চিকিৎসাবিদ্যা হল স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের শাখা এবং রোগ ও আঘাতের অধ্যয়ন, নির্ণয় এবং চিকিত্সার মাধ্যমে মানব স্বাস্থ্য বজায় রাখা বা পুনরুদ্ধার করার সাথে সম্পর্কিত জনজীবনের খাত। এটি তন্ত্রগুলির একটি বিজ্ঞান তাদের রোগ — এবং চিকিত্সা উভয় জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র এবং সেই জ্ঞানের প্রয়োগ অনুশীলন — একটি শিল্প বা নৈপুণ্য। যাইহোক, ওষুধ প্রায়শই চিকিত্সক এবং শল্যচিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত বিষয়গুলিকে আরও নির্দিষ্টভাবে বোঝায়।
চিকিৎসাবিদ্যা হল জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র (একটি বিজ্ঞান), এবং সেই জ্ঞানের প্রয়োগ (চিকিৎসা পেশা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাদার যেমন নার্সদের দ্বারা)। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিশেষ শাখা বিশেষ অঙ্গ বা রোগের সাথে সম্পর্কিত বিশেষায়িত চিকিৎসা পেশার সাথে মিলে যায়। ওষুধ বিজ্ঞান হল শরীরের তন্ত্র ও রোগের জ্ঞান, যখন ওষুধ পেশা বলতে সেই জ্ঞান প্রয়োগ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত সামাজিক গোষ্ঠীর লোকদের বোঝায়।
অভ্যন্তরীণ ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ হিসাবে চিকিৎসা পেশাদারদের দ্বারা চিকিৎসাবিদ্যার ব্যবহার করা হয়। প্রাণি চিকিৎসাবিজ্ঞান হল মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণী প্রজাতির স্বাস্থ্যসেবার অনুশীলন।
প্লেগ হলো ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস (Yersinia pestis) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। প্লেগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, দুর্বলতা ও মাথাব্যথা। সাধারণত সংক্রমণের এক থেকে সাত দিন পর এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্লেগের তিনটি ধরন রয়েছে, প্রতিটি শরীরের বিভিন্ন অংশকে সংক্রমিত করে এবং সংশ্লিষ্ট উপসর্গ সৃষ্টি করে। নিউমোনিক প্লেগ (Pneumonic) ফুসফুসকে সংক্রামিত করে, ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং বুকে ব্যথা হয়; বিউবনিক প্লেগ (Bubonic) লিম্ফ নোড (lymph node) গুলিতে প্রভাব ফেলে ও সেগুলি ফুলে যায়; এবং সেপ্টিসেমিক প্লেগ (Septicemic) রক্তকে সংক্রামিত করে ও টিস্যু কালো হয়ে মারা যেতে পারে।
বিউবনিক ও সেপ্টিসেমিক প্লেগ সাধারণত মাছির (flea) কামড় বা সংক্রামিত প্রাণীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, অপরদিকে নিউমোনিক প্লেগ সাধারণত সংক্রামক ফোঁটা (droplets) দ্বারা বাতাসের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। সাধারণত লিম্ফ নোড, রক্ত বা থুতু থেকে ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|চিকিৎসাবিদ্যা}}
যুক্ত করতে পারেন।স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এফআরএস এফআরএসই FRCS (৬ আগস্ট ১৮৮১ - ১১ মার্চ ১৯৫৫) ছিলেন এক বিশ্ববিশ্রুত স্কটিশ চিকিৎসক, অণুজীব বিজ্ঞানী, বিশ্বের প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক 'বিংশ শতকের বিস্ময়' পেনিসিলিন আবিষ্কারের জন্য সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের তার এই আবিষ্কার পরবর্তীতে বেঞ্জিলপেনিসিলিন তথা পেনিসিলিন-জি নামে নামাঙ্কিত হয়। 'পেনিসিলিয়াম রুবেনস' নামক এক শ্রেণীর ছত্রাক নিঃসৃত তরলকে বিশুদ্ধ করে তৈরি করেন অ্যান্টিবায়োটিক শ্রেণীর ওষুধ। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে অপর দুই ইংরেজ রসায়ন বিজ্ঞানী হাওয়ার্ড ফ্লোরি ও অ্যার্নেস্ট চেইনের সাথে যৌথভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে লাভ করেন নোবেল পুরস্কার। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে নাইট উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে টাইম পত্রিকার সমীক্ষায় বিশ শতকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একশো ব্যক্তিত্বদের অন্যতম বিবেচিত হন। এছাড়া ও ২০০২ খ্রিস্টাব্দের বিবিসি টেলিভিশনের সমীক্ষায় গ্রেট ব্রিটেনের একশো ব্যক্তিত্বদের অন্যতম ও ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে এসটিভি টিভি চ্যানেলের বিচারে রবার্ট বার্নস ও উইলিয়াম ওয়ালেসের পর তিনি তৃতীয় গ্রেটেস্ট স্কট নির্বাচিত হন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত ভুক্তির তালিকা
|
---|