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এনএসআই এর হিসাব অনুযায়ী ওমানে বেসরকারি খাতে ১৫,০৪,৯৩৬ জন, সরকারি খাতে ৬০,১৯৬ এবং গৃহকর্মী ও ড্রাইভার হিসেবে যাওয়া ২,৮৩,০৪৩ জনসহ মোট কর্মী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৮৪৮,১৭৫-এ।
এদিকে, ওমানের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারিতে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৫৬,৮,০০৩ এ। যেখানে এনএসআইয়ের হিসেব মতে মোট প্রবাসীর সংখ্যা ২,০৯৪,৬১৬। অর্থ্যাৎ ওমানের মোট জনসংখ্যার ৫৪.১ শতাংশই হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশী।
ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সংখ্যা অত্যন্ত বিতর্কিত। ২০০১ ভারতের জনগণনা অনুযায়ী, অন্তিম বাসস্থানের বিচারে ভারতে ৩১ লাখ বাংলাদেশী এবং জন্মস্থান অনুযায়ী ৩৭ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করে।[২২] ২০০৯ সালের অনুমান অনুযায়ী দেশে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করে।[২২] ২০০৭ সালে ভারত সরকারের দাবি অনুযায়ী প্রায় ৩০,০০০ বাংলাদেশী বেআইনিভাবে বসবাস করে,[২৩] তবে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সমীর গুহ রায়ের মতে এহেন দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অতিরঞ্জিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অন্যান্য জনপরিসংখ্যান যাচাই করে তিনি বলেন যে যাদের "বেআইনিভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশী" বলে মনে করা হয়েছে তাদের অনেকেই আদতে প্রতিবেশী রাজ্য থেকে আগত ভারতীয় নাগরিক। তাঁর এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে বার্ষিক প্রায় ৯১,০০০ জন বাংলাদেশী নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে।[২৪]
প্রায় ৫ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী পাকিস্তানের কোয়েট্টা, পেশোয়ার, লাহোর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে বসবাস করে, যাদের মধ্যে ২০ লক্ষ বাংলাদেশী, ২৫ লক্ষ আফগান এবং ৫ লক্ষ অন্যান্য যেমন, আফ্রিকান, ইরানি, ইরাকি ও মিয়ানমারের নাগরিক।
মালদ্বীপে বেশির ভাগ বাংলাদেশী অবৈধভাবে বসবাস করছে। মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশটিতে প্রায় ৫০,০০০ বাংলাদেশী বসবাস করে। (২০১১)
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বৃহৎ শ্রমবাজার। বৈধ-অবৈধ মিলে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫ লক্ষ বাংলাদেশী বসবাস করে, ২০০৯ সালের তথ্যমতে যা তাদের মোট বিদেশী কর্মীদের ছয় ভাগের এক ভাগ।
দক্ষিণ কোরিয়াতে ১৩ হাজারের বেশি বাংলাদেশী রয়েছে। তাদের মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণের অবৈধ। এই বাংলাদেশী অভিবাসীদের প্রতি কিছু কুসংস্কারকে কেন্দ্র করে, ২০০৯ সালে কোরিয়ান চলচ্চিত্র 'বান্ধবী, সিন দোং-ইল' নির্মিত হয়েছে।
অন্যান্য দেশের মত জাপানেও প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছে যাদের সংখ্যা প্রায় ১১,০৫৫। (২০০৫ সালের তথ্যমতে)
ব্রিটিশ বাংলাদেশী সম্প্রদায় যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম অভিবাসী সম্প্রদায়। তারা প্রধানত ইস্ট লন্ডন, টাওয়ার হ্যামলেটসে বসবাস করে। এখানে বসবাসকারী মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৩ শতাংশই বাংলাদেশী। জাতীয় আদম শুমারির তথ্যমতে প্রায় ৪০০,০০০ বাংলাদেশী ব্রিটেনে বসবাস করে যাদের ৯৫ ভাগই সিলেটি। লন্ডনের বাইরেও যেমন ম্যানচেস্টার, ওয়েস্ট মিনিস্টার ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে সিলেটি প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করে।
২০০০সালের আদম শুমারি মতে যুক্তরাষ্ট্রে পায় ৯৫,৩০০ জন বাংলাদেশী আছে। সুতরাং এটা অনুমান করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত দেড় লক্ষ বাংলাদেশী আছে। ১৯৯০ সালের দিকে বাংলাদেশীরা প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শুরু করে। তারা নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ফিলাডেলফিয়া, এবং ওয়াশিংটন ডিসির প্যাটারসনের শহরাঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। বাংলাদেশী, পাকিস্তানি ও ভারতীয়রা রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে জড়িত। বাংলা নববর্ষের বৈশাখী মেলা নিউইয়র্ক, প্যাটারসন, ফিলাডেলফিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি এবং অন্যান্য শহরে ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে প্রায় ১৩.৯ বিলিয়ন ডলার বিদেশি মুদ্রা বাংলাদেশে আসে।
বাংলাদেশীরা ইতালির বৃহত্তম অভিবাসী জনগোষ্ঠী। ২০০৫ সালের তথ্যমতে ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশীরা ছিলেন প্রয় ১১৩,৮১১ জন। বাংলাদেশীদের অধিকাংশই নাপোলি, বোলোনিয়া, জেনোয়া, রোম, মিলান ও ভেনিসে বসবাস করে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে রয়েছে ২৫০০০ হাজার বাংলাদেশী। ২০০৫ সালে প্রথম বাংলাদেশীরা ব্রাজিলে যাওয়া শুরু করে। বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী ব্রাজিলে প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী।
কানাডীয় বাংলাদেশী তাদেরকে বলা হয় যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে পরবর্তীতে কানাডায় অভিবাসন করছেন। এদের বেশিরভাগ কানাডার নাগরিক অথবা স্থায়ী বসবাসকারী।
২০২০ সালে বাংলাদেশী-কানাডিয়ানের সংখ্যা আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার যার প্রায় ৭০ হাজারই বসবাস করে টরন্টো শহরে। মন্ট্রিয়াল,ভেংকুবার ও অটোয়ায় উল্যেখযোগ্য সংখ্যাক বাংলাদেশী বসবাস করে। বাংলাদেশী-কানাডিয়ানরা সরকারি-বেসরকারি অফিস জব, ব্যাবসা, রিটেইল ও সেবাকর্মে নিয়োজিত আছেন।
কানাডায় অন্যসব অভিবাসীদের মতো বাংলাদেশী কানাডীয়দের ফরাসিভাষী এবং ইংরেজিভাষী বাংলাদেশীতে বিভক্ত করা হয়। এই পার্থক্য পূর্ব কানাডার সুস্পষ্ট।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশীরা ক্ষুদ্রতম অভিবাসী হিসেবে বসবাস করে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ২০,০০০ বাংলাদেশী বসবাস করে। যাদের বেশির ভাগেই প্রধানত নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া রাজ্যে এবং সিডনি ও মেলবোর্নের শহরগুলোতে বসবাস করে।