জলদস্যুতা বলতে সাধারনত সমুদ্রে সংঘঠিত ডাকাতি বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে বোঝায়। এই পরিভাষাটি অবশ্য স্থলপথ, আকাশপথ বা অন্য কোন বড় জলবেষ্ঠিত অঞ্চলে বা সৈকতে সংঘঠিত অপরাধের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে। একই ভেসেলে (ছোট জাহাজ) ভ্রমণকারী এক ব্যক্তির বিরোদ্ধে অপর ব্যক্তির সংঘঠিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড -এর আওতাভুক্ত নয় (যেমন, একই ভেসেলের এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কাছ থেকে চুরি করলে।)। শব্দটি ঐতিহাসিকভাবে রাষ্ট্রীয় জল সীমানায় অন্য দেশের এজেন্ট (প্রাইভেটিয়ার) বা জলদস্যু কর্তৃক লুণ্ঠেনের জন্য প্রবেশ-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
জলদস্যুতা গতানুগতিক আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট অপরাধের নাম এবং কিছু কিছু রাষ্ট্রে এটি পৌর আইনের অধীন একটি অপরাধের নাম। জলদস্যুতার মতই আরো একটি পরিভাষা হলো প্রাইভেটারিং, প্রাইভেটিয়াররা যুদ্ধকালীন সময়ে বা কৌশলগত কারণে রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং তার শুধুমাত্র শত্রু দেশের জাহাজই আক্রমণ ও লুট করতেন। কিছু মিল থাকা স্বত্তেও জলদস্যুতা ও প্রাইভেটারিং পরিভাষা দুটি আলাদা।
জলদস্যুতা ঘটনায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরকে জলদস্যু বলা হয়ে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, অপরাধীদের সাধারণত সামরিক ব্যক্তিদের দ্বারা ধরা এবং সামরিক ট্রাইবুনালে বিচার করার চেষ্টা করা হয়েছে। একুশ শতকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জলদস্যুদের বিচারের সম্মুখীন করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ডস এন্ড (অনু. ক্যারিবিয়ান জলদস্যু: বিশ্বের শেষে) (ইংরেজি: Pirates of the Caribbean: At World's End) হচ্ছে ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র, এবং পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের তৃতীয় চলচ্চিত্র। এখানে দেখা যায়, উইল টার্নার, এলিজাবেথ সোয়ান, এবং ব্ল্যাক পার্ল-এর নাবিকরা ডেভি জোন্স’স লকার থেকে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোকে রক্ষা করছে, এবং তারপর তারা লর্ড কাটলার বেকেট ও ডেভি জোন্সের (বিলি নাই) নেতৃত্বাধীন ইস্ট ইন্ডিয়া ট্রেডিং কোম্পানির সাথে যুদ্ধে উপনীত হয়। পূর্বের দুইটি চলচ্চিত্রের মতোই গোর ভারবিনস্কি এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে দুই বারে এই চলচ্চিত্রটির কাজ হয়। পূর্বের পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: ডেড ম্যান’স চেস্ট চলচ্চিত্রটির সাথে একই সাথে এটির কাজ চলছিলো।
ওয়াল্ট ডিজনি মুক্তির সময় এগিয়ে আনায় চলচ্চিত্রটি ইংরেজিভাষী দেশগুলোতে মুক্তি পায় ২০০৭ সালের ২৪ মে। ছবিটির প্রতি সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া ছিলো মিশ্র, কিন্তু বক্স অফিসে এটি ছিলো একটি সুপারহিট চলচ্চিত্র। এটি ছিলো ২০০৭ সালের সবচেয়ে ব্যাবসাসফল চলচ্চিত্র, যার বিশ্বব্যাপী আয় ছিলো ৯৬ কোটি মার্কিন ডলার। ডেড ম্যান’স চেস্ট-এর পর এটি পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি সেরা রূপসজ্জা ও ভিজুয়াল ইফক্টের জন্য দুইটি একডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন পায়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)নির্বাচিত ভুক্তির তালিকা
|
---|
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|জলদস্যুতা}}
যুক্ত করতে পারেন।