চিকিৎসাবিদ্যা হল স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের শাখা এবং রোগ ও আঘাতের অধ্যয়ন, নির্ণয় এবং চিকিত্সার মাধ্যমে মানব স্বাস্থ্য বজায় রাখা বা পুনরুদ্ধার করার সাথে সম্পর্কিত জনজীবনের খাত। এটি তন্ত্রগুলির একটি বিজ্ঞান তাদের রোগ — এবং চিকিত্সা উভয় জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র এবং সেই জ্ঞানের প্রয়োগ অনুশীলন — একটি শিল্প বা নৈপুণ্য। যাইহোক, ওষুধ প্রায়শই চিকিত্সক এবং শল্যচিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত বিষয়গুলিকে আরও নির্দিষ্টভাবে বোঝায়।
চিকিৎসাবিদ্যা হল জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র (একটি বিজ্ঞান), এবং সেই জ্ঞানের প্রয়োগ (চিকিৎসা পেশা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাদার যেমন নার্সদের দ্বারা)। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিশেষ শাখা বিশেষ অঙ্গ বা রোগের সাথে সম্পর্কিত বিশেষায়িত চিকিৎসা পেশার সাথে মিলে যায়। ওষুধ বিজ্ঞান হল শরীরের তন্ত্র ও রোগের জ্ঞান, যখন ওষুধ পেশা বলতে সেই জ্ঞান প্রয়োগ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত সামাজিক গোষ্ঠীর লোকদের বোঝায়।
অভ্যন্তরীণ ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ হিসাবে চিকিৎসা পেশাদারদের দ্বারা চিকিৎসাবিদ্যার ব্যবহার করা হয়। প্রাণি চিকিৎসাবিজ্ঞান হল মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণী প্রজাতির স্বাস্থ্যসেবার অনুশীলন।
বয়ঃসন্ধি একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি শিশুর শরীর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রূপান্তরিত হয় এবং প্রজননের সক্ষমতা লাভ করে। মস্তিষ্ক থেকে গোনাডে (ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয়) হরমোন সংকেত যাবার মাধ্যমে এটির সূচনা ঘটে। ফলশ্রুতিতে গোনাড বিভিন্ন ধরনের হরমোন উৎপাদন শুরু করে যার ফলে মস্তিষ্ক, অস্থি, পেশি, ত্বক, স্তন, এবং জনন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের বৃদ্ধি শুরু হয়। বয়ঃসন্ধির মধ্যভাগে এই বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় এবং বয়ঃসন্ধি শেষ হবার মাধ্যমে এই বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হয়। বয়ঃসন্ধি শুরুর পূর্বে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে পার্থক্য প্রায় সম্পূর্ণটাই বলতে গেলে শুধু যৌনাঙ্গের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকে। বয়ঃসন্ধির সময়, শরীরের গঠনের আকার-আকৃতি, গুরুত্ব ও কাজে প্রধান পার্থক্য গুলো প্রতীয়মান হয়। এদের মধ্যে খুবই অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনগুলোকে সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্য বলা হয়।
আক্ষরিক অর্থে (এবং এই নিবন্ধটিতে যে সম্মন্ধে বলা হয়েছে) বয়ঃসন্ধি বলতে বোঝায় যৌন পরিপক্বতার জন্য শরীরে যেসকল পরিবর্তন আসে সেটাকে। বয়ঃসন্ধিকালের উন্নতিতে মনোসামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা এটার অন্তর্ভুক্ত নয়। বয়ঃসন্ধিকাল হচ্ছে শৈশব ও সাবালকত্বের মধ্যবর্তী একটি মানসিক ও সামাজিক ক্রান্তিকাল। বয়ঃসন্ধিকাল, বয়ঃসন্ধির সময় দ্বারা প্রভাবিত হয় বটে কিন্তু এটা আলোচনার সীমারেখা যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের ব্যাপারে আলোচনার ক্ষেত্রে কৈশোর সময়কার শারীরিক পরিবর্তনের চেয়ে সেই সময়ের মনোসামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং আচার-আচরণের বিকাশকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|চিকিৎসাবিদ্যা}}
যুক্ত করতে পারেন।![]() কিতাসাতো শিবাসাবুরো |
কিতাসাতো শিবাসাবুরো (জাপানি: 北里 柴三郎; ১৮৫২-১৯৩১) একজন জাপানি চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি ধনুষ্টংকার ও ডিপথেরিয়া রোগ প্রতিরোধ করার পদ্ধতি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি ফরাসি-সুইজারল্যান্ডীয় ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী আলেক্সঁদ্র ইয়েরসাঁ-র সাথে প্রায় একই সময়ে বিউবনিক প্লেগ রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুটি (ব্যাকটেরিয়াটি) আবিষ্কার করেন। কিতাসাতো ১৮৫৩ সালের ২৯শে জানুয়ারি তারিখে জাপানের হিগো প্রদেশের কিতানোসাতো (বর্তমান কুমামোতো) জেলাতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে ইগাকুশো হাসাপাতালে (বর্তমান কুমামোতো চিকিৎসা বিদ্যালয়) চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশোনা শুরু করেন। যখন তাঁর গুরু ওলন্দাজ চিকিৎসক ফান মান্সফেল্ট বিদ্যালয়টি ত্যাগ করেন, তখন কিতাসাতো টোকিও চিকিৎসাবিজ্ঞান বিদ্যালয়ে (বর্তমানে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ) ছাত্র হিসেবে যোগ দেন। ১৮৮৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উপাধি (এম ডি) অর্জনের পরে তিনি জাপানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরে ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণাকর্ম সম্পাদন করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত ভুক্তির তালিকা
|
---|